কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৬. নামাযের সময়সূচী
হাদীস নং: ৫২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৩
মাগরিবের শেষ সময়।
৫২৪। আব্দা ইবনে আব্দুল্লাহ ও আহমদ ইবনে সুলায়মান (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি কোন উত্তর না দিয়ে বিলাল (রাযিঃ)-কে নামাযের প্রস্তুতির জন্য আদেশ করলেন। প্রভাতের সময় বিলাল (রাযিঃ) ফজরের ইকামত বললেন।[১] যখন সুর্য ঢলে পড়ল তখন তিনি বিলালকে নির্দেশ দিলেন এবং তিনি যোহরের ইকামত বললেন। কেউ বলতো (এই মাত্র) দ্বিপ্রহর হল না কি? অথচ তিনি অবগত ছিলেন। পুনরায় আদেশ করলেন, অতঃপর সুর্য উর্ধাকাশে থাকতেই আসরের ইকামত বললেন। পুনরায় আদেশ করলেন এবং সুর্য অস্ত যাওয়ার পরই মাগরিবের ইকামত বললেন। এরপর শাফাক অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর ইশার নামাযের ইকামত বললেন।
পরদিন ফজরের নামায এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, নামায শেষে প্রত্যাবর্তনের সময় কেউ (সন্দেহ করে) বললো, সূর্যোদয় হয়ে গেছে।[২] পরে যোহরের নামাযকে এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, গতকালের আসরের সময়ের নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছিল। আসরের নামাযকে এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, প্রত্যাবর্তনের সময় (সন্দিহান হয়ে) কেউ বললো, সুর্য রক্তিম বর্ণ হয়ে গেছে। পুনরায় মাগরিবের নামাযকে এত বিলম্বে করে আদায় করলেন যে, শাফাক অদৃশ্য হওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিলো। তিনি ইশার নামাযকে রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করে আদায় করলেন। পুনরায় বললেন, এই দুই দিনের দুই ধরনের ওয়াক্তের মধ্যখানেই নামাযের ওয়াক্ত।
[১] যোহরের সালাত সূর্য ঢলে পড়ামাত্র এত শীঘ্র আদায় করতেন যে, কেউ সূর্য দেখে মনে করতো যে, এখন ঠিক দ্বিপ্রহর। অথচ নবী (ﷺ) অবগত ছিলেন যে, সূর্য ঢলে গিয়েছে এবং সালাতের প্রথম ওয়াক্ত হয়েছে।
[১] অর্থাৎ দ্বিতীয় দিন ফজরের সালাত এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, সূর্যোদয় হয়েছে বলে কারো কারো সন্দেহ হয়েছিল।
পরদিন ফজরের নামায এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, নামায শেষে প্রত্যাবর্তনের সময় কেউ (সন্দেহ করে) বললো, সূর্যোদয় হয়ে গেছে।[২] পরে যোহরের নামাযকে এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, গতকালের আসরের সময়ের নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছিল। আসরের নামাযকে এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, প্রত্যাবর্তনের সময় (সন্দিহান হয়ে) কেউ বললো, সুর্য রক্তিম বর্ণ হয়ে গেছে। পুনরায় মাগরিবের নামাযকে এত বিলম্বে করে আদায় করলেন যে, শাফাক অদৃশ্য হওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিলো। তিনি ইশার নামাযকে রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করে আদায় করলেন। পুনরায় বললেন, এই দুই দিনের দুই ধরনের ওয়াক্তের মধ্যখানেই নামাযের ওয়াক্ত।
[১] যোহরের সালাত সূর্য ঢলে পড়ামাত্র এত শীঘ্র আদায় করতেন যে, কেউ সূর্য দেখে মনে করতো যে, এখন ঠিক দ্বিপ্রহর। অথচ নবী (ﷺ) অবগত ছিলেন যে, সূর্য ঢলে গিয়েছে এবং সালাতের প্রথম ওয়াক্ত হয়েছে।
[১] অর্থাৎ দ্বিতীয় দিন ফজরের সালাত এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, সূর্যোদয় হয়েছে বলে কারো কারো সন্দেহ হয়েছিল।
آخر وقت المغرب
أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ بَدْرِ بْنِ عُثْمَانَ، قَالَ إِمْلاَءً عَلَىَّ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَائِلٌ يَسْأَلُهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ بِالْفَجْرِ حِينَ انْشَقَّ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالظُّهْرِ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَالْقَائِلُ يَقُولُ انْتَصَفَ النَّهَارُ وَهُوَ أَعْلَمُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْعَصْرِ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْمَغْرِبِ حِينَ غَرَبَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْعِشَاءِ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَخَّرَ الْفَجْرَ مِنَ الْغَدِ حِينَ انْصَرَفَ وَالْقَائِلُ يَقُولُ طَلَعَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَخَّرَ الظُّهْرَ إِلَى قَرِيبٍ مِنْ وَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ ثُمَّ أَخَّرَ الْعَصْرَ حَتَّى انْصَرَفَ وَالْقَائِلُ يَقُولُ احْمَرَّتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ حَتَّى كَانَ عِنْدَ سُقُوطِ الشَّفَقِ ثُمَّ أَخَّرَ الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ ثُمَّ قَالَ " الْوَقْتُ فِيمَا بَيْنَ هَذَيْنِ " .


বর্ণনাকারী: