কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৫. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫১
সালাতের ফরযসমূহ এবং আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বর্ণনাকারীদের সনদ সম্পর্কিত মতভেদ ও শব্দ প্রয়োগে তাদের বিভিন্নতা
৪৫২। আহমদ ইবনে সুলায়মান (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে যখন মি’রাজের রাতে ভ্রমন করানো হয়েছিল, তখন তাঁকে সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সিদরাতুল মুনতাহা ষষ্ঠ আকাশে অবস্থিত।[১] তার নীচ থেকে যে সব জিনিস (নেক আমল, আত্মা ইত্যাদি) উর্ধে উঠানো হয় এবং তার উপর হতে আল্লাহর যেসব নির্দেশ অবতীর্ণ হয়, সবকিছুই এখানে পৌঁছে থেমে যায়। তারপর এখান থেকেই তা গ্রহণ করা হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ
إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى
(যখন বৃক্ষটিকে আচ্ছাদিত করল, যা আচ্ছাদিত করার)। (৫৩: ১৬)
আব্দুল্লাহ বলেন তা হল সোনার প্রজাপতি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তিনটি পুরস্কার দেয়া হয়েছেঃ
(১) পাঁচ ওয়াক্ত নামায
(২) সূরা বাকারার শেষ কয়েকটি আয়াত এবং
(৩) তাঁর উম্মতের যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোন শরীক না করে মৃত্যুবরণ করবে, তার মাগফিরাত।
[১] সিদূরা বলতে যে বৃক্ষ বুঝানো হয়েছে তার মূল ষষ্ঠ আসমানে এবং শীর্ষভাগ সপ্তম আসমানে। এই নিরিখে আলোচ্য হাদীসটি এবং হযরত আনাস (রাযিঃ)-এর হাদীসের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।
إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى
(যখন বৃক্ষটিকে আচ্ছাদিত করল, যা আচ্ছাদিত করার)। (৫৩: ১৬)
আব্দুল্লাহ বলেন তা হল সোনার প্রজাপতি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তিনটি পুরস্কার দেয়া হয়েছেঃ
(১) পাঁচ ওয়াক্ত নামায
(২) সূরা বাকারার শেষ কয়েকটি আয়াত এবং
(৩) তাঁর উম্মতের যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোন শরীক না করে মৃত্যুবরণ করবে, তার মাগফিরাত।
[১] সিদূরা বলতে যে বৃক্ষ বুঝানো হয়েছে তার মূল ষষ্ঠ আসমানে এবং শীর্ষভাগ সপ্তম আসমানে। এই নিরিখে আলোচ্য হাদীসটি এবং হযরত আনাস (রাযিঃ)-এর হাদীসের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।
باب فَرْضِ الصَّلاَةِ وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ فِي إِسْنَادِ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - رضى الله عنه - وَاخْتِلاَفِ أَلْفَاظِهِمْ فِيهِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا أُسْرِيَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْتُهِيَ بِهِ إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَهِيَ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ وَإِلَيْهَا يَنْتَهِي مَا عُرِجَ بِهِ مِنْ تَحْتِهَا وَإِلَيْهَا يَنْتَهِي مَا أُهْبِطَ بِهِ مِنْ فَوْقِهَا حَتَّى يُقْبَضَ مِنْهَا قَالَ (إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى) قَالَ فَرَاشٌ مِنْ ذَهَبٍ فَأُعْطِيَ ثَلاَثًا الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ وَخَوَاتِيمُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَيُغْفَرُ لِمَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِهِ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا الْمُقْحِمَاتُ .
