কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৩. হায়েয-ইস্তিহাযা-নিফাসের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪
হায়জ ও ইস্তিহাযার রক্তের পার্থক্য
৩৬৪। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব ইবনে আরাবী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়শ (রাযিঃ) ইস্তিহাযাগ্রস্ত হলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি ইস্তিহাযাগ্রস্ত। ফলে আমি পাক হই না। এমতাবস্থায় আমি কি নামায ছেড়ে দেব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এটা শিরা হতে নির্গত রক্ত, হায়য নয়। অতএব যখন হায়য দেখা দেবে তখন নামায ছেড়ে দেবে, আর যখন ঐ সময় অতিবাহিত হবে, তখন তোমার শরীর হতে হায়য ধুয়ে নেবে এবং উযু করে নামায আদায় করবে। এটি শিরা হতে নির্গত রক্ত, হায়য নয়।
সনদের জনৈক বর্ণনাকারীকে জিজ্ঞাসা করা হল তাহলে গোসল? তিনি বললেনঃ এ বিষয়ে কেউ সন্দেহ পোষণ করেন না।
সনদের জনৈক বর্ণনাকারীকে জিজ্ঞাসা করা হল তাহলে গোসল? তিনি বললেনঃ এ বিষয়ে কেউ সন্দেহ পোষণ করেন না।
باب الفرق بين دم الحيض والاستحاضة
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اسْتُحِيضَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ فَسَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحِيضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحِيضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَتَوَضَّئِي وَصَلِّي فَإِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ " . قِيلَ لَهُ فَالْغُسْلُ قَالَ " وَذَلِكَ لاَ يَشُكُّ فِيهِ أَحَدٌ " . قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ " وَتَوَضَّئِي " . غَيْرُ حَمَّادٍ وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হায়েয বা নিফাস ব্যতীত কোন রোগের কারণে মহিলাদের যে রক্ত দেখা যায় তাকে ইস্তিহাযা বলে। এ হাদীসে ইস্তিহাযা রোগে আক্রান্ত মহিলার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য নতুন করে অযু করবে। এ বিধানটি শুধু ইস্তিহাযা রোগে আক্রান্ত মহিলার জন্যই নয়। বরং শরীর হতে সার্বক্ষণিক নাপাক বের হতে থাকা যে কোন মা’জুর তথা রোগাক্রান্ত ব্যক্তির জন্যই এটা প্রযোজ্য হবে। (শামী: ১/৩০৬)
