কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৬. ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫১০২
আন্তর্জাতিক নং: ৫১৯২
১৩৯. সকাল, দুপুর ও সন্ধায় অনুমতি প্রসঙ্গে।
৫১০২. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ..... ইকরিমা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার ইরাকের কোন কোন লোক জিজ্ঞাসা করেঃ হে ইবনে আব্বাস! এ আয়াত সম্পর্কে আপনার অভিমত কি, যাতে আমাদের তিন সময় অনুমতি চাওয়ার জন্য বলা হয়েছে? কিন্তু কেউ-ই এর উপর আমল করে না? আল্লাহর বাণীঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা যাদের মালিক (দাস-দাসীগণ) এবং ঐ সমস্ত বালকেরা, যারা এখনো বয়োপ্রাপ্ত হয়নি, তারা যেন তিনটি সময় তোমাদের কাছে অনুমতি নিয়ে উপস্থিত হয়।
তা হলোঃ ফজরের নামাযের আগে, দুপুরের সময়-যখন তোমরা কাপড় ছেড়ে থাক এবং ইশার নামাযের পর। এ তিনটি সময় এমন, যখন সাধারণতঃ সতর খোলা থাকার আশঙ্কা থাকে। এসময়ের পর তোমাদের এবং তাদের (আসাতে) কেন গুনাহ নেই, যারা সব সময় তোমাদের কাছে আসে। রাবী কানবী আলীমুন হাকীম অর্থাৎ সব জানেন, হিক্বমতওয়ালা আয়াতের এ পর্যন্ত পাঠ করেন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহ মুতুমিনদের প্রতি খুবই সহনশীল ও অনুগ্রহকারী এবং তিনি সতর ডেকে রাথাকে পছন্দ করেন। যখন এ আয়াত নাযিল হয়- তখন লোকদের পর্দা বা মশারীর কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই এরূপ অবস্থা হতো যে, কেউ যখন তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করতো- তখন হঠাৎ সেখানে কোন দাস-দাসী, বণিক অথবা ইয়াতীম চলে আসতো। সে জন্য মহান আল্লাহ রে এ তিন সময় অনুমতি গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের পর্দা খরিদের সামর্থ প্রদান করেন এবং আরো অসংখ্য কল্যাণ ও মঙ্গল তার দান করেন। এরপরও আমি কাউকে এ আয়াতের উপর আমল করতে দেখি না।
তা হলোঃ ফজরের নামাযের আগে, দুপুরের সময়-যখন তোমরা কাপড় ছেড়ে থাক এবং ইশার নামাযের পর। এ তিনটি সময় এমন, যখন সাধারণতঃ সতর খোলা থাকার আশঙ্কা থাকে। এসময়ের পর তোমাদের এবং তাদের (আসাতে) কেন গুনাহ নেই, যারা সব সময় তোমাদের কাছে আসে। রাবী কানবী আলীমুন হাকীম অর্থাৎ সব জানেন, হিক্বমতওয়ালা আয়াতের এ পর্যন্ত পাঠ করেন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহ মুতুমিনদের প্রতি খুবই সহনশীল ও অনুগ্রহকারী এবং তিনি সতর ডেকে রাথাকে পছন্দ করেন। যখন এ আয়াত নাযিল হয়- তখন লোকদের পর্দা বা মশারীর কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই এরূপ অবস্থা হতো যে, কেউ যখন তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করতো- তখন হঠাৎ সেখানে কোন দাস-দাসী, বণিক অথবা ইয়াতীম চলে আসতো। সে জন্য মহান আল্লাহ রে এ তিন সময় অনুমতি গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের পর্দা খরিদের সামর্থ প্রদান করেন এবং আরো অসংখ্য কল্যাণ ও মঙ্গল তার দান করেন। এরপরও আমি কাউকে এ আয়াতের উপর আমল করতে দেখি না।
باب الاِسْتِئْذَانِ فِي الْعَوْرَاتِ الثَّلاَثِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ نَفَرًا، مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ قَالُوا يَا ابْنَ عَبَّاسٍ كَيْفَ تَرَى فِي هَذِهِ الآيَةِ الَّتِي أُمِرْنَا فِيهَا بِمَا أُمِرْنَا وَلاَ يَعْمَلُ بِهَا أَحَدٌ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِيَسْتَأْذِنْكُمُ الَّذِينَ مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ وَالَّذِينَ لَمْ يَبْلُغُوا الْحُلُمَ مِنْكُمْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ مِنْ قَبْلِ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَحِينَ تَضَعُونَ ثِيَابَكُمْ مِنَ الظَّهِيرَةِ وَمِنْ بَعْدِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ ثَلاَثُ عَوْرَاتٍ لَكُمْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ وَلاَ عَلَيْهِمْ جُنَاحٌ بَعْدَهُنَّ طَوَّافُونَ عَلَيْكُمْ ) قَرَأَ الْقَعْنَبِيُّ إِلَى ( عَلِيمٌ حَكِيمٌ ) قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ اللَّهَ حَلِيمٌ رَحِيمٌ بِالْمُؤْمِنِينَ يُحِبُّ السَّتْرَ وَكَانَ النَّاسُ لَيْسَ لِبُيُوتِهِمْ سُتُورٌ وَلاَ حِجَالٌ فَرُبَّمَا دَخَلَ الْخَادِمُ أَوِ الْوَلَدُ أَوْ يَتِيمَةُ الرَّجُلِ وَالرَّجُلُ عَلَى أَهْلِهِ فَأَمَرَهُمُ اللَّهُ بِالاِسْتِئْذَانِ فِي تِلْكَ الْعَوْرَاتِ فَجَاءَهُمُ اللَّهُ بِالسُّتُورِ وَالْخَيْرِ فَلَمْ أَرَ أَحَدًا يَعْمَلُ بِذَلِكَ بَعْدُ .
