কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৬. ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৯৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৫
১০৬. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।
৪৯৮১. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ দু’টি বিষয় এমন, যদি কোন মুসলমান সব সময় তা হিফাযত করে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ দু’টি ব্যাপার (কাজ) খুবই সহজ, কিন্তু এর উপর আমলকারীর সংখ্যা খুবই কম! তা হলোঃ প্রত্যেক নামাযের পর ১০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০ বার আলহামদুলিল্লাহ, এবং ১০ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করা। যা সারা দিনে মোট ১৫০ বার হয়ে থাকে মুখে পাঠ করাতে। আর কিয়ামতের দিন এর সাওয়াব মীযানে ১৫০০ বার পাঠের সম-পরিমাণ হবে।
(তিনি আরো বলেনঃ) আর শয়নকালে আল্লাহু আকবর- ৩৪ বার, আলহামদুলিল্লাহ-৩৩ বার এবং সুবহানাল্লাহ- ৩৩ বার মুখে ১০০ বার পাঠ করার বিনিময়, কিয়ামতের দিন মীযানে ১০০০ বার পাঠের সাওয়াবের অনুরূপ হবে।
রাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি দেখেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ তাসবীহ তাঁর হাতের আঙ্গুলে আদায় করতেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ দু’টি কাজ তো সহজ, কিন্তু এর আমলকারীর সংখ্যা কম কেন হবে? তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ শয়নকালে শয়তান তোমাদের কাছে আসে এবং তা পাঠের আগেই সে তোমাদের তদ্রাচ্ছন্ন করে দেয়। আর নামায আদায়কালে সে নামাযীর কাছে উপস্থিত হয়ে ঐ তাসবীহগুলো পাঠের আগেই তাকে কোন কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (যার ফলে সে আর তা পাঠ করতে পারে না।)
(তিনি আরো বলেনঃ) আর শয়নকালে আল্লাহু আকবর- ৩৪ বার, আলহামদুলিল্লাহ-৩৩ বার এবং সুবহানাল্লাহ- ৩৩ বার মুখে ১০০ বার পাঠ করার বিনিময়, কিয়ামতের দিন মীযানে ১০০০ বার পাঠের সাওয়াবের অনুরূপ হবে।
রাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি দেখেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ তাসবীহ তাঁর হাতের আঙ্গুলে আদায় করতেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ দু’টি কাজ তো সহজ, কিন্তু এর আমলকারীর সংখ্যা কম কেন হবে? তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ শয়নকালে শয়তান তোমাদের কাছে আসে এবং তা পাঠের আগেই সে তোমাদের তদ্রাচ্ছন্ন করে দেয়। আর নামায আদায়কালে সে নামাযীর কাছে উপস্থিত হয়ে ঐ তাসবীহগুলো পাঠের আগেই তাকে কোন কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (যার ফলে সে আর তা পাঠ করতে পারে না।)
باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لاَ يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ وَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ وَيَحْمَدُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيُسَبِّحُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ فَذَلِكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ " . فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ قَالَ " يَأْتِي أَحَدَكُمْ - يَعْنِي الشَّيْطَانَ - فِي مَنَامِهِ فَيُنَوِّمُهُ قَبْلَ أَنْ يَقُولَهُ وَيَأْتِيهِ فِي صَلاَتِهِ فَيُذَكِّرُهُ حَاجَةً قَبْلَ أَنْ يَقُولَهَا " .
