কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৬. ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৯৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৪৮
১০৪. ঘুমাবার সময় যে দুআ পড়তে হয় সে সম্পর্কে।
৪৯৬৪. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল মালিক (রাহঃ) ..... বারা (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) হতে এরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী সুফিয়ান (রাহঃ) বলেনঃ দু’জন রাবীর একজন বলেছেনঃ যে ’যখন তুমি পবিত্র অবস্থায় তোমার বিছানায় ঘুমাতে যাবে।’ আর অপর রাবী বলেছেনঃ শোবার আগে তুমি নামায আদায়ের ন্যায় উযু করবে।
باب مَا يُقَالُ عِنْدَ النَّوْمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْغَزَّالُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَمَنْصُورٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا قَالَ سُفْيَانُ قَالَ أَحَدُهُمَا " إِذَا أَتَيْتَ فِرَاشَكَ طَاهِرًا " . وَقَالَ الآخَرُ " تَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ " . وَسَاقَ مَعْنَى مُعْتَمِرٍ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যখন বিছানায় যাবে তখন নামাযের ওযূর মত ওযূ করবে। বোঝা গেল ওযুর সাথে ঘুমানো মুস্তাহাব। ঘুম যেহেতু মৃত্যুর ভাই, তাই ঘুমের আগে মৃত্যুর প্রস্তুতির মত প্রস্তুত হয়ে ঘুমানো উচিত। ওযূ সে প্রস্তুতিরই অংশ। বান্দা যদি ওযুর সাথে ঘুমায় আর এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়ে যায়, তবে সে মৃত্যু হবে তার শারীরিক পবিত্রতার সাথে। ফলে তার হাশরও পবিত্রতার সাথে হবে। মুজাহিদ রহ. থেকে বর্ণিত আছে, হযরত ইব্ন 'আব্বাস রাযি, তাকে উপদেশ দেন, তুমি কিছুতেই ওযূ ছাড়া ঘুমাবে না। কেননা রূহ যে অবস্থায় কবজ করা হয়, (হাশরের দিন) সে অবস্থায়ই তার পুনরুত্থান হবে।ফাতহুল বারী, ১১ খণ্ড, ১৩২ পৃষ্ঠা।
তাছাড়া ওযূর সাথে ঘুমালে সে ঘুম 'ইবাদতে পরিণত হয়ে যায়। এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় শয্যাগ্রহণ করে এবং যিকরের সাথে ঘুমায়, তার বিছানা নামাযের স্থানে পরিণত হয়ে যায় এবং যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ততক্ষণ সে (ঘুমানো সত্ত্বেও) নামায ও যিকরের ভেতর থাকে।ফাতহুল বারী, ১১খণ্ড, ১৩২ পৃষ্ঠা।
ওযূ অবস্থায় ঘুমালে সে ঘুমও মধুর, নিখুঁত ও নিরাপদ হয়। তখন শয়তান তার ক্ষতি করার সুযোগ পায় না। শয়তান পবিত্র ব্যক্তি হতে দূরে থাকে। এ অবস্থায় স্বপ্ন দেখলে সে স্বপ্নও সাধারণত সঠিক হয়। মোটকথা ওযূ অবস্থায় ঘুমানোর ভেতর নানা রকম উপকার নিহিত আছে। প্রত্যেকের উচিত এর উপর আমল করা।
তাছাড়া ওযূর সাথে ঘুমালে সে ঘুম 'ইবাদতে পরিণত হয়ে যায়। এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় শয্যাগ্রহণ করে এবং যিকরের সাথে ঘুমায়, তার বিছানা নামাযের স্থানে পরিণত হয়ে যায় এবং যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ততক্ষণ সে (ঘুমানো সত্ত্বেও) নামায ও যিকরের ভেতর থাকে।ফাতহুল বারী, ১১খণ্ড, ১৩২ পৃষ্ঠা।
ওযূ অবস্থায় ঘুমালে সে ঘুমও মধুর, নিখুঁত ও নিরাপদ হয়। তখন শয়তান তার ক্ষতি করার সুযোগ পায় না। শয়তান পবিত্র ব্যক্তি হতে দূরে থাকে। এ অবস্থায় স্বপ্ন দেখলে সে স্বপ্নও সাধারণত সঠিক হয়। মোটকথা ওযূ অবস্থায় ঘুমানোর ভেতর নানা রকম উপকার নিহিত আছে। প্রত্যেকের উচিত এর উপর আমল করা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
