কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৬. ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৭৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৩৪
১৯. কার সোহবতে বসা উচিত - সে সম্পর্কে।
৪৭৫৯. হারুন ইবনে যায়দ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ রূহসমূহ বিভিন্ন দলে বিভক্ত ছিল। আর সৃষ্টির শুরুতে যে সব রূহের মধ্যে পরিচয় ছিল, তারা দুনিয়াতে আসার পর তাদের মাঝে মিল-মহব্বত সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে সৃষ্টির সূচনায় যাদের মধ্যে পরিচয় হয়নি, দুনিয়াতে আসার পরও তাদের মাঝে পরিচয় হয় না।
باب مَنْ يُؤْمَرُ أَنْ يُجَالَسَ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، - يَعْنِي ابْنَ بُرْقَانَ - عَنْ يَزِيدَ، - يَعْنِي ابْنَ الأَصَمِّ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَرْفَعُهُ قَالَ " الأَرْوَاحُ جُنُودٌ مُجَنَّدَةٌ فَمَا تَعَارَفَ مِنْهَا ائْتَلَفَ وَمَا تَنَاكَرَ مِنْهَا اخْتَلَفَ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
পারস্পরিক মিল-অমিলের রহস্য
হাদীছটিতে মানুষের পাস্পরিক মনের মিল-অমিলের রহস্য বর্ণিত হয়েছে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
الأرواح جنود مجندة 'রূহসমূহ বহুদলে বিভক্ত (ছিল)'। অর্থাৎ রূহসমূহকে সৃষ্টি করা হয়েছিল দেহের আগে। সৃষ্টি করার পর রূহসমূহকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে আলাদা আলাদা রাখা হয়েছিল। একেক দলকে একেক স্থানে। অথবা এর অর্থ স্বভাব-চরিত্রে রূহসমূহ বিভিন্ন দলে বিভক্ত। একেক দল একেক স্বভাব-চরিত্রের অধিকারী। তার মধ্যে আবার কারও তুলনায় কারও স্বভাব-চরিত্র অনেক উচ্চস্তরের। কোনও কোনও রূহ এমন উন্নত গুণের অধিকারী হয়ে থাকে, যদ্দরুন তারা দুনিয়ায় আসার পর সকলের মধ্যে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিতরূপে পরিগণিত হয় এবং অন্যদের তুলনায় শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়।
(তার মধ্যে যারা পরস্পর পরিচিত ছিল তাদের মধ্যে সম্প্রীতি দেখা দেয়। যারা পরস্পর অপরিচিত ছিল তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়)। অর্থাৎ দুনিয়ায় দুই ব্যক্তির মধ্যে যে সদ্ভাব ও সম্প্রীতি দেখা দেয়, তা আত্মীয় হোক বা না হোক, তা এ কারণে যে, রূহের জগতে এ দুই ব্যক্তির রূহ একদলে একত্রে ছিল। দুনিয়ায় তাদের মধ্যে দেখা হওয়ার পর উভয়ের রূহ একে অপরকে চিনতে পেরেছে। সে পরিচয়ের সূত্র ধরে সহজেই উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
অপরদিকে শত চেষ্টাতেও দুই ব্যক্তির মধ্যে যে সুসম্পর্ক ও সম্প্রীতি গড়ে ওঠে না, তারও কারণ হলো সে ব্যক্তিদ্বয়ের রূহ রূহানী জগতে ভিন্ন ভিন্ন দলভুক্ত ছিল। তাদের একজনের রূহের কাছে অপরজনের রূহ অপরিচিত ছিল। তাই দুনিয়ার আসার পরও তারা পরস্পর অপরিচিত থেকে যায়। তাই সহজে তাদের মধ্যে সদ্ভাব গড়ে ওঠে না।
অথবা হাদীছটির অর্থ হলো, যেহেতু সৃষ্টিগতভাবে রূহসমূহকে বিভিন্ন স্বভাব-চরিত্র দেওয়া হয়েছে, তাই দুনিয়ায় যার সঙ্গে যার স্বভাবের মিল হয় তার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা আত্মীয় না হলেও। অপরদিকে যে দুই ব্যক্তির মধ্যে আত্মীয়তা থাকা সত্ত্বেও মিলমিশ হয় না, তার কারণ তাদের রূহের মধ্যে স্বভাবগত মিল নেই।
প্রকাশ থাকে যে, অমিল যদি দ্বন্দ্ব-কলহ ও শত্রুতার পর্যায়ে না পৌছায়, তবে তাতে দোষ নেই। স্বভাবগত অমিলের ক্ষেত্রে দুই ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া কঠিন বটে। শুধু লক্ষ রাখা জরুরি অমিলের কারণে যেন আচার-আচরণ অসৌজন্যমূলক না হয় এবং একজনের দ্বারা অন্যজনের কোনও হকও নষ্ট না হয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. স্বভাবগত মিল না থাকলে দুই ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়া কঠিন। তবে সতর্ক থাকা জরুরি যাতে সে অমিল শত্রুতা ও বিদ্বেষের কারণ না হয়।
হাদীছটিতে মানুষের পাস্পরিক মনের মিল-অমিলের রহস্য বর্ণিত হয়েছে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
الأرواح جنود مجندة 'রূহসমূহ বহুদলে বিভক্ত (ছিল)'। অর্থাৎ রূহসমূহকে সৃষ্টি করা হয়েছিল দেহের আগে। সৃষ্টি করার পর রূহসমূহকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে আলাদা আলাদা রাখা হয়েছিল। একেক দলকে একেক স্থানে। অথবা এর অর্থ স্বভাব-চরিত্রে রূহসমূহ বিভিন্ন দলে বিভক্ত। একেক দল একেক স্বভাব-চরিত্রের অধিকারী। তার মধ্যে আবার কারও তুলনায় কারও স্বভাব-চরিত্র অনেক উচ্চস্তরের। কোনও কোনও রূহ এমন উন্নত গুণের অধিকারী হয়ে থাকে, যদ্দরুন তারা দুনিয়ায় আসার পর সকলের মধ্যে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিতরূপে পরিগণিত হয় এবং অন্যদের তুলনায় শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়।
(তার মধ্যে যারা পরস্পর পরিচিত ছিল তাদের মধ্যে সম্প্রীতি দেখা দেয়। যারা পরস্পর অপরিচিত ছিল তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়)। অর্থাৎ দুনিয়ায় দুই ব্যক্তির মধ্যে যে সদ্ভাব ও সম্প্রীতি দেখা দেয়, তা আত্মীয় হোক বা না হোক, তা এ কারণে যে, রূহের জগতে এ দুই ব্যক্তির রূহ একদলে একত্রে ছিল। দুনিয়ায় তাদের মধ্যে দেখা হওয়ার পর উভয়ের রূহ একে অপরকে চিনতে পেরেছে। সে পরিচয়ের সূত্র ধরে সহজেই উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
অপরদিকে শত চেষ্টাতেও দুই ব্যক্তির মধ্যে যে সুসম্পর্ক ও সম্প্রীতি গড়ে ওঠে না, তারও কারণ হলো সে ব্যক্তিদ্বয়ের রূহ রূহানী জগতে ভিন্ন ভিন্ন দলভুক্ত ছিল। তাদের একজনের রূহের কাছে অপরজনের রূহ অপরিচিত ছিল। তাই দুনিয়ার আসার পরও তারা পরস্পর অপরিচিত থেকে যায়। তাই সহজে তাদের মধ্যে সদ্ভাব গড়ে ওঠে না।
অথবা হাদীছটির অর্থ হলো, যেহেতু সৃষ্টিগতভাবে রূহসমূহকে বিভিন্ন স্বভাব-চরিত্র দেওয়া হয়েছে, তাই দুনিয়ায় যার সঙ্গে যার স্বভাবের মিল হয় তার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা আত্মীয় না হলেও। অপরদিকে যে দুই ব্যক্তির মধ্যে আত্মীয়তা থাকা সত্ত্বেও মিলমিশ হয় না, তার কারণ তাদের রূহের মধ্যে স্বভাবগত মিল নেই।
প্রকাশ থাকে যে, অমিল যদি দ্বন্দ্ব-কলহ ও শত্রুতার পর্যায়ে না পৌছায়, তবে তাতে দোষ নেই। স্বভাবগত অমিলের ক্ষেত্রে দুই ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া কঠিন বটে। শুধু লক্ষ রাখা জরুরি অমিলের কারণে যেন আচার-আচরণ অসৌজন্যমূলক না হয় এবং একজনের দ্বারা অন্যজনের কোনও হকও নষ্ট না হয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. স্বভাবগত মিল না থাকলে দুই ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়া কঠিন। তবে সতর্ক থাকা জরুরি যাতে সে অমিল শত্রুতা ও বিদ্বেষের কারণ না হয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
