কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭২৬
১৯. জাহমীয়া সম্প্রদায় সস্পর্কে।
৪৬৫১. আব্দুল আলা ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) ..... জু্বায়র ইবনে মুত’ঈম (রাযিঃ) তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে গ্রাম্য একটা লোক এসে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! দুর্ভিক্ষের কারণে লোকেরা বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, পরিবার-পরিজন বরবাদ হচ্ছে, ধন-সম্পদ নষ্ট হচ্ছে এবং পশু মারা যাচ্ছে। আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে জন্য দুআ করুন। আমরা আপনার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে চাই এবং আপনার সামনেও আমরা আল্লাহর সুপারিশ পেশ করছি।
একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ হে আহমক, তোমার সর্বনাশ হোক! তুমি কি জান তুমি কী বলছো? এরপর তিনি তাসবীহ পাঠ শুরু করেন এবং অনেকক্ষণ তাসবীহ পাঠে রত থাকেন। এমনকি তাঁর সাহাবীদের চেহারায় সে ব্যক্তির কথার প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে থাকে। এরপর নবী (ﷺ) বলেনঃ ওহে মূর্খ! আল্লাহ তাআলার কোন মাখলুকের সামনে তাঁর সুপারিশ করা যায় না। আল্লাহর মর্যাদা এ থেকে অনেক বড়। হে অজ্ঞ ব্যক্তি! তোমার সর্বনাশ হোক। তুমি কি আল্লাহর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে কিছু জান? মহান আল্লাহর আরশ তাঁর আসমানের উপর এরূপ। এ বলে তিনি তাঁর আঙ্গুলসমূহে গম্বুজের মত করে ইশারা করেন। এতদসত্ত্বেও আসমান তাঁর মর্যাদার কারণে এমন চির-চির শব্দ করে, যেমন আরোহীর নীচে তার পালানোর শব্দ হয়।
রাবী ইবনে বিশশার (রাহঃ) তার বর্ণনায় এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ মহান আল্লাহ তাঁর আরশের উপর এবং তাঁর আরশ তাঁর সৃষ্ট আসমানের উপর।
একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ হে আহমক, তোমার সর্বনাশ হোক! তুমি কি জান তুমি কী বলছো? এরপর তিনি তাসবীহ পাঠ শুরু করেন এবং অনেকক্ষণ তাসবীহ পাঠে রত থাকেন। এমনকি তাঁর সাহাবীদের চেহারায় সে ব্যক্তির কথার প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে থাকে। এরপর নবী (ﷺ) বলেনঃ ওহে মূর্খ! আল্লাহ তাআলার কোন মাখলুকের সামনে তাঁর সুপারিশ করা যায় না। আল্লাহর মর্যাদা এ থেকে অনেক বড়। হে অজ্ঞ ব্যক্তি! তোমার সর্বনাশ হোক। তুমি কি আল্লাহর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে কিছু জান? মহান আল্লাহর আরশ তাঁর আসমানের উপর এরূপ। এ বলে তিনি তাঁর আঙ্গুলসমূহে গম্বুজের মত করে ইশারা করেন। এতদসত্ত্বেও আসমান তাঁর মর্যাদার কারণে এমন চির-চির শব্দ করে, যেমন আরোহীর নীচে তার পালানোর শব্দ হয়।
রাবী ইবনে বিশশার (রাহঃ) তার বর্ণনায় এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ মহান আল্লাহ তাঁর আরশের উপর এবং তাঁর আরশ তাঁর সৃষ্ট আসমানের উপর।
باب فِي الْجَهْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الرِّبَاطِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، - قَالَ أَحْمَدُ كَتَبْنَاهُ مِنْ نُسْخَتِهِ وَهَذَا لَفْظُهُ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ يُحَدِّثُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ جُهِدَتِ الأَنْفُسُ وَضَاعَتِ الْعِيَالُ وَنُهِكَتِ الأَمْوَالُ وَهَلَكَتِ الأَنْعَامُ فَاسْتَسْقِ اللَّهَ لَنَا فَإِنَّا نَسْتَشْفِعُ بِكَ عَلَى اللَّهِ وَنَسْتَشْفِعُ بِاللَّهِ عَلَيْكَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَيْحَكَ أَتَدْرِي مَا تَقُولُ " وَسَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا زَالَ يُسَبِّحُ حَتَّى عُرِفَ ذَلِكَ فِي وُجُوهِ أَصْحَابِهِ ثُمَّ قَالَ " وَيْحَكَ إِنَّهُ لاَ يُسْتَشْفَعُ بِاللَّهِ عَلَى أَحَدٍ مِنْ خَلْقِهِ شَأْنُ اللَّهِ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ وَيْحَكَ أَتَدْرِي مَا اللَّهُ إِنَّ عَرْشَهُ عَلَى سَمَوَاتِهِ لَهَكَذَا " . وَقَالَ بِأَصَابِعِهِ مِثْلَ الْقُبَّةِ عَلَيْهِ " وَإِنَّهُ لَيَئِطُّ بِهِ أَطِيطَ الرَّحْلِ بِالرَّاكِبِ " . قَالَ ابْنُ بَشَّارٍ فِي حَدِيثِهِ " إِنَّ اللَّهَ فَوْقَ عَرْشِهِ وَعَرْشُهُ فَوْقَ سَمَوَاتِهِ " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَقَالَ عَبْدُ الأَعْلَى وَابْنُ الْمُثَنَّى وَابْنُ بَشَّارٍ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ وَجُبَيْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَالْحَدِيثُ بِإِسْنَادِ أَحْمَدَ بْنِ سَعِيدٍ هُوَ الصَّحِيحُ وَافَقَهُ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَعَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَرَوَاهُ جَمَاعَةٌ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ كَمَا قَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا وَكَانَ سَمَاعُ عَبْدِ الأَعْلَى وَابْنِ الْمُثَنَّى وَابْنِ بَشَّارٍ مِنْ نُسْخَةٍ وَاحِدَةٍ فِيمَا بَلَغَنِي .


বর্ণনাকারী: