কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭২৩
১৯. জাহমীয়া সম্প্রদায় সস্পর্কে।
৪৬৪৮. মুহাম্মাদ ইবনে সাব্বাহ (রাহঃ) ..... আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ’বাতহা’ নামকস্থানে একদল লোকের সাথে বসেছিলাম, যেখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-ও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এক মেঘ টুকরা ভেসে গেলে, তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা একে কি নামে অভিহিত কর? তারা বলেনঃ ’সাহাব’ বা মেঘখণ্ড। তিনি বলেনঃ মুযন নয় কি? তারা বলেনঃ আমরা মুযনও বলি। এরপর জিজ্ঞাসা করেনঃ আনান নয় কি? তারা বলেনঃ আমরা আনানও বলি।
আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ আনান সম্পর্কিত বর্ণনাটি তেমন জোরাল নয়। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ আসমান ও যমীনের মাঝে দূরত্ব কতটুকু? তারা বলেনঃ আমরা জানি না। তখন তিনি বলেনঃ এর দূরত্ব হলো একাত্তর, বাহাত্তর বা তিয়াত্তর বছরের রাস্তার সমান। এর সমান দূরত্বে দ্বিতীয় আসমান অবস্থিত। আর এভাবে তিনি সাত আসমানের দূরত্বের বর্ণনা দেন।
এরপর তিনি বলেনঃ সাত আসমানের উপর একটা সমুদ্র আছে, যার উপর ও নীচের দূরত্ব হলো, এক আসমান থেকে অপর আসমানের সমান। এর উপর আটটি বকরি আছে, যাদের পায়ের খুর ও কাধের দূরত্ব হলো এক আসমান থেকে অপর আসমানের সমান। এদের পিঠের উপর আল্লাহ তাআলার আরশ অবস্থিত, যার উপর ও নীচের দূরত্ব হলো, এক আসমান থেকে অপর আসমান পর্যন্ত। এর উপরে রয়েছেন মহান আল্লাহ।
আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ আনান সম্পর্কিত বর্ণনাটি তেমন জোরাল নয়। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ আসমান ও যমীনের মাঝে দূরত্ব কতটুকু? তারা বলেনঃ আমরা জানি না। তখন তিনি বলেনঃ এর দূরত্ব হলো একাত্তর, বাহাত্তর বা তিয়াত্তর বছরের রাস্তার সমান। এর সমান দূরত্বে দ্বিতীয় আসমান অবস্থিত। আর এভাবে তিনি সাত আসমানের দূরত্বের বর্ণনা দেন।
এরপর তিনি বলেনঃ সাত আসমানের উপর একটা সমুদ্র আছে, যার উপর ও নীচের দূরত্ব হলো, এক আসমান থেকে অপর আসমানের সমান। এর উপর আটটি বকরি আছে, যাদের পায়ের খুর ও কাধের দূরত্ব হলো এক আসমান থেকে অপর আসমানের সমান। এদের পিঠের উপর আল্লাহ তাআলার আরশ অবস্থিত, যার উপর ও নীচের দূরত্ব হলো, এক আসমান থেকে অপর আসমান পর্যন্ত। এর উপরে রয়েছেন মহান আল্লাহ।
باب فِي الْجَهْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمِيرَةَ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ كُنْتُ فِي الْبَطْحَاءِ فِي عِصَابَةٍ فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّتْ بِهِمْ سَحَابَةٌ فَنَظَرَ إِلَيْهَا فَقَالَ " مَا تُسَمُّونَ هَذِهِ " . قَالُوا السَّحَابَ . قَالَ " وَالْمُزْنَ " . قَالُوا وَالْمُزْنَ . قَالَ " وَالْعَنَانَ " . قَالُوا وَالْعَنَانَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ أُتْقِنِ الْعَنَانَ جَيِّدًا قَالَ " هَلْ تَدْرُونَ مَا بُعْدُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ " . قَالُوا لاَ نَدْرِي . قَالَ " إِنَّ بُعْدَ مَا بَيْنَهُمَا إِمَّا وَاحِدَةٌ أَوِ اثْنَتَانِ أَوْ ثَلاَثٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً ثُمَّ السَّمَاءُ فَوْقَهَا كَذَلِكَ " . حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ " ثُمَّ فَوْقَ السَّابِعَةِ بَحْرٌ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلاَهُ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ فَوْقَ ذَلِكَ ثَمَانِيَةُ أَوْعَالٍ بَيْنَ أَظْلاَفِهِمْ وَرُكَبِهِمْ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ عَلَى ظُهُورِهِمُ الْعَرْشُ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلاَهُ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَوْقَ ذَلِكَ " .
