কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০০
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৭. জা’ফর ইবনে মুসাফির (রাহঃ) ...... আবু হাফস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উবাদা ইবনে ছামিত (রাযিঃ) তার পুত্রকে বলেনঃ হে আমার প্রিয় পুত্র! তুমি ততক্ষণ ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পাবে না, যতক্ষণ না তুমি অনুধাবন কর যে, তুমি যা পেয়েছ, তা কিছুতেই ফেলতে পারতে না; আর তুমি যা পাওনি, তা অবশ্যই তুমি পাবে না। এরপর তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ মহান আল্লাহ সর্ব প্রথম কলম তৈরী করেন। এরপর তিনি কলমকে বলেনঃ লিখ। কলম বলেঃ হে আমার প্রতিপালক, আমি কি লিখব? তখন আল্লাহ বলেনঃ তুমি কিয়ামত পর্যন্ত সৃষ্ট সমস্ত জীবের তাকদীর লিখ। হে আমার প্রিয় পুত্র! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এরূপ বিশ্বাস ব্যতীত মারা যাবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ الْهُذَلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ رَبَاحٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي عَبْلَةَ، عَنْ أَبِي حَفْصَةَ، قَالَ قَالَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ لاِبْنِهِ يَا بُنَىَّ إِنَّكَ لَنْ تَجِدَ طَعْمَ حَقِيقَةِ الإِيمَانِ حَتَّى تَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَمَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللَّهُ الْقَلَمَ فَقَالَ لَهُ اكْتُبْ . قَالَ رَبِّ وَمَاذَا أَكْتُبُ قَالَ اكْتُبْ مَقَادِيرَ كُلِّ شَىْءٍ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ " . يَا بُنَىَّ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ مَاتَ عَلَى غَيْرِ هَذَا فَلَيْسَ مِنِّي " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
তাকদীরে বিশ্বাসের এ সুফলের প্রতি ইশারা করে বলা হয়েছে যে- জেনে রেখো, যা তোমার হাতছাড়া হয়ে গেছে, তা তুমি কখনও পাওয়ার ছিলে না। আর যা তোমার হস্তগত হয়েছে, তা তোমার কখনও হস্তচ্যুত হওয়ার ছিল না। বস্তুত তাকদীরে বিশ্বাস মানুষকে হতাশা থেকে রক্ষা করে। তাকদীরে বিশ্বাস মানুষের মনে সাহস যোগায়। তাকদীরে বিশ্বাস মানুষের অন্তর থেকে সৃষ্টির ভয়-ভীতি দূর করে। যার অন্তরে তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস থাকে, সে অহংকার-অহমিকার শিকার হওয়া থেকে বেঁচে যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ তাকদীরে বিশ্বাস ও তাওয়াক্কুলেরও শিক্ষা দান করে। তাকদীরে যা লেখা হয়েছে, তার বাইরে কারও কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাকদীরের বাইরে না কোনও দুশমন কোনও ক্ষতি করতে পারে, না কোনও বন্ধু কিছু উপকার করতে পারে। সুতরাং মানুষকে ভয় না করে ও মানুষের কাছে আশাবাদী না হয়ে বান্দার কর্তব্য আল্লাহরই উপর নির্ভর করা ও তাকদীরে অবিচল আস্থা রাখা।
খ. তাকদীরের কোনও পরিবর্তন নেই। তা চূড়ান্ত হয়ে আছে। তাতে যা লেখা আছে তাই হবে। তবে বেকার না থেকে কাজকর্ম করতে হবে এবং আসবাব-উপকরণ অবলম্বন করতে হবে, যেহেতু তা করা আল্লাহর হুকুম।
গ. চেষ্টার পর কাঙ্ক্ষিত বিষয় না পেলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, যেহেতু তাকদীরে ছিল না বলে তা পাওয়া যায়নি এবং পাওয়া সম্ভবই ছিল না। এমনিভাবে আশানুরূপ ফল লাভ হলেও দর্পিত ও উল্লসিত হওয়ার সুযোগ নেই, যেহেতু তাকদীরে ছিল বলে তা পাওয়া গেছে এবং পাওয়া যেতই।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ তাকদীরে বিশ্বাস ও তাওয়াক্কুলেরও শিক্ষা দান করে। তাকদীরে যা লেখা হয়েছে, তার বাইরে কারও কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাকদীরের বাইরে না কোনও দুশমন কোনও ক্ষতি করতে পারে, না কোনও বন্ধু কিছু উপকার করতে পারে। সুতরাং মানুষকে ভয় না করে ও মানুষের কাছে আশাবাদী না হয়ে বান্দার কর্তব্য আল্লাহরই উপর নির্ভর করা ও তাকদীরে অবিচল আস্থা রাখা।
খ. তাকদীরের কোনও পরিবর্তন নেই। তা চূড়ান্ত হয়ে আছে। তাতে যা লেখা আছে তাই হবে। তবে বেকার না থেকে কাজকর্ম করতে হবে এবং আসবাব-উপকরণ অবলম্বন করতে হবে, যেহেতু তা করা আল্লাহর হুকুম।
গ. চেষ্টার পর কাঙ্ক্ষিত বিষয় না পেলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, যেহেতু তাকদীরে ছিল না বলে তা পাওয়া যায়নি এবং পাওয়া সম্ভবই ছিল না। এমনিভাবে আশানুরূপ ফল লাভ হলেও দর্পিত ও উল্লসিত হওয়ার সুযোগ নেই, যেহেতু তাকদীরে ছিল বলে তা পাওয়া গেছে এবং পাওয়া যেতই।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
