কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৪. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৪৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৬৩ - ৪৫৬৪
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৯৫. যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ..... আমর ইবনে শু’আয়েব (রাহঃ) তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ দাঁতের দিয়াত হলো পাঁচটি উট।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ আমার গ্রন্থে শায়বান (রাহঃ) সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করেছি; কিন্তু আমি তা তার থেকে শুনিনি। এরপর আবু বকর নামক আমাদের একজন সাথী আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, যিনি আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য। তিনি শায়াবান (রাহঃ) হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনে রাশীদ (রাহঃ) হতে, সুলাইমান ইবনে মুসা (রাহঃ) হতে, আমর ইবনে শু’আয়েব (রাহঃ) হতে, তিনি তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভুলবশত হত্যার জন্য বস্তীবাসীদের উপর চারশো দীনার অথবা এর সম-মূল্যের দিরহাম দিয়াত স্বরূপ ধার্য করেন। আর এই মূল্য ছিল-উটের মূল্যের উপর স্থির কৃত।
তিনি দুষ্প্রাপ্যতার সময় উটের মূল্য বাড়িয়ে দিতেন, আর আমদানী বেশী হওয়ার কারণে যখন তার দাম কমে যেত, তখন তিনি দিয়াতের জন্য ধার্যকৃত মূল্যমান কমিয়ে দিতেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানার দিয়াতের পরিমাণ চারশো দীনার হতে আটশো দীনার পর্যন্ত পৌছাতো; যার মূল্যমান রূপার হিসাবে আট হাজার দিরহাম হতো। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গরুর মালিকদের উপর দিয়াত হিসাবে দু’শো গরু নির্ধারণ করেন এবং যাদের উপর বকরীর দিয়াত ওয়াজিব হতো, তিনি তাদের দু’হাজার বকরী দেয়ার নির্দেশ দিতেন।
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি কারো নাক কাটা যায়, তবে এর ফলে সে পূর্ণ দিয়াত পাবে। আর যদি কেবল নাকের মাথা কাটা যায় তবে সে অর্ধেক দিয়াত পাবে। অর্থাৎ পঞ্চাশটি উট বা এর সম-মূল্যের সোনা বা রূপা, অথবা একশো গরু বা এক হাজার বকরী। আর কারো এক হাত কাটা গেলে, সে অর্ধেক দিয়াত পাবে। এভাবে এক পা কাটা গেলে, সে ও অর্ধেক দিয়াত পাবে। আর যদি কারো মাথায় যখম হয়, তবে তাকে এজন্য দিয়াতের এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করতে হবে; যথাঃ তেত্রিশটি উট বা এর সম-মূল্যের সোনা বা রূপা। গরু ও বকরীর ক্ষেত্রে নির্দেশ এরূপই এবং পেটের দিয়াতের নির্দেশও এরূপ। আর আঙ্গুলের ব্যাপারে, প্রতিটি আঙ্গুলের জন্য বিনিময় হলো- দশটি উট এবং দাঁতের ব্যাপারে প্রতিটি দাঁতের বিনিময় হলো- পাঁচটি উট যা দিয়াত স্বরূপ আদায় করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেছেনঃ মহিলার দিয়াত তার আত্মীয়দের মাঝে বন্টিত হবে এবং তারা হবে ঐ ধরনের লোক, যারা নিকটাত্মীদের মাঝে বণ্টনের পর তার অধিকারী হবে। আর যদি কোন মহিলা নিহত হয়, তবে তার দিয়াত, তার উত্তরাধিকারিগণের মাঝে বন্টিত হবে এবং তারাই হত্যাকারীর নিকট হতে ’কিসাস’ গ্রহণ করবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেছেনঃ হত্যাকারীর উত্তরাধিকারিগণ তার সম্পদের অধিকারী হবে না। আর যদি নিহত ব্যক্তির কোন ওয়ারিছ না থাকে, তবে এর পরবর্তী নিকটাত্মীয়গণ এর অধিকারী হবে এবং হত্যাকারী ব্যক্তি কোন সম্পদের উত্তরাধিকারী হবে না।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ আমার গ্রন্থে শায়বান (রাহঃ) সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করেছি; কিন্তু আমি তা তার থেকে শুনিনি। এরপর আবু বকর নামক আমাদের একজন সাথী আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, যিনি আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য। তিনি শায়াবান (রাহঃ) হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনে রাশীদ (রাহঃ) হতে, সুলাইমান ইবনে মুসা (রাহঃ) হতে, আমর ইবনে শু’আয়েব (রাহঃ) হতে, তিনি তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভুলবশত হত্যার জন্য বস্তীবাসীদের উপর চারশো দীনার অথবা এর সম-মূল্যের দিরহাম দিয়াত স্বরূপ ধার্য করেন। আর এই মূল্য ছিল-উটের মূল্যের উপর স্থির কৃত।
তিনি দুষ্প্রাপ্যতার সময় উটের মূল্য বাড়িয়ে দিতেন, আর আমদানী বেশী হওয়ার কারণে যখন তার দাম কমে যেত, তখন তিনি দিয়াতের জন্য ধার্যকৃত মূল্যমান কমিয়ে দিতেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানার দিয়াতের পরিমাণ চারশো দীনার হতে আটশো দীনার পর্যন্ত পৌছাতো; যার মূল্যমান রূপার হিসাবে আট হাজার দিরহাম হতো। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গরুর মালিকদের উপর দিয়াত হিসাবে দু’শো গরু নির্ধারণ করেন এবং যাদের উপর বকরীর দিয়াত ওয়াজিব হতো, তিনি তাদের দু’হাজার বকরী দেয়ার নির্দেশ দিতেন।
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি কারো নাক কাটা যায়, তবে এর ফলে সে পূর্ণ দিয়াত পাবে। আর যদি কেবল নাকের মাথা কাটা যায় তবে সে অর্ধেক দিয়াত পাবে। অর্থাৎ পঞ্চাশটি উট বা এর সম-মূল্যের সোনা বা রূপা, অথবা একশো গরু বা এক হাজার বকরী। আর কারো এক হাত কাটা গেলে, সে অর্ধেক দিয়াত পাবে। এভাবে এক পা কাটা গেলে, সে ও অর্ধেক দিয়াত পাবে। আর যদি কারো মাথায় যখম হয়, তবে তাকে এজন্য দিয়াতের এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করতে হবে; যথাঃ তেত্রিশটি উট বা এর সম-মূল্যের সোনা বা রূপা। গরু ও বকরীর ক্ষেত্রে নির্দেশ এরূপই এবং পেটের দিয়াতের নির্দেশও এরূপ। আর আঙ্গুলের ব্যাপারে, প্রতিটি আঙ্গুলের জন্য বিনিময় হলো- দশটি উট এবং দাঁতের ব্যাপারে প্রতিটি দাঁতের বিনিময় হলো- পাঁচটি উট যা দিয়াত স্বরূপ আদায় করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেছেনঃ মহিলার দিয়াত তার আত্মীয়দের মাঝে বন্টিত হবে এবং তারা হবে ঐ ধরনের লোক, যারা নিকটাত্মীদের মাঝে বণ্টনের পর তার অধিকারী হবে। আর যদি কোন মহিলা নিহত হয়, তবে তার দিয়াত, তার উত্তরাধিকারিগণের মাঝে বন্টিত হবে এবং তারাই হত্যাকারীর নিকট হতে ’কিসাস’ গ্রহণ করবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেছেনঃ হত্যাকারীর উত্তরাধিকারিগণ তার সম্পদের অধিকারী হবে না। আর যদি নিহত ব্যক্তির কোন ওয়ারিছ না থাকে, তবে এর পরবর্তী নিকটাত্মীয়গণ এর অধিকারী হবে এবং হত্যাকারী ব্যক্তি কোন সম্পদের উত্তরাধিকারী হবে না।
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ أَبُو خَيْثَمَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونُ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فِي الأَسْنَانِ خَمْسٌ خَمْسٌ " .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَجَدْتُ فِي كِتَابِي عَنْ شَيْبَانَ، - وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنْهُ - فَحَدَّثْنَاهُ أَبُو بَكْرٍ، - صَاحِبٌ لَنَا ثِقَةٌ - قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ رَاشِدٍ - عَنْ سُلَيْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَوِّمُ دِيَةَ الْخَطَإِ عَلَى أَهْلِ الْقُرَى أَرْبَعَمِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عَدْلَهَا مِنَ الْوَرِقِ يُقَوِّمُهَا عَلَى أَثْمَانِ الإِبِلِ فَإِذَا غَلَتْ رَفَعَ فِي قِيمَتِهَا وَإِذَا هَاجَتْ رُخْصًا نَقَصَ مِنْ قِيمَتِهَا وَبَلَغَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَيْنَ أَرْبَعِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى ثَمَانِمِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عَدْلَهَا مِنَ الْوَرِقِ ثَمَانِيَةَ آلاَفِ دِرْهَمٍ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَهْلِ الْبَقَرِ مِائَتَىْ بَقَرَةٍ وَمَنْ كَانَ دِيَةُ عَقْلِهِ فِي الشَّاءِ فَأَلْفَىْ شَاةٍ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْعَقْلَ مِيرَاثٌ بَيْنَ وَرَثَةِ الْقَتِيلِ عَلَى قَرَابَتِهِمْ فَمَا فَضَلَ فَلِلْعَصَبَةِ " . قَالَ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الأَنْفِ إِذَا جُدِعَ الدِّيَةَ كَامِلَةً وَإِنْ جُدِعَتْ ثَنْدُوَتُهُ فَنِصْفُ الْعَقْلِ خَمْسُونَ مِنَ الإِبِلِ أَوْ عَدْلُهَا مِنَ الذَّهَبِ أَوِ الْوَرِقِ أَوْ مِائَةُ بَقَرَةٍ أَوْ أَلْفُ شَاةٍ وَفِي الْيَدِ إِذَا قُطِعَتْ نِصْفُ الْعَقْلِ وَفِي الرِّجْلِ نِصْفُ الْعَقْلِ وَفِي الْمَأْمُومَةِ ثُلُثُ الْعَقْلِ ثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ مِنَ الإِبِلِ وَثُلْثٌ أَوْ قِيمَتُهَا مِنَ الذَّهَبِ أَوِ الْوَرِقِ أَوِ الْبَقَرِ أَوِ الشَّاءِ وَالْجَائِفَةُ مِثْلُ ذَلِكَ وَفِي الأَصَابِعِ فِي كُلِّ أُصْبُعٍ عَشْرٌ مِنَ الإِبِلِ وَفِي الأَسْنَانِ فِي كُلِّ سِنٍّ خَمْسٌ مِنَ الإِبِلِ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عَقْلَ الْمَرْأَةِ بَيْنَ عَصَبَتِهَا مَنْ كَانُوا لاَ يَرِثُونَ مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ مَا فَضَلَ عَنْ وَرَثَتِهَا فَإِنْ قُتِلَتْ فَعَقْلُهَا بَيْنَ وَرَثَتِهَا وَهُمْ يَقْتُلُونَ قَاتِلَهُمْ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ لِلْقَاتِلِ شَىْءٌ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ وَارِثٌ فَوَارِثُهُ أَقْرَبُ النَّاسِ إِلَيْهِ وَلاَ يَرِثُ الْقَاتِلُ شَيْئًا " . قَالَ مُحَمَّدٌ هَذَا كُلُّهُ حَدَّثَنِي بِهِ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَجَدْتُ فِي كِتَابِي عَنْ شَيْبَانَ، - وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنْهُ - فَحَدَّثْنَاهُ أَبُو بَكْرٍ، - صَاحِبٌ لَنَا ثِقَةٌ - قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ رَاشِدٍ - عَنْ سُلَيْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَوِّمُ دِيَةَ الْخَطَإِ عَلَى أَهْلِ الْقُرَى أَرْبَعَمِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عَدْلَهَا مِنَ الْوَرِقِ يُقَوِّمُهَا عَلَى أَثْمَانِ الإِبِلِ فَإِذَا غَلَتْ رَفَعَ فِي قِيمَتِهَا وَإِذَا هَاجَتْ رُخْصًا نَقَصَ مِنْ قِيمَتِهَا وَبَلَغَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَيْنَ أَرْبَعِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى ثَمَانِمِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عَدْلَهَا مِنَ الْوَرِقِ ثَمَانِيَةَ آلاَفِ دِرْهَمٍ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَهْلِ الْبَقَرِ مِائَتَىْ بَقَرَةٍ وَمَنْ كَانَ دِيَةُ عَقْلِهِ فِي الشَّاءِ فَأَلْفَىْ شَاةٍ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْعَقْلَ مِيرَاثٌ بَيْنَ وَرَثَةِ الْقَتِيلِ عَلَى قَرَابَتِهِمْ فَمَا فَضَلَ فَلِلْعَصَبَةِ " . قَالَ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الأَنْفِ إِذَا جُدِعَ الدِّيَةَ كَامِلَةً وَإِنْ جُدِعَتْ ثَنْدُوَتُهُ فَنِصْفُ الْعَقْلِ خَمْسُونَ مِنَ الإِبِلِ أَوْ عَدْلُهَا مِنَ الذَّهَبِ أَوِ الْوَرِقِ أَوْ مِائَةُ بَقَرَةٍ أَوْ أَلْفُ شَاةٍ وَفِي الْيَدِ إِذَا قُطِعَتْ نِصْفُ الْعَقْلِ وَفِي الرِّجْلِ نِصْفُ الْعَقْلِ وَفِي الْمَأْمُومَةِ ثُلُثُ الْعَقْلِ ثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ مِنَ الإِبِلِ وَثُلْثٌ أَوْ قِيمَتُهَا مِنَ الذَّهَبِ أَوِ الْوَرِقِ أَوِ الْبَقَرِ أَوِ الشَّاءِ وَالْجَائِفَةُ مِثْلُ ذَلِكَ وَفِي الأَصَابِعِ فِي كُلِّ أُصْبُعٍ عَشْرٌ مِنَ الإِبِلِ وَفِي الأَسْنَانِ فِي كُلِّ سِنٍّ خَمْسٌ مِنَ الإِبِلِ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عَقْلَ الْمَرْأَةِ بَيْنَ عَصَبَتِهَا مَنْ كَانُوا لاَ يَرِثُونَ مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ مَا فَضَلَ عَنْ وَرَثَتِهَا فَإِنْ قُتِلَتْ فَعَقْلُهَا بَيْنَ وَرَثَتِهَا وَهُمْ يَقْتُلُونَ قَاتِلَهُمْ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ لِلْقَاتِلِ شَىْءٌ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ وَارِثٌ فَوَارِثُهُ أَقْرَبُ النَّاسِ إِلَيْهِ وَلاَ يَرِثُ الْقَاتِلُ شَيْئًا " . قَالَ مُحَمَّدٌ هَذَا كُلُّهُ حَدَّثَنِي بِهِ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
