কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৪. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৪৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫৫
১৭. অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার দিয়াতের অনুরূপ।
৪৪৮৭. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) .... যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত সম্পর্কে সেরূপ বলেছেনঃ যেরূপ উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ রাবী আবু উবাইদ ও অন্যান্যরা এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, যখন উট বা উটনীর বয়স চার বছর হয়, তখন তাদের বলা হয়, হিক এবং হিককা। কেননা, এ সময় সে ভার বহনের যোগ্য হয় এবং তার উপর সওয়ার হওয়া যায়। এরপর যখন তার বয়স পাঁচ বছর হয়, তখন উটকে জাযা’আ এবং উটনীকে জাযা’আতুন বলা হয়। পরে তাদের বয়স যখন ছয় বছর হয়, তখন তাদের সামনের দাঁত বের হয়, তখন তাদের ছানী বা ছানীয়া বলা হয়। আর উটের বয়স যখন সাত বছর হয়, তখন তাদের রুবা’আ ও রুবা’ইয়্যা বলা হয়। এরপর উটের বয়স যখন আট বছর হয়, এবং রুবা’ইয়্যা পরবর্তী দাঁত নির্গত হয়, তখন তাদের সাকীসুন ও সাদেসুন বলা হয়। আর উটের বয়স যখন ন’বছর হয়, তখন তার পিঠে কুঁজ দেখা দেয়, তখন তাদের বাযিল - এক বছরের, বাযিল - দু’বছরের, এভাবে বলা হয়। এরপর উটের বয়স যখন দশ বছর হয়, তখন তাদের মুখলিফ - এক বছরের, মুখলিফ - দু’বছরের, এভাবে বলা হয়।
নযর ইবনে শুমায়ল (রাহঃ) বলেনঃ এক বছর উটনীকে - বিনতে মাখায, দু’বছর বয়সের উটনীকে বিনতে লাবুন, তিন বছর বয়সের উটনীকে হিককা, চার বছর বয়সের উটনীকে জাযা’আ, পাঁচ বছর বয়সের উটনীকে ছানীয়া, ছয় বছর বয়সের উটনীকে রাবু’আ, সাত বছর বয়সের উটনীকে সাদীস এবং আট বছর উটনীকে বাযিল বলা হয়।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ রাবী আবু হাতিম ও আছমা’ঈ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, জাযা’আ হলো একটা সময় মাত্র, এটি বিশেষ কোন বয়সের নাম নয়। রাবী আবু হাতিম (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটের রুবা’ঈ দাঁত বের হয়, তখন তাকে রুবা’আ উট বলা হয়। রাবী আবু উবাইদা (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটনী গর্ভবতী হয়, তখন তাকে ’খিলফা’ বলা হয় এবং দশমাস যখন পূর্ণ হয়, তখন সে উটনীকে ’আশরাউ’ বলা হয়।
রাবী আবু হাতিম (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটের সামনের দাঁত রেব হয়, তখন তাকে ’মুছান্না’ এবং যখন তার রুবা’ঈ দাঁত বের হয়, তখন তাকে রুবা’আ উটরূপে আখ্যায়িত করা হয়।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ রাবী আবু উবাইদ ও অন্যান্যরা এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, যখন উট বা উটনীর বয়স চার বছর হয়, তখন তাদের বলা হয়, হিক এবং হিককা। কেননা, এ সময় সে ভার বহনের যোগ্য হয় এবং তার উপর সওয়ার হওয়া যায়। এরপর যখন তার বয়স পাঁচ বছর হয়, তখন উটকে জাযা’আ এবং উটনীকে জাযা’আতুন বলা হয়। পরে তাদের বয়স যখন ছয় বছর হয়, তখন তাদের সামনের দাঁত বের হয়, তখন তাদের ছানী বা ছানীয়া বলা হয়। আর উটের বয়স যখন সাত বছর হয়, তখন তাদের রুবা’আ ও রুবা’ইয়্যা বলা হয়। এরপর উটের বয়স যখন আট বছর হয়, এবং রুবা’ইয়্যা পরবর্তী দাঁত নির্গত হয়, তখন তাদের সাকীসুন ও সাদেসুন বলা হয়। আর উটের বয়স যখন ন’বছর হয়, তখন তার পিঠে কুঁজ দেখা দেয়, তখন তাদের বাযিল - এক বছরের, বাযিল - দু’বছরের, এভাবে বলা হয়। এরপর উটের বয়স যখন দশ বছর হয়, তখন তাদের মুখলিফ - এক বছরের, মুখলিফ - দু’বছরের, এভাবে বলা হয়।
নযর ইবনে শুমায়ল (রাহঃ) বলেনঃ এক বছর উটনীকে - বিনতে মাখায, দু’বছর বয়সের উটনীকে বিনতে লাবুন, তিন বছর বয়সের উটনীকে হিককা, চার বছর বয়সের উটনীকে জাযা’আ, পাঁচ বছর বয়সের উটনীকে ছানীয়া, ছয় বছর বয়সের উটনীকে রাবু’আ, সাত বছর বয়সের উটনীকে সাদীস এবং আট বছর উটনীকে বাযিল বলা হয়।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ রাবী আবু হাতিম ও আছমা’ঈ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, জাযা’আ হলো একটা সময় মাত্র, এটি বিশেষ কোন বয়সের নাম নয়। রাবী আবু হাতিম (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটের রুবা’ঈ দাঁত বের হয়, তখন তাকে রুবা’আ উট বলা হয়। রাবী আবু উবাইদা (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটনী গর্ভবতী হয়, তখন তাকে ’খিলফা’ বলা হয় এবং দশমাস যখন পূর্ণ হয়, তখন সে উটনীকে ’আশরাউ’ বলা হয়।
রাবী আবু হাতিম (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটের সামনের দাঁত রেব হয়, তখন তাকে ’মুছান্না’ এবং যখন তার রুবা’ঈ দাঁত বের হয়, তখন তাকে রুবা’আ উটরূপে আখ্যায়িত করা হয়।
باب دِيَةِ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، فِي الدِّيَةِ الْمُغَلَّظَةِ فَذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ وَعَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ إِذَا دَخَلَتِ النَّاقَةُ فِي السَّنَةِ الرَّابِعَةِ فَهُوَ حِقٌّ وَالأُنْثَى حِقَّةٌ لأَنَّهُ يَسْتَحِقُّ أَنْ يُحْمَلَ عَلَيْهِ وَيُرْكَبَ فَإِذَا دَخَلَ فِي الْخَامِسَةِ فَهُوَ جَذَعٌ وَجَذَعَةٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي السَّادِسَةِ وَأَلْقَى ثَنِيَّتَهُ فَهُوَ ثَنِيٌّ وَثَنِيَّةٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي السَّابِعَةِ فَهُوَ رَبَاعٌ وَرَبَاعِيَةٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي الثَّامِنَةِ وَأَلْقَى السِّنَّ الَّذِي بَعْدَ الرَّبَاعِيَةِ فَهُوَ سَدِيسٌ وَسَدَسٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي التَّاسِعَةِ وَفَطَرَ نَابُهُ وَطَلَعَ فَهُوَ بَازِلٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي الْعَاشِرَةِ فَهُوَ مُخْلِفٌ ثُمَّ لَيْسَ لَهُ اسْمٌ وَلَكِنْ يُقَالُ بَازِلُ عَامٍ وَبَازِلُ عَامَيْنِ وَمُخْلِفُ عَامٍ وَمُخْلِفُ عَامَيْنِ إِلَى مَا زَادَ . وَقَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ بِنْتُ مَخَاضٍ لِسَنَةٍ وَبِنْتُ لَبُونٍ لِسَنَتَيْنِ وَحِقَّةٌ لِثَلاَثٍ وَجَذَعَةٌ لأَرْبَعٍ وَالثَّنِيُّ لِخَمْسٍ وَرَبَاعٌ لِسِتٍّ وَسَدِيسٌ لِسَبْعٍ وَبَازِلٌ لِثَمَانٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ أَبُو حَاتِمٍ وَالأَصْمَعِيُّ وَالْجَذُوعَةُ وَقْتٌ وَلَيْسَ بِسِنٍّ . قَالَ أَبُو حَاتِمٍ قَالَ بَعْضُهُمْ فَإِذَا أَلْقَى رَبَاعِيَتَهُ فَهُوَ رَبَاعٌ وَإِذَا أَلْقَى ثَنِيَّتَهُ فَهُوَ ثَنِيٌّ وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ إِذَا أُلْقِحَتْ فَهِيَ خَلِفَةٌ فَلاَ تَزَالُ خَلِفَةً إِلَى عَشْرَةِ أَشْهُرٍ فَإِذَا بَلَغَتْ عَشْرَةَ أَشْهُرٍ فَهِيَ عُشَرَاءُ . قَالَ أَبُو حَاتِمٍ إِذَا أَلْقَى ثَنِيَّتَهُ فَهُوَ ثَنِيٌّ وَإِذَا أَلْقَى رَبَاعِيَتَهُ فَهُوَ رَبَاعٌ .


বর্ণনাকারী: