কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৪. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৪৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫১০
৬. যদি কেউ কাউকে বিষাক্ত খাদ্য-পানীয় পান করায় এবং সে তাতে মারা যায়, তবে তার থেকে কিসাস নেয়া যাবে কি না?
৪৪৪৮. সুলাইমান ইবনে দাউদ (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খায়বরের একজন ইয়াহুদী নারী ভুনা-বকরীর সাথে বিষ মিশ্রিত করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাদিয়া স্বরূপ প্রেরণ করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার রানের গোশত ভক্ষণ করেন এবং সাহাবীদের কেউ কেউ তা ভক্ষণ করে। এ সময় তিনি তাঁর সাহাবীদের বলেনঃ তোমরা তোমাদের হাত উঠিয়ে নাও, (অর্থাৎ তোমরা আর খেয়োনা)। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে ইয়াহুদী নারীকে আনিয়ে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি এ বকরীর গোশতে বিষ মিশিয়েছ? তখন সে জিজ্ঞাসা করেঃ কে আপনাকে এ খবর দিয়েছে? তিনি বলেনঃ বকরীর এই রানটি। তখন সে নারী বলেঃ হ্যাঁ।
নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার এরূপ করার উদ্দেশ্য কি? সে নারী বলেঃ যদি আপনি নবী হন, তবে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি আপনি নবী না হন, তবে আপনার থেকে পরিত্রাণ পাব, (এ জন্য আমি এরূপ করেছি)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে মহিলাকে ক্ষমা করে দেন এবং তাকে কোনরূপ শাস্তি প্রদান করেননি। বিষ মিশ্রিত গোশত ভক্ষণের ফলে নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের কেউ কেউ মারা যায় এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে এ বকরীর বিষ-মিশ্রিত গোশত খাওয়ার কারণে তাঁর দুই কাঁধের মাঝখানে শিংগা লাগান। আবু হিন্দ (রাযিঃ), যিনি বনু বায়াযা আনসারী (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম ছিলেন। তিনি গাভীর শিং ও ছুরির দ্বারা নবী (ﷺ)-এর দেহে শিংগা লাগান।
নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার এরূপ করার উদ্দেশ্য কি? সে নারী বলেঃ যদি আপনি নবী হন, তবে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি আপনি নবী না হন, তবে আপনার থেকে পরিত্রাণ পাব, (এ জন্য আমি এরূপ করেছি)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে মহিলাকে ক্ষমা করে দেন এবং তাকে কোনরূপ শাস্তি প্রদান করেননি। বিষ মিশ্রিত গোশত ভক্ষণের ফলে নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের কেউ কেউ মারা যায় এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে এ বকরীর বিষ-মিশ্রিত গোশত খাওয়ার কারণে তাঁর দুই কাঁধের মাঝখানে শিংগা লাগান। আবু হিন্দ (রাযিঃ), যিনি বনু বায়াযা আনসারী (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম ছিলেন। তিনি গাভীর শিং ও ছুরির দ্বারা নবী (ﷺ)-এর দেহে শিংগা লাগান।
باب فِيمَنْ سَقَى رَجُلاً سَمًّا أَوْ أَطْعَمَهُ فَمَاتَ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ كَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ أَنَّ يَهُودِيَّةً، مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ سَمَّتْ شَاةً مَصْلِيَّةً ثُمَّ أَهْدَتْهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الذِّرَاعَ فَأَكَلَ مِنْهَا وَأَكَلَ رَهْطٌ مِنْ أَصْحَابِهِ مَعَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ " . وَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْيَهُودِيَّةِ فَدَعَاهَا فَقَالَ لَهَا " أَسَمَمْتِ هَذِهِ الشَّاةَ " . قَالَتِ الْيَهُودِيَّةُ مَنْ أَخْبَرَكَ قَالَ " أَخْبَرَتْنِي هَذِهِ فِي يَدِي " . لِلذِّرَاعِ . قَالَتْ نَعَمْ . قَالَ " فَمَا أَرَدْتِ إِلَى ذَلِكَ " . قَالَتْ قُلْتُ إِنْ كَانَ نَبِيًّا فَلَنْ يَضُرَّهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنِ اسْتَرَحْنَا مِنْهُ . فَعَفَا عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُعَاقِبْهَا وَتُوُفِّيَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ أَكَلُوا مِنَ الشَّاةِ وَاحْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى كَاهِلِهِ مِنْ أَجْلِ الَّذِي أَكَلَ مِنَ الشَّاةِ حَجَمَهُ أَبُو هِنْدٍ بِالْقَرْنِ وَالشَّفْرَةِ وَهُوَ مَوْلًى لِبَنِي بَيَاضَةَ مِنَ الأَنْصَارِ .
