কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৩. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৪২১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৮০
৩৪. মদপানের শাস্তি সম্পর্কে।
৪৪২১. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... হুসাইন ইবনে মুনযির রুকাশী (রাহঃ), যিনি আবু সাসান নামে পরিচিত- থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন সেখানে ওয়ালীদ ইবনে উকাবা (রাযিঃ)-কে উপস্থিত করা হয়। এ সময় তাঁর বিরুদ্ধে হুমরান (রাযিঃ) ও অপর এক ব্যক্তি এরূপ সাক্ষ্য দেয় যে, সে তাকে মদ পান করতে দেখেছে। অপর ব্যক্তি বলেঃ সে তাকে মদ বমি করতে দেখেছে। তখন উছমান (রাযিঃ) বলেনঃ সে মদ না পান করলে, কিভাবে মদ বমি করবে? এরপর তিনি আলী (রাযিঃ)-কে তার উপর হদ কায়েম করার নির্দেশ দেন।
তখন আলী (রাযিঃ) হাসান (রাযিঃ)-কে বলেনঃ যারা শাসন কাজের দায়িত্বে নিযুক্ত, তাদের উচিত এ দায়িত্ব পালন করা। তখন আলী (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দেন, তার উপর হদ কায়েম করার জন্য। তখন তিনি কোড়া নিয়ে তাকে মারা শুরু করেন এবং আলী (রাযিঃ) তা শুনতে থাকেন। চল্লিশ কোড়া মারা শেষ হলে, আলী (রাযিঃ) বলেনঃ থাম, নবী করীম (ﷺ) মদ পানকারীকে চল্লিশ কোড়া মারতেন। কাজেই, তার জন্য ইহাই যথেষ্ট। তিনি আরো বলেনঃ আবু বকর (রাযিঃ) মদ পানকারীকে চল্লিশ কোড়া মারতেন। কিন্তু উমর (রাযিঃ) আশিটি কোড়া মারার প্রচলন করেন। আর এ সবই সুন্নত তরীকা। তবে আমার কাছে এটিই অধিক প্রিয়।
তখন আলী (রাযিঃ) হাসান (রাযিঃ)-কে বলেনঃ যারা শাসন কাজের দায়িত্বে নিযুক্ত, তাদের উচিত এ দায়িত্ব পালন করা। তখন আলী (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দেন, তার উপর হদ কায়েম করার জন্য। তখন তিনি কোড়া নিয়ে তাকে মারা শুরু করেন এবং আলী (রাযিঃ) তা শুনতে থাকেন। চল্লিশ কোড়া মারা শেষ হলে, আলী (রাযিঃ) বলেনঃ থাম, নবী করীম (ﷺ) মদ পানকারীকে চল্লিশ কোড়া মারতেন। কাজেই, তার জন্য ইহাই যথেষ্ট। তিনি আরো বলেনঃ আবু বকর (রাযিঃ) মদ পানকারীকে চল্লিশ কোড়া মারতেন। কিন্তু উমর (রাযিঃ) আশিটি কোড়া মারার প্রচলন করেন। আর এ সবই সুন্নত তরীকা। তবে আমার কাছে এটিই অধিক প্রিয়।
باب الْحَدِّ فِي الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الدَّانَاجُ، حَدَّثَنِي حُضَيْنُ بْنُ الْمُنْذِرِ الرَّقَاشِيُّ، - هُوَ أَبُو سَاسَانَ - قَالَ شَهِدْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَأُتِيَ بِالْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ فَشَهِدَ عَلَيْهِ حُمْرَانُ وَرَجُلٌ آخَرُ فَشَهِدَ أَحَدُهُمَا أَنَّهُ رَآهُ شَرِبَهَا - يَعْنِي الْخَمْرَ - وَشَهِدَ الآخَرُ أَنَّهُ رَآهُ يَتَقَيَّأُهَا فَقَالَ عُثْمَانُ إِنَّهُ لَمْ يَتَقَيَّأْهَا حَتَّى شَرِبَهَا . فَقَالَ لِعَلِيٍّ رضى الله عنه أَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ . فَقَالَ عَلِيٌّ لِلْحَسَنِ أَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ . فَقَالَ الْحَسَنُ وَلِّ حَارَّهَا مَنْ تَوَلَّى قَارَّهَا . فَقَالَ عَلِيٌّ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ أَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ . قَالَ فَأَخَذَ السَّوْطَ فَجَلَدَهُ وَعَلِيٌّ يَعُدُّ فَلَمَّا بَلَغَ أَرْبَعِينَ قَالَ حَسْبُكَ جَلَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ - أَحْسِبُهُ قَالَ - وَجَلَدَ أَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ وَعُمَرُ ثَمَانِينَ وَكُلٌّ سُنَّةٌ وَهَذَا أَحَبُّ إِلَىَّ .
