কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৩. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৩৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২৮ - ৪৪২৯
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭৫. হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে স্বীকার করে যে, সে হারামভাবে একজন মহিলার সাথে যিনা করেছে, আর সে ব্যক্তি চারবার এরূপ স্বীকারোক্তি করে। কিন্তু নবী (ﷺ) প্রতিবারই তার কথা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর সে ব্যক্তি পঞ্চমবারের মত স্বীকারোক্তি করার জন্য হাযির হলে, নবী (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তার সাথে সঙ্গম করেছ? তখন সে বলেঃ হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার গুপ্তাঙ্গ কি তার গুপ্তাঙ্গের মধ্যে অদৃশ্য হয়েছিল? সে বলেঃ হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) তাকে আবার জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার গুপ্তাঙ্গ কি তার গুপ্তাঙ্গের মধ্যে এরূপ অদৃশ্য হয়েছিল, যেমন সুরমা দানির মধ্যে তার শলাকা বা কূপের মধ্যে রশি অদৃশ্য হয়ে যায়? তখন সে ব্যক্তি বলেঃ হ্যাঁ।
তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি জান, যিনা কী? সে বলেঃ যেরূপ কেউ হালাল ভাবে তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে, আমি এরূপই হারামভাবে তার সাথে সঙ্গম করেছি। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ এখন তুমি কিসের ইচ্ছা পোষণ কর? সে ব্যক্তি বলেঃ আমি আশা করি, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন। এরপর নবী করীম (ﷺ) তাকে ’রজম’ করার নির্দেশ দিলে, তা কার্যকরী করা হয়।
এরপর নবী (ﷺ) তাঁর দু’জন সাহাবীকে এরূপ বলতে শোনেন, যাদের একজন এরূপ বলছিল; আল্লাহ তাআলা তার গুনাহকে গোপন রেখেছিলেন, কিন্তু সে ব্যক্তি নিজে তা প্রকাশ করায় কুকুরের মত মৃত্যুবরণ করলো। একথা শুনে নবী (ﷺ) চুপ থাকেন। এরপর সামনে কিছু দূর গমনের পর তিনি দেখতে পান যে, একটি মৃত গাধা পড়ে আছে, যার পা উপরের দিকে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ অমুক, অমুক ব্যক্তি কোথায়?
তখন তারা দু’জন সেখানে হাযির হয়ে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা উপস্থিত। তখন তিনি তাদের বলেনঃ এসো এবং তোমরা এ মৃত গাধার গোশত ভক্ষণ কর। তখন তারা দু’জন বলেঃ হে আল্লাহর নবী! ইহা কে ভক্ষণ করে থাকে? তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা তোমাদের ভাইয়ের ক্রটি যেভাবে আলেচনা করেছ, তা এই মরা গাধার গোশত খাওয়ার চাইতেও গুরুতর! আল্লাহর শপথ! যার নিয়ন্ত্রণে আমার জীবন; তোমরা শুনে নাও! মা’ইয (রাযিঃ) এখন জান্নাতের নহরে গোসল করছে।
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। এতে আরো রয়েছেঃ হাসান ইবনু আলী বলেন, বর্ণনাকারী বিভিন্ন শব্দে হাদীসটি আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। কেউ বলেছেন, লোকজন মাঈযকে গাছের সঙ্গে বেঁধেছিল আবার কেউ বলেছেন, তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।
তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি জান, যিনা কী? সে বলেঃ যেরূপ কেউ হালাল ভাবে তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে, আমি এরূপই হারামভাবে তার সাথে সঙ্গম করেছি। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ এখন তুমি কিসের ইচ্ছা পোষণ কর? সে ব্যক্তি বলেঃ আমি আশা করি, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন। এরপর নবী করীম (ﷺ) তাকে ’রজম’ করার নির্দেশ দিলে, তা কার্যকরী করা হয়।
এরপর নবী (ﷺ) তাঁর দু’জন সাহাবীকে এরূপ বলতে শোনেন, যাদের একজন এরূপ বলছিল; আল্লাহ তাআলা তার গুনাহকে গোপন রেখেছিলেন, কিন্তু সে ব্যক্তি নিজে তা প্রকাশ করায় কুকুরের মত মৃত্যুবরণ করলো। একথা শুনে নবী (ﷺ) চুপ থাকেন। এরপর সামনে কিছু দূর গমনের পর তিনি দেখতে পান যে, একটি মৃত গাধা পড়ে আছে, যার পা উপরের দিকে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ অমুক, অমুক ব্যক্তি কোথায়?
তখন তারা দু’জন সেখানে হাযির হয়ে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা উপস্থিত। তখন তিনি তাদের বলেনঃ এসো এবং তোমরা এ মৃত গাধার গোশত ভক্ষণ কর। তখন তারা দু’জন বলেঃ হে আল্লাহর নবী! ইহা কে ভক্ষণ করে থাকে? তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা তোমাদের ভাইয়ের ক্রটি যেভাবে আলেচনা করেছ, তা এই মরা গাধার গোশত খাওয়ার চাইতেও গুরুতর! আল্লাহর শপথ! যার নিয়ন্ত্রণে আমার জীবন; তোমরা শুনে নাও! মা’ইয (রাযিঃ) এখন জান্নাতের নহরে গোসল করছে।
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। এতে আরো রয়েছেঃ হাসান ইবনু আলী বলেন, বর্ণনাকারী বিভিন্ন শব্দে হাদীসটি আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। কেউ বলেছেন, লোকজন মাঈযকে গাছের সঙ্গে বেঁধেছিল আবার কেউ বলেছেন, তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الصَّامِتِ ابْنَ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ جَاءَ الأَسْلَمِيُّ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَنَّهُ أَصَابَ امْرَأَةً حَرَامًا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ يُعْرِضُ عَنْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ فِي الْخَامِسَةِ فَقَالَ " أَنِكْتَهَا " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " حَتَّى غَابَ ذَلِكَ مِنْكَ فِي ذَلِكَ مِنْهَا " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " كَمَا يَغِيبُ الْمِرْوَدُ فِي الْمُكْحُلَةِ وَالرِّشَاءُ فِي الْبِئْرِ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " فَهَلْ تَدْرِي مَا الزِّنَا " . قَالَ نَعَمْ أَتَيْتُ مِنْهَا حَرَامًا مَا يَأْتِي الرَّجُلُ مِنِ امْرَأَتِهِ حَلاَلاً . قَالَ " فَمَا تُرِيدُ بِهَذَا الْقَوْلِ " . قَالَ أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي . فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَسَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِهِ يَقُولُ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ انْظُرْ إِلَى هَذَا الَّذِي سَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَلَمْ تَدَعْهُ نَفْسُهُ حَتَّى رُجِمَ رَجْمَ الْكَلْبِ . فَسَكَتَ عَنْهُمَا ثُمَّ سَارَ سَاعَةً حَتَّى مَرَّ بِجِيفَةِ حِمَارٍ شَائِلٍ بِرِجْلِهِ فَقَالَ " أَيْنَ فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ " . فَقَالاَ نَحْنُ ذَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " انْزِلاَ فَكُلاَ مِنْ جِيفَةِ هَذَا الْحِمَارِ " . فَقَالاَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَنْ يَأْكُلُ مِنْ هَذَا قَالَ " فَمَا نِلْتُمَا مِنْ عِرْضِ أَخِيكُمَا آنِفًا أَشَدُّ مِنْ أَكْلٍ مِنْهُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهُ الآنَ لَفِي أَنْهَارِ الْجَنَّةِ يَنْقَمِسُ فِيهَا " .
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِنَحْوِهِ زَادَ وَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ رُبِطَ إِلَى شَجَرَةٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ وَقَفَ .
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِنَحْوِهِ زَادَ وَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ رُبِطَ إِلَى شَجَرَةٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ وَقَفَ .
