কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩০. ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
হাদীস নং: ৪২০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৮
২. ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি না করা সম্পর্কে।
৪২০৯. আমর ইবনে উছমান (রাহঃ) .... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী (ﷺ)-কে এরূপ বলতে শুনেছি। এরপর তিনি আবু বাকরা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করে বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ এ ফিতনায় যারা যারা মারা যাবে, তারা জাহান্নামে যাবে।
রাবী বলেনঃ তখন আমি ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ এ অবস্থার সৃষ্টি কখন হবে? তিনি বলেনঃ যখন ব্যাপক হত্যা শুরু হবে, এমনকি বন্ধু ও বন্ধুর হাত থেকে রক্ষা পাবে না। আমি বলিঃ যদি আমি সে সময় পাই, তবে আপনি আমাকে কি করতে বলেন? তিনি বলেনঃ তুমি তোমার হাত ও মুখকে নিয়ন্ত্রিত করবে এবং নিজ ঘরে জড়-পদার্থের ন্যায় অবস্থান করবে।
এরপর উছমান (রাযিঃ)-কে যখন শহীদ করা হয়, তখন আমার ধারণা হয় যে, সে ফিতনা শুরু হয়েছে। তখন আমি আমার বাহনে সওয়ার হয়ে দামিশকে চলে যাই এবং সেখানে হুরায়ম ইবনে ফাতিক (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করি এবং তাঁর কাছে এ হাদীস বর্ণনা করি। তখন তিনি আল্লাহর নামে শপথ করেন, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং বলেনঃ আমি ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ শুনেছি, যেরূপ তুমি ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করলে।
রাবী বলেনঃ তখন আমি ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ এ অবস্থার সৃষ্টি কখন হবে? তিনি বলেনঃ যখন ব্যাপক হত্যা শুরু হবে, এমনকি বন্ধু ও বন্ধুর হাত থেকে রক্ষা পাবে না। আমি বলিঃ যদি আমি সে সময় পাই, তবে আপনি আমাকে কি করতে বলেন? তিনি বলেনঃ তুমি তোমার হাত ও মুখকে নিয়ন্ত্রিত করবে এবং নিজ ঘরে জড়-পদার্থের ন্যায় অবস্থান করবে।
এরপর উছমান (রাযিঃ)-কে যখন শহীদ করা হয়, তখন আমার ধারণা হয় যে, সে ফিতনা শুরু হয়েছে। তখন আমি আমার বাহনে সওয়ার হয়ে দামিশকে চলে যাই এবং সেখানে হুরায়ম ইবনে ফাতিক (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করি এবং তাঁর কাছে এ হাদীস বর্ণনা করি। তখন তিনি আল্লাহর নামে শপথ করেন, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং বলেনঃ আমি ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ শুনেছি, যেরূপ তুমি ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করলে।
باب فِي النَّهْىِ عَنِ السَّعْىِ، فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ خِرَاشٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاشِدٍ الْجَزَرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ وَابِصَةَ الأَسَدِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، وَابِصَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فَذَكَرَ بَعْضَ حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ " قَتْلاَهَا كُلُّهُمْ فِي النَّارِ " . قَالَ فِيهِ قُلْتُ مَتَى ذَلِكَ يَا ابْنَ مَسْعُودٍ قَالَ تِلْكَ أَيَّامُ الْهَرْجِ حَيْثُ لاَ يَأْمَنُ الرَّجُلُ جَلِيسَهُ . قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ الزَّمَانُ قَالَ تَكُفُّ لِسَانَكَ وَيَدَكَ وَتَكُونُ حِلْسًا مِنْ أَحْلاَسِ بَيْتِكَ . فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ طَارَ قَلْبِي مَطَارَهُ فَرَكِبْتُ حَتَّى أَتَيْتُ دِمَشْقَ فَلَقِيتُ خُرَيْمَ بْنَ فَاتِكٍ فَحَدَّثْتُهُ فَحَلَفَ بِاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَسَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا حَدَّثَنِيهِ ابْنُ مَسْعُودٍ .
