কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২৭. পোশাক-পরিচ্ছদের ইসলামী বিধান
হাদীস নং: ৪১০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫৩
৪৫. ছবি সম্পর্কে।
৪১০৬. ওয়াহাব ইবনে বাকীয়া (রাহঃ) .... আবু তালহা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী (ﷺ)কে বলতে শুনেছিঃ যে ঘরে কুকুর এবং ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফিরিশতা প্রবেশ করে না। রাবী যায়দ ইবনে খালিদ (রাহঃ) সাঈদ ইবনে ইয়াসার (রাহঃ)-কে তার সঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার জন্য যেতে অনুরোধ করেন। রাবী বলেনঃ আমরা তাঁর কাছে গিয়ে বলিঃ হে উম্মুল মু’মিনীন! আবু তালহা (রাযিঃ) আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ হাদিছ বর্ণনা করেছেন। আপনি কি নবী (ﷺ) থেকে এ ধরনের কোন হাদিছ শুনেছেন? তিনি বলেনঃ না, তবে আমি তোমাদের কাছে আমার চোখে দেখা একটি ঘটনা বর্ণনা করব যা তিনি করেন।
একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন এক যুদ্ধে গেলে, আমি তাঁর ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলাম। এ সময় আমি একটি পর্দা নিয়ে দরজায় ঝুলিয়ে দেই। তিনি ফিরে আসলে আমি তাঁকে স্বাগতম জানিয়ে বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার প্রতি সালাম, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি আপনাকে সম্মানিত ও মহিমান্বিত করেছেন। তিনি ঘরের দরজার দিকে তাকিয়ে, আমার সালামের কোন জবাব দিলেন না এবং আমি তাঁর চেহারায় রাগের চিহ্ন দেখতে পাই। এরপর তিনি পর্দার কাছে গিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেন এবং বলেনঃ আল্লাহ তাআলা আমাকে এরূপ নির্দেশ দেননি যে, আমি তাঁর প্রদত্ত রিযিক থেকে ইট-পাথরকে কাপড় পরিধান করাই। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি সেটি দুই টুকরা করে, তার মধ্যে খেজুরের পাতা ভরে দু’টি বালিশ তৈরী করি; এতে তিনি কোনরূপ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন নি।
একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন এক যুদ্ধে গেলে, আমি তাঁর ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলাম। এ সময় আমি একটি পর্দা নিয়ে দরজায় ঝুলিয়ে দেই। তিনি ফিরে আসলে আমি তাঁকে স্বাগতম জানিয়ে বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার প্রতি সালাম, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি আপনাকে সম্মানিত ও মহিমান্বিত করেছেন। তিনি ঘরের দরজার দিকে তাকিয়ে, আমার সালামের কোন জবাব দিলেন না এবং আমি তাঁর চেহারায় রাগের চিহ্ন দেখতে পাই। এরপর তিনি পর্দার কাছে গিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেন এবং বলেনঃ আল্লাহ তাআলা আমাকে এরূপ নির্দেশ দেননি যে, আমি তাঁর প্রদত্ত রিযিক থেকে ইট-পাথরকে কাপড় পরিধান করাই। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি সেটি দুই টুকরা করে, তার মধ্যে খেজুরের পাতা ভরে দু’টি বালিশ তৈরী করি; এতে তিনি কোনরূপ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন নি।
باب فِي الصُّوَرِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ تِمْثَالٌ " . وَقَالَ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ نَسْأَلُهَا عَنْ ذَلِكَ . فَانْطَلَقْنَا فَقُلْنَا يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ أَبَا طَلْحَةَ حَدَّثَنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِكَذَا وَكَذَا فَهَلْ سَمِعْتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ ذَلِكَ قَالَتْ لاَ وَلَكِنْ سَأُحَدِّثُكُمْ بِمَا رَأَيْتُهُ فَعَلَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ وَكُنْتُ أَتَحَيَّنُ قُفُولَهُ فَأَخَذْتُ نَمَطًا كَانَ لَنَا فَسَتَرْتُهُ عَلَى الْعَرَضِ فَلَمَّا جَاءَ اسْتَقْبَلْتُهُ فَقُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَعَزَّكَ وَأَكْرَمَكَ فَنَظَرَ إِلَى الْبَيْتِ فَرَأَى النَّمَطَ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ شَيْئًا وَرَأَيْتُ الْكَرَاهِيَةَ فِي وَجْهِهِ فَأَتَى النَّمَطَ حَتَّى هَتَكَهُ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَأْمُرْنَا فِيمَا رَزَقَنَا أَنْ نَكْسُوَ الْحِجَارَةَ وَاللَّبِنَ " . قَالَتْ فَقَطَعْتُهُ وَجَعَلْتُهُ وِسَادَتَيْنِ وَحَشَوْتُهُمَا لِيفًا فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَىَّ .


বর্ণনাকারী: