কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২৭. পোশাক-পরিচ্ছদের ইসলামী বিধান

হাদীস নং: ৪০০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৫১
৮. রেশমী কাপড় পরিধানে নিষেধাজ্ঞা।
৪০০৯. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সোনার আংটি ও রেশমের বস্ত্র পরিধান করতে লাল জিন-পোশের উপর সওয়ার হতে নিষেধ করেছেন।
باب مَنْ كَرِهَهُ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هُبَيْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، - رضى الله عنه - قَالَ نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ وَعَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَالْمِيثَرَةِ الْحَمْرَاءِ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

বিভিন্ন রেশমী পোশাকের নিষেধাজ্ঞা

وعن المياثر الحمر এবং (তিনি নিষেধ করেছেন) লাল মায়াছির ব্যবহার করতে”। ইমাম নববী রহ. "المياثر -এর ব্যাখ্যা করেছেন যে, এ শব্দটি ميثرة এর বহুবচন। এটা একরকম গদি। রেশম দ্বারা তৈরি করা হয়। ভেতরে তুলা বা অন্যকিছুর পুর দেওয়া হয়। এটা উট, গাধা ইত্যাদি বাহনের পিঠে রেখে আরোহী তার উপর বসে।
হাদীছে বিশেষভাবে লাল মায়াছির নিষেধ করা হয়েছে এ কারণে যে, অনারব জাতির বিভিন্ন লোক বিলাসিতা হিসেবে সাধারণত লাল মায়াছির ব্যবহার করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে রেশমের তৈরি সব মায়াছিরই হারাম, তা যে রঙেরই হোক।
وعن القسي এবং (নিষেধ করেছেন) কাস্সী ব্যবহার করতে'। ইমাম নববী রহ. বলেন, এটা রেশম ও তুলার সুতায় বোনা একরকম কাপড়। এরূপ কাপড়ও ব্যবহার করা নাজায়েয, যদি রেশমের পরিমাণ সুতা অপেক্ষা বেশি হয়। 'কাস্স' মিসরের একটি জায়গার নাম। এ কাপড় বেশিরভাগ সেখানে তৈরি হত। তাই একে 'কাস্সী' বলা হয়। কেউ বলেছেন, قس (কাস্‌স) মূলত قز (কাযয)-এর পরিবর্তিত রূপ। কাযয মানে নিম্নমানের রেশম।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান