আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২৪- রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ১৮২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৫০
১২২২. রমযানের কাযা কখন আদায় করা হবে?
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, পৃথক পৃথক রাখলে কোন ক্ষতি নেই। কেননা, আল্লাহ বলেছেন, فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ‘অন্যদিনে এর সংখ্যা পূর্ণ করবে’ (২:১৮৪)।
সা’ঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলেছেন, রমযানের কাযা আদায় না করে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে রোযা পালন করা উচিত নয়।
ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ) বলেন, অবহেলার কারণে যদি পরবর্তী রমযান এসে যায় তাহলে উভয় রমযানের রোযা এক সাথে আদায় করবে। মিসকীন খাওয়াতে হবে বলে তিনি মনে করেন না।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত একটি মুরসাল হাদীসে এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে 'সে খাওয়াবে' মর্মে বর্ণিত আছে। অথচ আল্লাহ তাআলা খাওয়ানোর কথাটি উল্লেখ করেননি। বরং তিনি বলেছেন, فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ‘অন্য দিনে এর সংখ্যা পূর্ণ করবে’ (২:১৮৪)
১৮২৬। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার উপর রমযানের যে কাযা থেকে যেত, তা পরবর্তী শা'বান ছাড়া আমি আদায় করতে পারতাম না। ইয়াহয়া (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) এর ব্যস্ততার কারণে কিংবা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ব্যস্ততার কারণে।
بَابٌ: مَتَى يُقْضَى قَضَاءُ رَمَضَانَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: " لاَ بَأْسَ أَنْ يُفَرَّقَ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ} [البقرة: 184] " وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ المُسَيِّبِ فِي صَوْمِ العَشْرِ: «لاَ يَصْلُحُ حَتَّى يَبْدَأَ بِرَمَضَانَ» وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: " إِذَا فَرَّطَ حَتَّى جَاءَ رَمَضَانُ آخَرُ يَصُومُهُمَا، وَلَمْ يَرَ عَلَيْهِ طَعَامًا وَيُذْكَرُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مُرْسَلًا وَابْنِ عَبَّاسٍ: " أَنَّهُ يُطْعِمُ وَلَمْ يَذْكُرِ اللَّهُ الإِطْعَامَ، إِنَّمَا قَالَ: {فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ} [البقرة: 184] "
1950 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، تَقُولُ: «كَانَ يَكُونُ عَلَيَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ، فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَ إِلَّا فِي شَعْبَانَ» ، قَالَ يَحْيَى: الشُّغْلُ مِنَ النَّبِيِّ أَوْ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ১৮২৬ | মুসলিম বাংলা