আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২৪- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮২৫
আন্তর্জতিক নং: ১৯৪৯
পরিচ্ছেদঃ ১২২১. এ (রোযা) যাদেরকে অতিশয় কষ্ট দেয়, তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদয়া একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করা (২ঃ ১৮৪)
ইবনে উমর (রাযিঃ) এবং সালামা ইবনে আকওয়া (রাযিঃ) বলেন যে, উক্ত আয়াতকে রহিত করেছে এই আয়াতঃ 'রমযান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ পীড়িত থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে । আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ, তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর, তা চান না; এ জন্য যে, তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং তোমাদের সৎপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার' (২ : ১৮৫)।
ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ইবনে আবু লায়লা রাহঃ হতে বর্ণনা করেন যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সাহাবীগণ আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, রমযানের হুকুম নাযিল হলে তা পালন করা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই তাঁদের মধ্যে কেউ রোযা পালনে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও রোযা ত্যাগ করে প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাওয়াতো। এ ব্যাপারে তাঁদের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। তারপর وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ 'আর রোযা পালন করাই তোমাদের জন্য উত্তম' এ আয়াতটি পূর্বের হুকুমকে রহিত করে দেয় এবং সবাইকে রোযা পালনের নির্দেশ দেয়া হয়।
ইবনে উমর (রাযিঃ) এবং সালামা ইবনে আকওয়া (রাযিঃ) বলেন যে, উক্ত আয়াতকে রহিত করেছে এই আয়াতঃ 'রমযান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ পীড়িত থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে । আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ, তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর, তা চান না; এ জন্য যে, তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং তোমাদের সৎপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার' (২ : ১৮৫)।
ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ইবনে আবু লায়লা রাহঃ হতে বর্ণনা করেন যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সাহাবীগণ আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, রমযানের হুকুম নাযিল হলে তা পালন করা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই তাঁদের মধ্যে কেউ রোযা পালনে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও রোযা ত্যাগ করে প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাওয়াতো। এ ব্যাপারে তাঁদের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। তারপর وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ 'আর রোযা পালন করাই তোমাদের জন্য উত্তম' এ আয়াতটি পূর্বের হুকুমকে রহিত করে দেয় এবং সবাইকে রোযা পালনের নির্দেশ দেয়া হয়।
১৮২৫। আইয়াশ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি فِدْيَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ আয়াতটি পড়ে বলেছেন যে, এটি রহিত।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন