আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২৪- রোযার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩৮
১২১৫. রোযা পালনকারীর শিঙ্গা লাগানো বা বমি করা।
ইমাম বুখারী রহঃ বলেন, ইয়াহয়া ইবনে সালিহ রহঃ আমাকে বলেছেন ...... আব হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বমি করলে রোযা ভঙ্গ হয় না। কেননা এতে কিছু বের হয়, ভিতরে প্রবেশ করে না। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে এও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। প্রথম উক্তিটি বেশী সহীহ।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এবং ইকরিমা (রাহঃ) বলেন, কোন কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা নষ্ট হয়; কিন্তু বের হওয়ার কারণে নয়।
ইবনে উমর (রাযিঃ) রোযাদার অবস্থায় শিঙ্গা লাগাতেন। অবশ্য পরবর্তী সময়ে তিনি দিনে শিঙ্গা লাগানো ছেড়ে দিয়ে রাতে লাগাতেন।
আবু মুসা (রাযিঃ) রাতে শিঙ্গা লাগাতেন।
সা’দ, যায়দ ইবনে আরকাম এবং উম্মে সালামা (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তারা সকলেই রোযা পালনকারী অবস্থায় শিঙ্গা লাগাতেন।
বুকায়র (রাহঃ) উম্মে আলকামা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আমরা আয়িশা (রাযিঃ) এর সামনে শিঙ্গা লাগাতাম, তিনি আমাদের নিষেধ করতেন না।
হাসান (রাহঃ) হতে একাধিক রাবী সূত্রে মারফু’ হাদীস আছে যে, শিঙ্গা প্রয়োগকারী এবং গ্রহণকারী উভয়ের রোযাই নষ্ট হয়ে যাবে। ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, আইয়াশ (রাহঃ) হাসান (রাহঃ) হতে আমার নিকট অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ কি নবী (ﷺ) হতে বর্ণিত? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।
১৮১৪। মুআল্লা ইবনে আসাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) মুহরিম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং রোযাদার অবস্থায়ও শিঙ্গা লাগিয়েছেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন