কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২১. (হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৬৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭১৯
৪৪২. মশকে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা।
৩৬৭৭. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতেন, অপবিত্র বস্তু ভক্ষণকারী জানোয়ারের পিঠে আরোহণ করতে এবং তীর খাওয়া পশুর গোশত ভক্ষণ করতে নিষেধ করেছেন।[১]

[১] অর্থাৎ ঐ পশুর গোশত, যে তীরের আঘাতে মারা গেছে এবং তা যবাহ করা হয়নি। এরূপ পশুর গোশত খাওয়া
হালাল নয়। (অনুবাদক)
باب الشَّرَابِ مِنْ فِي السِّقَاءِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الشُّرْبِ مِنْ فِي السِّقَاءِ وَعَنْ رُكُوبِ الْجَلاَّلَةِ وَالْمُجَثَّمَةِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْجَلاَّلَةُ الَّتِي تَأْكُلُ الْعَذِرَةَ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীছটিতে কলস বা মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনও কোনও ফকীহ এর কারণ বলেছেন এই যে, এভাবে পানি পান করলে কলসের ভেতর পানকারীর নিঃশ্বাস পড়তে পারে। পড়তে পারে তার পেট থেকে উঠে আসা গ্যাসও। এতে পানি অরুচিকর হয়ে যায়। সকলের সে পানি পান করার রুচি হবে না। তাই এভাবে পানি পান করা উচিত নয়।

তাছাড়া এভাবে পানি পান করলে নিজেরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। হয়তো অনেক বেশি পানি পড়ে তার নাকে-মুখে চলে যাবে। গলায় আটকে যেতে পারে। তাছাড়া কলসের ভেতর পোকা-মাকড়ও থাকতে পারে, যা তার মুখে চলে যাবে। এ বিষয়ে একটি হাদীছও আছে।
لَقَدْ شَرِبَ رَجُلٌ مِنْ فَم سِقَاء، فَانْسَابَ فِي بَطْنِهِ جَانٌّ، فَنَهَى رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اخْتِنَاث الْأَسْقِيَةِ
‘এক ব্যক্তি মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করল। তখন তার পেটে একটা সাপ ঢুকে গেল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশক উল্টে তার মুখ থেকে পানি পান করতে নিষেধ করে দিলেন।’(মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪১২৭: বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৬২)

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

কলস, মশক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা উচিত নয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
সুনানে আবু দাউদ - হাদীস নং ৩৬৭৭ | মুসলিম বাংলা