কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২১. (হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৬৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯২
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫০. সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধিরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলে যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা রাবীআ গোত্রের লোক, আমাদের ও আপনার মাঝে অন্তরায় সৃষ্টিকারী হল মুযার গোত্রের লোকেরা। সে জন্য আমরা সম্মানিত মাস[১] ব্যতীত আপনার নিকট উপস্থিত হতে পারি না। আপনি আমাদের এমন কিছু নির্দেশ দেন, যা আমরা নিজেরা আমল করবো এবং অন্য লোকদের নিকট তা পৌছে দেব। তিনি বলেনঃ আমি তোমাদের চারটি জিনিসের নির্দেশ দিচ্ছি এবং অপর চারটি জিনিস থেকে নিষেধ করছি। (আমি যা করার নির্দেশ দিচ্ছি, তা),
(১) আল্লাহর প্রতি এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। এ বলে তিনি তাঁর হাত দিয়ে একের প্রতি ইশারা করেন।
রাবী মুসাদ্দাদ (রাহঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) এরূপ বলেন যে, আল্লাহর উপর ঈমান আনা। এরপর এর ব্যাখ্যায় তাদের বলেনঃ এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল; (২) নামায কায়েম করা; (৩) যাকাত আদায় করা এবং (৪) গনিমতের মাল হতে এক পঞ্চমাংশ প্রদান করা।
আর আমি তোমাদের নিষেধ করছিঃ (১) কদুর খোল দ্বারা তৈরী পাত্র হতে; (২) সবুজ লাখার তৈরী পাত্র হতে; (৩) শীশার তৈরী বিশেষ পাত্র এবং (৪) কাঠের তৈরী পাত্র ব্যবহার করা হতে।[২]
ইবনে উবাইদ ’মুকীরের’ স্থানে ’নাকীর’ বলেছেন এবং মুসাদ্দাদ ’মুকীর’ এবং ’নাকীর’ বলেছেন, মুযাফফাত বলেন নি। ইমাম আবু দাউদ (রাযিঃ) বলেনঃ আবু জামরার নাম হলো নসর ইবনে ইমরান।
[১] যিল্কাদ, যিলহাজ্জ, মুহাররম ও সফর-এ চারটি মাসকে সম্মানিত মাস বলা হয়।
[২] বস্তুত ইসলামের প্রথম যুগেও উক্ত চার ধরনের পাত্রে মদপান করা হতো। এজন্য নবী (সা.) এ চার ধরনের পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেন, যাতে পাত্রের কারণে মদের খেয়াল ও না আসে, যা হারাম হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী কালে নবী (সা.) এ পাত্রগুলি ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেন। কেননা, পাত্রের তো কোন দোষ নেই, তাই সব ধরনের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে (অনুবাদক)।
(১) আল্লাহর প্রতি এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। এ বলে তিনি তাঁর হাত দিয়ে একের প্রতি ইশারা করেন।
রাবী মুসাদ্দাদ (রাহঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) এরূপ বলেন যে, আল্লাহর উপর ঈমান আনা। এরপর এর ব্যাখ্যায় তাদের বলেনঃ এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল; (২) নামায কায়েম করা; (৩) যাকাত আদায় করা এবং (৪) গনিমতের মাল হতে এক পঞ্চমাংশ প্রদান করা।
আর আমি তোমাদের নিষেধ করছিঃ (১) কদুর খোল দ্বারা তৈরী পাত্র হতে; (২) সবুজ লাখার তৈরী পাত্র হতে; (৩) শীশার তৈরী বিশেষ পাত্র এবং (৪) কাঠের তৈরী পাত্র ব্যবহার করা হতে।[২]
ইবনে উবাইদ ’মুকীরের’ স্থানে ’নাকীর’ বলেছেন এবং মুসাদ্দাদ ’মুকীর’ এবং ’নাকীর’ বলেছেন, মুযাফফাত বলেন নি। ইমাম আবু দাউদ (রাযিঃ) বলেনঃ আবু জামরার নাম হলো নসর ইবনে ইমরান।
[১] যিল্কাদ, যিলহাজ্জ, মুহাররম ও সফর-এ চারটি মাসকে সম্মানিত মাস বলা হয়।
[২] বস্তুত ইসলামের প্রথম যুগেও উক্ত চার ধরনের পাত্রে মদপান করা হতো। এজন্য নবী (সা.) এ চার ধরনের পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেন, যাতে পাত্রের কারণে মদের খেয়াল ও না আসে, যা হারাম হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী কালে নবী (সা.) এ পাত্রগুলি ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেন। কেননা, পাত্রের তো কোন দোষ নেই, তাই সব ধরনের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে (অনুবাদক)।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ - وَقَالَ مُسَدَّدٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَهَذَا، حَدِيثُ سُلَيْمَانَ قَالَ - قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا هَذَا الْحَىَّ مِنْ رَبِيعَةَ قَدْ حَالَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ كُفَّارُ مُضَرَ وَلَسْنَا نَخْلُصُ إِلَيْكَ إِلاَّ فِي شَهْرٍ حَرَامٍ فَمُرْنَا بِشَىْءٍ نَأْخُذُ بِهِ وَنَدْعُو إِلَيْهِ مَنْ وَرَاءَنَا . قَالَ " آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ الإِيمَانُ بِاللَّهِ وَشَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . وَعَقَدَ بِيَدِهِ وَاحِدَةً . وَقَالَ مُسَدَّدٌ الإِيمَانُ بِاللَّهِ ثُمَّ فَسَّرَهَا لَهُمْ شَهَادَةَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَأَنْ تُؤَدُّوا الْخُمُسَ مِمَّا غَنِمْتُمْ وَأَنْهَاكُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ وَالْمُقَيَّرِ " . وَقَالَ ابْنُ عُبَيْدٍ النَّقِيرِ مَكَانَ الْمُقَيَّرِ . وَقَالَ مُسَدَّدٌ وَالنَّقِيرِ وَالْمُقَيَّرِ وَلَمْ يَذْكُرِ الْمُزَفَّتِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو جَمْرَةَ نَصْرُ بْنُ عِمْرَانَ الضُّبَعِيُّ .
