আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২৪- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ১৭৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০৩
১১৯১. রোযা পালনের সময় মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন না করা।
১৭৮২। আদম ইবনে আবু ইয়াস (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তাঁর এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
باب مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فِي الصَّوْمِ
1903 - حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ المَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالعَمَلَ بِهِ، فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দেখেন, সর্বাবস্থায় দেখেন, তাঁর দৃষ্টি থেকে আমরা কখনোই লুকাতে পারি না— এ বিশ্বাস যার মনমস্তিষ্কে যতটা জাগরুক থাকে, গোনাহের কাজ থেকে তিনি ততটাই বেঁচে থাকতে পারেন। তাই আল্লাহ তাআলা দেখছেন— এ বিশ্বাসে কেউ যখন গোপনে পানাহার থেকে বিরত থাকছে, পরবর্তীতে যখন তার সামনে আরেকটি গোনাহের কাজ আসে, তখনো সে বিশ্বাসই তাকে এ গোনাহ থেকেও বাধা দিয়ে রাখে। আর রমযান মাসজুড়ে কেউ যখন এভাবে সবরকমের গোনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে, পরবর্তী সময়গুলোতেও তার জন্য তাকওয়ার এ পথ ধরে চলা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
আইনের কথা হল, কেউ যদি সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সিয়ামের নিয়তে পানাহার ও স্ত্রীমিলন থেকে বিরত থাকে, এতটুকুতেই তার সিয়াম আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হাদীসে শুনিয়েছেন কঠোর এক সতর্কবাণী—
(সিয়ামরত অবস্থায়) যে মিথ্যা কথা আর অন্যায় কাজ ছাড়তে পারল না, তার পানাহার বর্জনের কোনো প্রয়োজন আল্লাহর নেই। —সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০৩
অর্থাৎ সিয়ামের হক পরিপূর্ণরূপে আদায় করতে হলে অন্যায় কাজ ছাড়তে হবে, অন্যায় কথা ছাড়তে হবে, পাপে জড়ানো যাবে না। তবেই হবে যথার্থ সিয়ামসাধনা। অন্যথায় এ সিয়াম পালনে ফরয দায়িত্বটুকু হয়তো পালিত হবে, কিন্তু এতে সিয়ামের প্রাণ বলে কিছু থাকবে না।
না দেখেও আল্লাহ তাআলাকে ভয় করার এ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আমরা যে কেবলই হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকতে পারব, তা নয়; বরং এ প্রশিক্ষণ আমাদের যতটা পাকাপোক্ত হবে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ইবাদতগুলোও ততটা প্রাণবন্ত হবে।
আইনের কথা হল, কেউ যদি সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সিয়ামের নিয়তে পানাহার ও স্ত্রীমিলন থেকে বিরত থাকে, এতটুকুতেই তার সিয়াম আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হাদীসে শুনিয়েছেন কঠোর এক সতর্কবাণী—
(সিয়ামরত অবস্থায়) যে মিথ্যা কথা আর অন্যায় কাজ ছাড়তে পারল না, তার পানাহার বর্জনের কোনো প্রয়োজন আল্লাহর নেই। —সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০৩
অর্থাৎ সিয়ামের হক পরিপূর্ণরূপে আদায় করতে হলে অন্যায় কাজ ছাড়তে হবে, অন্যায় কথা ছাড়তে হবে, পাপে জড়ানো যাবে না। তবেই হবে যথার্থ সিয়ামসাধনা। অন্যথায় এ সিয়াম পালনে ফরয দায়িত্বটুকু হয়তো পালিত হবে, কিন্তু এতে সিয়ামের প্রাণ বলে কিছু থাকবে না।
না দেখেও আল্লাহ তাআলাকে ভয় করার এ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আমরা যে কেবলই হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকতে পারব, তা নয়; বরং এ প্রশিক্ষণ আমাদের যতটা পাকাপোক্ত হবে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ইবাদতগুলোও ততটা প্রাণবন্ত হবে।
