কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
১৬. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭০
২২৪. সালাতুল জানাযা আদায় করা ও লাশের অনুগমন করার ফযীলত।
৩১৫৬. ওয়ালীদ ইবনে সূজা সাকূনী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যখন কোন মুসলমান লাশের উপর এমন চল্লিশজন লোক তার জানাযার নামায পড়ে, যারা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করে না, তাদের সুপারিশ ঐ মৃত ব্যক্তির পক্ষে কবুল করা হয়।
باب فَضْلِ الصَّلاَةِ عَلَى الْجَنَائِزِ وَتَشْيِيعِهَا
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ السَّكُونِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ فَيَقُومُ عَلَى جَنَازَتِهِ أَرْبَعُونَ رَجُلاً لاَ يُشْرِكُونَ بِاللَّهِ شَيْئًا إِلاَّ شُفِّعُوا فِيهِ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
জানাযার নামায ফরযে কেফায়া। কোনও মুসলিম ব্যক্তি মারা গেলে অন্যসব মুসলিমের কর্তব্য তার জানাযা পড়া। এটা মায়্যিতের হক। জানাযা পড়ার দ্বারা মৃত ব্যক্তির পক্ষে সুপারিশ করা হয়, যেন আল্লাহ তা'আলা তাকে ক্ষমা করে দেন। জানাযার দু'আয় পড়া হয়ে থাকে-
اللهُمَّ اغْفِرْ لِحَينَا وَمَيْتنَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأنْثَانَا، اللهم مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيهِ عَلَى الإِسْلامِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِيمَانِ
‘হে আল্লাহ! ক্ষমা করুন আমাদের মধ্যকার জীবিতকে, মৃতকে, উপস্থিতকে, অনুপস্থিতকে, ছোটকে, বড়কে, পুরুষকে ও নারীকে। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যাকে জীবিত রাখেন, তাকে জীবিত রাখুন ইসলামের উপর। আর যাকে মৃত্যুদান করেন, তাকে মৃত্যু দিন ঈমানের উপর ।
এ হাদীছে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে যে, এমন চল্লিশজন লোক, যারা আল্লাহর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক করে না, যদি কোনও মুসলিম ব্যক্তির জানাযা পড়ে, তবে তার পক্ষে তাদের সুপারিশ অবশ্যই কবুল করা হয়। অর্থাৎ তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
প্রকাশ থাকে যে, এর দ্বারা সাধারণত ক্ষমা করা হয় আল্লাহর হক। বিভিন্ন দলীল-প্রমাণ দ্বারা জানা যায় যে, বান্দার হক ক্ষমার জন্য যার হক নষ্ট করা হয়েছে তার পক্ষ থেকেও ক্ষমা পাওয়া জরুরি। সুতরাং বান্দার হক আদায়ের ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্কতা জরুরি। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তাঁর হকসমূহ আদায়ের পাশাপাশি তাঁর বান্দাদের যতরকম হক আছে তাও আদায় করার তাওফীক দান করুন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা জানাযার নামাযের ফযীলত জানা যায় যে, তা মায়্যিতের পক্ষে সুপারিশস্বরূপ।
খ. আমাদের কর্তব্য খুব গুরুত্বের সঙ্গে মুসলিম মায়্যিতের জানাযা আদায় করা এবং চেষ্টা করা যাতে জানাযা আদায়কারীদের সংখ্যা অন্ততপক্ষে চল্লিশজন হয়।
গ. এ হাদীছ দ্বারা শিরকের কদর্যতাও জানা যায়। তার জানাযা পড়ার কোনও মূল্য নেই। শিরকের কারণে সে নিজেই তো ক্ষমার অযোগ্য, যদি না তাওবা করে। এ অবস্থায় অন্যের পক্ষে সে কী সুপারিশ করবে?
اللهُمَّ اغْفِرْ لِحَينَا وَمَيْتنَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأنْثَانَا، اللهم مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيهِ عَلَى الإِسْلامِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِيمَانِ
‘হে আল্লাহ! ক্ষমা করুন আমাদের মধ্যকার জীবিতকে, মৃতকে, উপস্থিতকে, অনুপস্থিতকে, ছোটকে, বড়কে, পুরুষকে ও নারীকে। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যাকে জীবিত রাখেন, তাকে জীবিত রাখুন ইসলামের উপর। আর যাকে মৃত্যুদান করেন, তাকে মৃত্যু দিন ঈমানের উপর ।
এ হাদীছে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে যে, এমন চল্লিশজন লোক, যারা আল্লাহর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক করে না, যদি কোনও মুসলিম ব্যক্তির জানাযা পড়ে, তবে তার পক্ষে তাদের সুপারিশ অবশ্যই কবুল করা হয়। অর্থাৎ তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
প্রকাশ থাকে যে, এর দ্বারা সাধারণত ক্ষমা করা হয় আল্লাহর হক। বিভিন্ন দলীল-প্রমাণ দ্বারা জানা যায় যে, বান্দার হক ক্ষমার জন্য যার হক নষ্ট করা হয়েছে তার পক্ষ থেকেও ক্ষমা পাওয়া জরুরি। সুতরাং বান্দার হক আদায়ের ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্কতা জরুরি। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তাঁর হকসমূহ আদায়ের পাশাপাশি তাঁর বান্দাদের যতরকম হক আছে তাও আদায় করার তাওফীক দান করুন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা জানাযার নামাযের ফযীলত জানা যায় যে, তা মায়্যিতের পক্ষে সুপারিশস্বরূপ।
খ. আমাদের কর্তব্য খুব গুরুত্বের সঙ্গে মুসলিম মায়্যিতের জানাযা আদায় করা এবং চেষ্টা করা যাতে জানাযা আদায়কারীদের সংখ্যা অন্ততপক্ষে চল্লিশজন হয়।
গ. এ হাদীছ দ্বারা শিরকের কদর্যতাও জানা যায়। তার জানাযা পড়ার কোনও মূল্য নেই। শিরকের কারণে সে নিজেই তো ক্ষমার অযোগ্য, যদি না তাওবা করে। এ অবস্থায় অন্যের পক্ষে সে কী সুপারিশ করবে?
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
