কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
হাদীস নং: ৩০৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৬৭
১৭৪. যমীন খণ্ড করে বন্দোবস্ত দেওয়া।
৩০৫৬. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস (রাহঃ) .... সাখার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছাকীফের উপর জিহাদ পরিচালনা করেন। সাখার (রাযিঃ) এ খবর শুনে কিছু সৈন্য-সামন্ত নিয়ে নবী (ﷺ) এর সাহাজার্থে সেখানে পৌছান। তিনি সেখানে পৌছে দেখতে পান যে, নবী (ﷺ) ছাকীফ গোত্রের অবস্থান দুর্গ জয় না করে ফিরে আসছেন। এ সময় সাখার (রাযিঃ) মহান আল্লাহর নিকট এরূপ ওয়াদা করেন এবং তার যিম্মাদারী নেন যে, যতক্ষণ না এ দুর্গের লোকজন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আনুগত্য স্বীকার করে, ততক্ষণ আমি এ দুর্গ পরিত্যাগ করব না (অর্থাৎ অবরোধ করে রাখব)।
বস্তুত যতক্ষণ না ঐ দুর্গের লোকজন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আনুগত্য স্বীকার করলো, ততক্ষণ সাখার (রাযিঃ) সেখান হতে সরলেন না। অবশেষে সে দুর্গ বিজয়ের পর তিনি তাঁর নিকট এরূপ পত্র লিখেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! ছাকীফ গোত্রের লোকেরা আপনার নির্দেশ মত দুর্গ হতে অবতরণ করেছে। এখন আমি তাদের নিকট যাচ্ছি, তাদের কাছে অনেক ঘোড়া আছে। (এ খবর পাওয়ার পর) নবী (ﷺ) সকলকে জামাআতে নামায আদায়ের জন্য নির্দেশ দেন এবং (নামায শেষে) দশ বার আহমাস গোত্রের জন্য এরূপ দুআ করেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আহমাসের ঘোড়ায় এবং লোকে বরকত দান করুন।
এরপর সাখার (রাযিঃ) এবং তাঁর সাথীরা তাঁর নিকট আসেন। তখন মুগীরা ইবনে শো’বা (রাযিঃ) বলেনঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ! সাখার আমার ফুফীকে বন্দী করেছেন অথচ সে মুসলমান হয়েছে। তখন তিনি তাঁকে ডেকে বলেনঃ হে সাখার! যখন কোন কওম মুসলমান হয়, তখন তাদের জান-মালের হিফাযত করবে। তুমি মুগীরার ফুফীকে তাঁর নিকট ফিরিয়ে দাও। তখন তিনি তাকে (ফুফীকে) তাঁর (মুগীরার) হাতে প্রত্যর্পণ করেন। এরপর তিনি (সাখার) নবী (ﷺ)-এর নিকট এরূপ আবেদন করেন যে, বনু সালীমের একটি পুকুর আছে। তারা ইসলাম পরিত্যাগ করায় তা ছেড়ে চলে গেছে। অতএব, হে আল্লাহর নবী! আপনি আমাকে এবং আমার কওমকে ঐ পুকুরের নিকট বসবাসের অনুমতি দিন। তখন তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, ঠিক আছে। অতঃপর তিনি সেখানে বসবাস করতে থাকেন।
অবশেষে বনু-সালীম ইসলাম গ্রহণ করার পর সাখার (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলো এবং তাঁর কাছে তাদের পুকুরটি ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন করল। কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করেন। এরপর তারা নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয় এবং বলেঃ হে আল্লাহর নবী! আমরা ইসলাম কবুলের পর সাখারের কাছে গিয়েছিলাম, যাতে তিনি আমাদের পুকুরটি আমাদের ফিরিয়ে দেন। কিন্তু তিনি তা দিতে অস্বীকার করছেন। তখন তিনি তাঁকে (সাখার) ডাকান এবং বলেনঃ হে সাখার! যখন কোন কওম ইসলাম গ্রহণ করে, তখন তাদের জান-মাল নিরাপদ হয়ে যায়। সুতরাং ঐ কওমের পুকুরটি তাদের ফিরিয়ে দাও। তখন তিনি বলেনঃ হ্যাঁ দেব হে আল্লাহর নবী! সাখার বলেনঃ তখন আমি দেখতে পাই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারার রং লাজ-বিনম্রতার কারণে সাখার (রাযিঃ) হতে দাসী এবং পুকুর ফিরিয়ে দেওয়ায় পরিবর্তিত হয়ে লালবর্ণ ধারণ করেছে।
বস্তুত যতক্ষণ না ঐ দুর্গের লোকজন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আনুগত্য স্বীকার করলো, ততক্ষণ সাখার (রাযিঃ) সেখান হতে সরলেন না। অবশেষে সে দুর্গ বিজয়ের পর তিনি তাঁর নিকট এরূপ পত্র লিখেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! ছাকীফ গোত্রের লোকেরা আপনার নির্দেশ মত দুর্গ হতে অবতরণ করেছে। এখন আমি তাদের নিকট যাচ্ছি, তাদের কাছে অনেক ঘোড়া আছে। (এ খবর পাওয়ার পর) নবী (ﷺ) সকলকে জামাআতে নামায আদায়ের জন্য নির্দেশ দেন এবং (নামায শেষে) দশ বার আহমাস গোত্রের জন্য এরূপ দুআ করেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আহমাসের ঘোড়ায় এবং লোকে বরকত দান করুন।
এরপর সাখার (রাযিঃ) এবং তাঁর সাথীরা তাঁর নিকট আসেন। তখন মুগীরা ইবনে শো’বা (রাযিঃ) বলেনঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ! সাখার আমার ফুফীকে বন্দী করেছেন অথচ সে মুসলমান হয়েছে। তখন তিনি তাঁকে ডেকে বলেনঃ হে সাখার! যখন কোন কওম মুসলমান হয়, তখন তাদের জান-মালের হিফাযত করবে। তুমি মুগীরার ফুফীকে তাঁর নিকট ফিরিয়ে দাও। তখন তিনি তাকে (ফুফীকে) তাঁর (মুগীরার) হাতে প্রত্যর্পণ করেন। এরপর তিনি (সাখার) নবী (ﷺ)-এর নিকট এরূপ আবেদন করেন যে, বনু সালীমের একটি পুকুর আছে। তারা ইসলাম পরিত্যাগ করায় তা ছেড়ে চলে গেছে। অতএব, হে আল্লাহর নবী! আপনি আমাকে এবং আমার কওমকে ঐ পুকুরের নিকট বসবাসের অনুমতি দিন। তখন তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, ঠিক আছে। অতঃপর তিনি সেখানে বসবাস করতে থাকেন।
অবশেষে বনু-সালীম ইসলাম গ্রহণ করার পর সাখার (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলো এবং তাঁর কাছে তাদের পুকুরটি ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন করল। কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করেন। এরপর তারা নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয় এবং বলেঃ হে আল্লাহর নবী! আমরা ইসলাম কবুলের পর সাখারের কাছে গিয়েছিলাম, যাতে তিনি আমাদের পুকুরটি আমাদের ফিরিয়ে দেন। কিন্তু তিনি তা দিতে অস্বীকার করছেন। তখন তিনি তাঁকে (সাখার) ডাকান এবং বলেনঃ হে সাখার! যখন কোন কওম ইসলাম গ্রহণ করে, তখন তাদের জান-মাল নিরাপদ হয়ে যায়। সুতরাং ঐ কওমের পুকুরটি তাদের ফিরিয়ে দাও। তখন তিনি বলেনঃ হ্যাঁ দেব হে আল্লাহর নবী! সাখার বলেনঃ তখন আমি দেখতে পাই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারার রং লাজ-বিনম্রতার কারণে সাখার (রাযিঃ) হতে দাসী এবং পুকুর ফিরিয়ে দেওয়ায় পরিবর্তিত হয়ে লালবর্ণ ধারণ করেছে।
باب فِي إِقْطَاعِ الأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبُو حَفْصٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، قَالَ عُمَرُ - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ - قَالَ حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، صَخْرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا ثَقِيفًا فَلَمَّا أَنْ سَمِعَ ذَلِكَ صَخْرٌ رَكِبَ فِي خَيْلٍ يُمِدُّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِ انْصَرَفَ وَلَمْ يَفْتَحْ فَجَعَلَ صَخْرٌ يَوْمَئِذٍ عَهْدَ اللَّهِ وَذِمَّتَهُ أَنْ لاَ يُفَارِقَ هَذَا الْقَصْرَ حَتَّى يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُفَارِقْهُمْ حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَتَبَ إِلَيْهِ صَخْرٌ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ ثَقِيفًا قَدْ نَزَلَتْ عَلَى حُكْمِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَأَنَا مُقْبِلٌ إِلَيْهِمْ وَهُمْ فِي خَيْلٍ . فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالصَّلاَةِ جَامِعَةً فَدَعَا لأَحْمَسَ عَشْرَ دَعَوَاتٍ " اللَّهُمَّ بَارِكْ لأَحْمَسَ فِي خَيْلِهَا وَرِجَالِهَا " . وَأَتَاهُ الْقَوْمُ فَتَكَلَّمَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ صَخْرًا أَخَذَ عَمَّتِي وَدَخَلَتْ فِيمَا دَخَلَ فِيهِ الْمُسْلِمُونَ . فَدَعَاهُ فَقَالَ " يَا صَخْرُ إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا أَسْلَمُوا أَحْرَزُوا دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ فَادْفَعْ إِلَى الْمُغِيرَةِ عَمَّتَهُ " . فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ وَسَأَلَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِبَنِي سُلَيْمٍ قَدْ هَرَبُوا عَنِ الإِسْلاَمِ وَتَرَكُوا ذَلِكَ الْمَاءَ . فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَنْزِلْنِيهِ أَنَا وَقَوْمِي . قَالَ " نَعَمْ " . فَأَنْزَلَهُ وَأَسْلَمَ - يَعْنِي السُّلَمِيِّينَ - فَأَتَوْا صَخْرًا فَسَأَلُوهُ أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِمُ الْمَاءَ فَأَبَى فَأَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَسْلَمْنَا وَأَتَيْنَا صَخْرًا لِيَدْفَعَ إِلَيْنَا مَاءَنَا فَأَبَى عَلَيْنَا . فَأَتَاهُ فَقَالَ " يَا صَخْرُ إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا أَسْلَمُوا أَحْرَزُوا أَمْوَالَهُمْ وَدِمَاءَهُمْ فَادْفَعْ إِلَى الْقَوْمِ مَاءَهُمْ " . قَالَ نَعَمْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ . فَرَأَيْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَغَيَّرُ عِنْدَ ذَلِكَ حُمْرَةً حَيَاءً مِنْ أَخْذِهِ الْجَارِيَةَ وَأَخْذِهِ الْمَاءَ .


বর্ণনাকারী: