কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
হাদীস নং: ৩০৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৪৩
১৬৯. অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ সম্পর্কে।
৩০৩৩. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আবু শা’ছা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জাযা ইবনে মু’আবীয়ার লেখক ছিলাম, যিনি আহনাফ ইবনে কায়েসের চাচা ছিলেন। একবার উমর (রাযিঃ)-এর মৃত্যুর এক বছর আগে আমাদের নিকট (তাঁর লিখিত) এ মর্মের পত্র আসে; (যাতে এরূপ নির্দেশ ছিল যে), প্রত্যেক জাদুকরকে হত্যা করবে, অগ্নি-উপাসকদের প্রত্যেক মুহরিম ব্যক্তির সাথে বিবাহিত (তার বোন, খালা ইত্যাদি) কে বিচ্ছিন্ন করে দেবে, আর তাদের গুণগুণ শব্দ করা হতে বিরত থাকতে বলবে। তখন একদিনে আমরা তিনজন জাদুকরকে হত্যা করি এবং যে সব অগ্নি-উপাসকের সাথে কোন মুহরিম স্ত্রীলোকের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল, আল্লাহর কিতাব অনুসারে তাদের মাঝের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেই।
রাবী বলেনঃ একদা তিনি (আহনাফ ইবনে কায়স) অনেক খাদ্য পাক করে অগ্নি-উপাসকদের ডাকেন এবং তরবারি নিজের রানের উপর রাখেন। তখন তারা খাওয়ার পর কোন রূপ গুণশুন শব্দ করিনি। এরপর তারা এক বা দু’খচ্চরের বোঝা পরিমাণ রৌপ্য প্রদান করেন। আর উমর (রাযিঃ) অক্ষম অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ করেননি, যতক্ষণ না আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ’হাজার’ নামক স্থানের অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ করেছিলেন।
রাবী বলেনঃ একদা তিনি (আহনাফ ইবনে কায়স) অনেক খাদ্য পাক করে অগ্নি-উপাসকদের ডাকেন এবং তরবারি নিজের রানের উপর রাখেন। তখন তারা খাওয়ার পর কোন রূপ গুণশুন শব্দ করিনি। এরপর তারা এক বা দু’খচ্চরের বোঝা পরিমাণ রৌপ্য প্রদান করেন। আর উমর (রাযিঃ) অক্ষম অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ করেননি, যতক্ষণ না আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ’হাজার’ নামক স্থানের অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ করেছিলেন।
باب فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ مِنَ الْمَجُوسِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ بَجَالَةَ، يُحَدِّثُ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ وَأَبَا الشَّعْثَاءِ قَالَ كُنْتُ كَاتِبًا لِجَزْءِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَمِّ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ إِذْ جَاءَنَا كِتَابُ عُمَرَ قَبْلَ مَوْتِهِ بِسَنَةٍ اقْتُلُوا كُلَّ سَاحِرٍ وَفَرِّقُوا بَيْنَ كُلِّ ذِي مَحْرَمٍ مِنَ الْمَجُوسِ وَانْهَوْهُمْ عَنِ الزَّمْزَمَةِ فَقَتَلْنَا فِي يَوْمٍ ثَلاَثَةَ سَوَاحِرَ وَفَرَّقْنَا بَيْنَ كُلِّ رَجُلٍ مِنَ الْمَجُوسِ وَحَرِيمِهِ فِي كِتَابِ اللَّهِ وَصَنَعَ طَعَامًا كَثِيرًا فَدَعَاهُمْ فَعَرَضَ السَّيْفَ عَلَى فَخِذِهِ فَأَكَلُوا وَلَمْ يُزَمْزِمُوا وَأَلْقَوْا وِقْرَ بَغْلٍ أَوْ بَغْلَيْنِ مِنَ الْوَرِقِ وَلَمْ يَكُنْ عُمَرُ أَخَذَ الْجِزْيَةَ مِنَ الْمَجُوسِ حَتَّى شَهِدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا مِنْ مَجُوسِ هَجَرَ .
