কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত

হাদীস নং: ২৯৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০০
১৬০. মদীনা হতে ইয়াহুদীদের কিরূপে বের করা হয়েছিল।
২৯৯০. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে ফারিস (রাহঃ) ..... কা’ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ছিলেন ঐ তিনজনের একজন যার তাওবা (তাবূকের যুদ্ধের পর) কবুল করা হয়। কা’ব ইবনে আশরাফ নবী (ﷺ) সম্পর্কে ব্যাঙ্গাত্তক কবিতা রচনা করত এবং কাফির কুরাইশদের তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্ররোচিত করত। নবী (ﷺ) যখন মদীনায় আসেন, তখন সেখানে সব ধরনের লোকের বসবাস ছিল, যেমনঃ কিছু ছিল মুসলমান, কিছু ছিল মূর্তি-পূজারী মুশরিক এবং কিছু ছিল ইয়াহুদী, যারা নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীদের খুবই কষ্ট দিত। তখন মহান আল্লাহ তাঁর সবর করার জন্য এবং ক্ষমা করার জন্য হুকুম নাযিল করেন। তখন তাদের শানে আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেনঃ

وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ

অর্থাৎ তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাব ও মুশরিকদের নিকট হতে বহু কষ্টদায়ক কথাবার্তা শ্রবণ করবে।

এরপর যখন কা’ব ইবনে আশরাফ নবী (ﷺ) সম্পর্কে ব্যাঙ্গ ও বিদ্রূপাত্মক কবিতা রচনা করা হতে বিরত থাকতে অস্বীকার করে, তখন নবী (ﷺ) সা’দ ইবনে মু’আয (রাযিঃ)-কে তাকে হত্যা করার জন্য একটি দল পাঠাবার জন্য নির্দেশ দেন। যিনি মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামাকে এ উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন। রাবী কা’ব (রাযিঃ) তার (কা’ব ইবনে আশরাফের) হত্যার কাহিনী বর্ণনা করেছেন।

অবশেষে প্রেরিত বাহিনী যখন কা’ব ইবনে আশরাফকে হত্যা করে, তখন ইয়াহুদী ও মুশরিকরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে সকাল বেলা নবী (ﷺ) এর নিকট হাযির হয় এবং তারা বলেঃ রাত্রিতে কেউ আক্রমণ করে আমাদের নেতাকে হত্যা করে ফেলেছে। তখন নবী (ﷺ) কা’ব ইবনে আশরাফের হিজু বা ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ করার কথা তাদের কাছে ব্যক্ত করেন। এরপর নবী (ﷺ) তাদের নিকট হতে এমন একটি অঙ্গীকার পত্র লিখে নিতে বলেন, যাতে দু’পক্ষের কেউ কাউকে কোনরূপ কষ্ট না দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকে। অতঃপর নবী (ﷺ) নিজের, তাদের ও সমস্ত মুসলমানদের পক্ষ হতে একটি ইকরারনামা বা অঙ্গীকার-পত্র লিখিয়ে দেন।
باب كَيْفَ كَانَ إِخْرَاجُ الْيَهُودِ مِنَ الْمَدِينَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، أَنَّ الْحَكَمَ بْنَ نَافِعٍ، حَدَّثَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، - وَكَانَ أَحَدَ الثَّلاَثَةِ الَّذِينَ تِيبَ عَلَيْهِمْ - وَكَانَ كَعْبُ بْنُ الأَشْرَفِ يَهْجُو النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَيُحَرِّضُ عَلَيْهِ كُفَّارَ قُرَيْشٍ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَأَهْلُهَا أَخْلاَطٌ مِنْهُمُ الْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ يَعْبُدُونَ الأَوْثَانَ وَالْيَهُودُ وَكَانُوا يُؤْذُونَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابَهُ فَأَمَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ نَبِيَّهُ بِالصَّبْرِ وَالْعَفْوِ فَفِيهِمْ أَنْزَلَ اللَّهُ ( وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ ) الآيَةَ فَلَمَّا أَبَى كَعْبُ بْنُ الأَشْرَفِ أَنْ يَنْزِعَ عَنْ أَذَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ أَنْ يَبْعَثَ رَهْطًا يَقْتُلُونَهُ فَبَعَثَ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ وَذَكَرَ قِصَّةَ قَتْلِهِ فَلَمَّا قَتَلُوهُ فَزِعَتِ الْيَهُودُ وَالْمُشْرِكُونَ فَغَدَوْا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا طُرِقَ صَاحِبُنَا فَقُتِلَ . فَذَكَرَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الَّذِي كَانَ يَقُولُ وَدَعَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَنْ يَكْتُبَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ كِتَابًا يَنْتَهُونَ إِلَى مَا فِيهِ فَكَتَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ عَامَّةً صَحِيفَةً .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান