কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
হাদীস নং: ২৯৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭২
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬২. আব্দুল্লাহ ইবনে জাররাহ (রাহঃ) ..... মুগীরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমর ইবনে আব্দুল আযীয খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর বনু মারোয়ানকে সমবেত করে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ফিদাকের আয় হতে পরিবার-পরিজন ও ফকীর-মিসকীনদের ব্যয় নির্বাহ করতেন, বনু হাশিম গোত্রের ছোট বাচ্চাদের প্রতি ইহসান করতেন, বিধবা এবং অবিবাহিত নারীদের জন্য খরচ করতেন। একবার ফাতিমা (রাযিঃ) তাঁর নিকট ফিদাকের সস্পদপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। বস্তুত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় ঐ সম্পদ ঐরূপেই অবশিষ্ট ছিল। এমনকি তাঁর ইন্তিকালের সময় পর্যন্ত এ পদ্ধতি চালু ছিল।
অতঃপর আবু বকর (রাযিঃ) খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর ফিদাকের ধন-সম্পত্তির ব্যাপারে ঐ নিয়ম চালু রাখেন, যা নবী (ﷺ)-এর যামানায় চালু ছিল। এরপর উমর (রাযিঃ) যখন এর মুতাওয়াল্লী নির্বাচিত হন, তখন তিনিও ঐ মালের ব্যাপারে একই নীতি অবলম্বন করেন, যা নবী (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর মৃত্যু সময়ও ঐ নীতি চালু ছিল।
পরে মারোয়ান একে নিজের জায়গীর বানিয়ে নেন। অবশেষে তা উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর নিয়ন্ত্রণে আসে। তখন তিনি এ খেয়াল করেন যে, নবী (ﷺ) যখন এ মাল ফাতিমা (রাযিঃ) কে প্রদান করেননি, তখন আমার জন্যও তা ভোগ করা উচিত হবে না। সে জন্য আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছিঃ আমি ঐ সম্পদ তার মূল অবস্থায় ফিরিয়ে দিচ্ছি, যেমন তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানায় ছিল। (আর আগে যেভাবে যাদের প্রয়োজনে তা ব্যবহৃত হতো, তেমনি পরেও তা ঐভাবেই ব্যবহৃত হবে)।
অতঃপর আবু বকর (রাযিঃ) খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর ফিদাকের ধন-সম্পত্তির ব্যাপারে ঐ নিয়ম চালু রাখেন, যা নবী (ﷺ)-এর যামানায় চালু ছিল। এরপর উমর (রাযিঃ) যখন এর মুতাওয়াল্লী নির্বাচিত হন, তখন তিনিও ঐ মালের ব্যাপারে একই নীতি অবলম্বন করেন, যা নবী (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর মৃত্যু সময়ও ঐ নীতি চালু ছিল।
পরে মারোয়ান একে নিজের জায়গীর বানিয়ে নেন। অবশেষে তা উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর নিয়ন্ত্রণে আসে। তখন তিনি এ খেয়াল করেন যে, নবী (ﷺ) যখন এ মাল ফাতিমা (রাযিঃ) কে প্রদান করেননি, তখন আমার জন্যও তা ভোগ করা উচিত হবে না। সে জন্য আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছিঃ আমি ঐ সম্পদ তার মূল অবস্থায় ফিরিয়ে দিচ্ছি, যেমন তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানায় ছিল। (আর আগে যেভাবে যাদের প্রয়োজনে তা ব্যবহৃত হতো, তেমনি পরেও তা ঐভাবেই ব্যবহৃত হবে)।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ جَمَعَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَنِي مَرْوَانَ حِينَ اسْتُخْلِفَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَتْ لَهُ فَدَكُ فَكَانَ يُنْفِقُ مِنْهَا وَيَعُودُ مِنْهَا عَلَى صَغِيرِ بَنِي هَاشِمٍ وَيُزَوِّجُ مِنْهَا أَيِّمَهُمْ وَإِنَّ فَاطِمَةَ سَأَلَتْهُ أَنْ يَجْعَلَهَا لَهَا فَأَبَى فَكَانَتْ كَذَلِكَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ فَلَمَّا أَنْ وَلِيَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه عَمِلَ فِيهَا بِمَا عَمِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي حَيَاتِهِ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ فَلَمَّا أَنْ وَلِيَ عُمَرُ عَمِلَ فِيهَا بِمِثْلِ مَا عَمِلاَ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ ثُمَّ أَقْطَعَهَا مَرْوَانُ ثُمَّ صَارَتْ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ - يَعْنِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ - فَرَأَيْتُ أَمْرًا مَنَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ لَيْسَ لِي بِحَقٍّ وَأَنَا أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ رَدَدْتُهَا عَلَى مَا كَانَتْ يَعْنِي عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
