কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত

হাদীস নং: ২৯৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৩
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৩. হাসান ইবনে আলী ও মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে ফারিয মা’না (রাহঃ) .... মালিক ইবনে হাদাসান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমর (রাযিঃ) দিনের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর আমাকে ডেকে পাঠান। আমি তখন তাঁর কাছে উপস্থিত হই এবং তাকে চাদর শূন্য একটা বিছানার উপর উপবিষ্ট দেখতে পাই। যখন আমি তাঁর কাছে পৌছাই, তখন তিনি আমাকে বলেনঃ হে মালিক! তোমার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কিছু মাল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এখন তুমি তা তাদের মাঝে বণ্টন করে দাও।

আমি বললামঃ আমাকে বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে একাজের নির্দেশ দিতেন, (তবে ভাল হতো)। তখন তিনি বললেনঃ তুমি-ই এ দায়িত্ব গ্রহণ কর। এ সময় ইয়ারফা (রাযিঃ) সেখানে হাযির হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ), আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ), যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ) এবং সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদেরকে আমার কাছে আসতে দাও।

তখন তাঁরা সেখানে প্রবেশ করে। পরে ইয়ারফা উপস্থিত হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার নিকট আব্বাস (রাযিঃ) ও আলী (রাযিঃ) আসার জন্য অনুমতি চাচ্ছেন। তখন তিনি [উমর (রাযিঃ)] বললেনঃ তাদের আসতে দাও। পরে এ দু’জনও তাঁর নিকট হাযির হন। আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি আমার ও এর মধ্যকার ব্যাপারটি ফয়সালা করে দিন। তখন উপস্থিত লোকদের থেকে জনৈক ব্যক্তি বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! এদের ব্যাপারটি মীমাংশা করে দিন এবং এদের উপর রহম করুন।(১)

মালিক ইবনে আওস (রাযিঃ) বলেনঃ আমার ধারণা আব্বাস (রাযিঃ) এবং আলী (রাযিঃ) এ ব্যাপারের জন্য পূর্বোক্ত ব্যক্তিদের আগেই প্রেরণ করেন। তখন উমর (রাযিঃ) বলেনঃ ব্যস্ত হবেন না, ধৈর্য ধরুন, শান্ত হন। অতঃপর তিনি উছমান (রাযিঃ) ও অন্যদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) কোন মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদ্‌কা। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ।

অতঃপর আলী (রাযিঃ) ও আব্বাস (রাযিঃ)-কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞানা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি অবগত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ বলেছেনঃ আমরা মীরাছ রেখে যাই না, বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদ্‌কা। তখন তারা উভয়ে বলেনঃ হ্যাঁ। তিনি [উমর (রাযিঃ)] বলেনঃ আল্লাহ তা’আল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এমন কিছু খাস বৈশিষ্ট প্রদান করেন, যা অন্য আর কাউকে দেননি। যেমন, আল্লাহ বলেছেনঃ

وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

অর্থাৎ আর যা কিছু আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দিয়েছেন, তাদের নিকট হতে, তা লাভের জন্য তোমরা ঘোড়া এবং উট পরিচালিত করনি; বরং আল্লাহ তাঁর রাসূলদের বিজয়ী করেন যার উপর তিনি ইচ্ছা করেন। আর আল্লাহ হলেন সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

বস্তুত আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বনু নযীর গোত্রের মাল প্রদান করেছিলেন। আল্লাহর শপখ! তিনি এই মালের উপর তোমাদের একচেটিয়া প্রাধান্য প্রদান করেননি এবং তোমাদের বাদ দিয়ে অন্য কেউ তা গ্রহণ করেনি। বরং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তো এই মাল হতে তাঁর ও তাঁর পরিবারবর্গের ভরণ-পোষণের নিমিত্ত এক বছরের খরচের পরিমাণ সম্পদ গ্রহণ করতেন এবং অবশিষ্ট মাল অন্যান্য গনিমতের মালের অনুরূপ হতো। অতঃপর তিনি [উমর (রাযিঃ)] তাঁদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন? তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ। তখন তিনি আব্বাস (রাযিঃ) ও আলী (রাযিঃ) কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন? তখন তাঁরা (দু’জনে) বলেনঃ হ্যাঁ।

বস্তুত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইন্তিকালের পর [আবু বকর (রাযিঃ) যখন খলীফা নির্বাচিত হন], তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খলীফা। তখন আপনি (হে আব্বাস) এবং এ ব্যক্তি [আলী (রাযিঃ)] আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন। এ সময় আপনি আপনার ভাতিজার পরিত্যক্ত সস্পদের উত্তরাধিকারিত্বের দাবি করছিলেন এবং ইনি তাঁর স্ত্রীর সম্মানিত পিতা (রাসূলুল্লাহ (ﷺ))-এর মীরাছ দাবি করছিলেন। তখন তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা ছেড়ে যাই, তা হলো সাদ্‌কা। আর আল্লাহ জানেন, আবু বকর (রাযিঃ) ছিলেন সত্যবাদী, নেকবখত, সত্য পথের দিশারী এবং সত্যের অনুসারী। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। আবু বকর (রাযিঃ)-এর ইনতিকালের পর, আমি খলীফা মনোনীত হওয়ার পর বলিঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পক্ষ হতে এ মালের তত্ত্বাবধায়ক।

আর আমি মালের তত্ত্বাবধায়ক ততদিন থাকব, যতদিন আল্লাহ চান। এখন আপনারা দু’জন এসেছেন এবং আপনারা একই খেয়ালের অধিকারী। আপনারা আমার নিকট উক্ত মাল দাবী করছেন। আমার বক্তব্য এই যে, যদি আপনারা চান, তবে এ শর্তের উপর আমি এ মাল আপনাদের দেব যে, আপনারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবেন যে আপনারা এ মালের দেখাশুনা এরূপই করবেন, যেমনভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করতেন।

আপনারা এ শর্তের উপর এ মাল আমার নিকট থেকে গ্রহণ করেছেন। আর এখন আপনারা উভয়ে আমার নিকট এ জন্য হাযির হয়েছেন যে, আমি যেন এর বিপরীত কোন ফয়সালা করি।

আল্লাহর শপথ! আমি যে ফয়সালা দিয়েছি, তাছাড়া অন্য কোন ফয়সালা আমি কিয়ামত পর্যন্ত দেব না। অবশ্য আপনারা যদি এ সম্পদ যথাযথরূপে দেখাশুনা করতে অপারগ হন, তবে এর দেখাশুনার দায়িত্ব আবার আমার উপর ন্যস্ত করুন। আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ তাঁরা দু’জন তাঁর কাছে এ দরখাস্ত করেন যে, এর দেখাশুনার দায়িত্ব আমাদের মাঝে বণ্টন করে দেন। আর এরূপ নয় যে, তারা নবী (ﷺ)-এর হাদীসঃ আমরা মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা ছেড়ে যাই, তা হলো সাদ্‌কা’’, সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। বস্তুত তাঁরা উভয়ে তাদের প্রাপ্যের প্রত্যাশায় ছিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি এ সম্পদের উপর বণ্টনের নাম আসতে দেব না, বরং আমি একে এর প্রথম অবস্থার উপর ছেড়ে দেব।[১]

[১] আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বনু-নযীর, খায়বর ও ফিদাকের যে সম্পদ দান করেছিলেন, হযরত আব্বাস (রা.) ও আলী (রা.) সে সম্পদে তাঁদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অংশ দাবী করছিলেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ الْمَعْنَى، قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، قَالَ أَرْسَلَ إِلَىَّ عُمَرُ حِينَ تَعَالَى النَّهَارُ فَجِئْتُهُ فَوَجَدْتُهُ جَالِسًا عَلَى سَرِيرٍ مُفْضِيًا إِلَى رِمَالِهِ فَقَالَ حِينَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ يَا مَالُ إِنَّهُ قَدْ دَفَّ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ قَوْمِكَ وَإِنِّي قَدْ أَمَرْتُ فِيهِمْ بِشَىْءٍ فَاقْسِمْ فِيهِمْ . قُلْتُ لَوْ أَمَرْتَ غَيْرِي بِذَلِكَ . فَقَالَ خُذْهُ . فَجَاءَهُ يَرْفَأُ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَالزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ نَعَمْ . فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا ثُمَّ جَاءَهُ يَرْفَأُ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلْ لَكَ فِي الْعَبَّاسِ وَعَلِيٍّ قَالَ نَعَمْ . فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا فَقَالَ الْعَبَّاسُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا - يَعْنِي عَلِيًّا - فَقَالَ بَعْضُهُمْ أَجَلْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنَهُمَا وَارْحَمْهُمَا . قَالَ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ خُيِّلَ إِلَىَّ أَنَّهُمَا قَدَّمَا أُولَئِكَ النَّفَرَ لِذَلِكَ . فَقَالَ عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ اتَّئِدَا . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أُولَئِكَ الرَّهْطِ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَالْعَبَّاسِ رضى الله عنهما فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . فَقَالاَ نَعَمْ . قَالَ فَإِنَّ اللَّهَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم بِخَاصَّةٍ لَمْ يَخُصَّ بِهَا أَحَدًا مِنَ النَّاسِ فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى ( وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ) وَكَانَ اللَّهُ أَفَاءَ عَلَى رَسُولِهِ بَنِي النَّضِيرِ فَوَاللَّهِ مَا اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ وَلاَ أَخَذَهَا دُونَكُمْ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذُ مِنْهَا نَفَقَةَ سَنَةٍ أَوْ نَفَقَتَهُ وَنَفَقَةَ أَهْلِهِ سَنَةً وَيَجْعَلُ مَا بَقِيَ أُسْوَةَ الْمَالِ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أُولَئِكَ الرَّهْطِ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْعَبَّاسِ وَعَلِيٍّ رضى الله عنهما فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ . فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتَ أَنْتَ وَهَذَا إِلَى أَبِي بَكْرٍ تَطْلُبُ أَنْتَ مِيرَاثَكَ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ وَيَطْلُبُ هَذَا مِيرَاثَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ قُلْتُ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَوَلِيُّ أَبِي بَكْرٍ فَوَلِيتُهَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ أَلِيَهَا فَجِئْتَ أَنْتَ وَهَذَا وَأَنْتُمَا جَمِيعٌ وَأَمْرُكُمَا وَاحِدٌ فَسَأَلْتُمَانِيهَا فَقُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا أَنْ أَدْفَعَهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ أَنْ تَلِيَاهَا بِالَّذِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلِيهَا فَأَخَذْتُمَاهَا مِنِّي عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ جِئْتُمَانِي لأَقْضِيَ بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ وَاللَّهِ لاَ أَقْضِي بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَرُدَّاهَا إِلَىَّ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِنَّمَا سَأَلاَهُ أَنْ يَكُونَ يُصَيِّرُهُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ لاَ أَنَّهُمَا جَهِلاَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . فَإِنَّهُمَا كَانَا لاَ يَطْلُبَانِ إِلاَّ الصَّوَابَ . فَقَالَ عُمَرُ لاَ أُوقِعُ عَلَيْهِ اسْمَ الْقَسْمِ أَدَعُهُ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সুনানে আবু দাউদ - হাদীস নং ২৯৫৩ | মুসলিম বাংলা