আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২২- ওমরার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৮২৪
১১৪৭. ইহরামধারী ব্যক্তি শিকার জন্তুর প্রতি ইশারা করবে না, যার ফলে ইহরামবিহীন ব্যক্তি শিকার করে নেয়
১৭০৭। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁকে তাঁর পিতা বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জে যাত্রা করলে তাঁরাও সকলে যাত্রা করলেন। তাঁদের থেকে একটি দলকে নবী (ﷺ) অন্য পথে পাঠিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে আবু কাতাদা (রাযিঃ)-ও ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা সমুদ্র তীরের রাস্তা ধরে অগ্রসর হবে আমাদের পরস্পর সাক্ষাত হওয়া পর্যন্ত। তাই তাঁরা সকলেই সমুদ্র তীরের পথ ধরে চলতে থাকেন। ফিরার পথে তাঁরা সবাই ইহরাম বাঁধলেন কিন্তু আবু কাতাদা (রাযিঃ) ইহরাম বাঁধলেন না। পথে চলতে চলতে তাঁরা কিছু বন্য গাধা দেখতে পেলেন। আবু কাতাদা (রাযিঃ) গাধাগুলোর উপর হামলা করে একটি মাদী গাধাকে হত্যা করে ফেললেন। এরপর একস্থানে অবতরণ করে তাঁরা সকলেই এর গোশত খেলেন। তারপর বললেন, আমরা তো মুহরিম, এ অবস্থায় আমরা কি শিকার জন্তুর গোশত খেতে পারি? তাই আমরা গাধাটির অবশিষ্ট অংশ উঠিয়ে নিলাম। তাঁরা রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর নিকট পৌঁছে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা ইহরাম বেধেছিলাম কিন্তু আবু কাতাদা (রাযিঃ) ইহরাম বাধেনি। এ সময় আমরা কতগুলো বন্যগাধা দেখতে পেলাম। আবু কাতাদা (রাযিঃ) এগুলোর উপর আক্রমণ করে একটি মাদী গাধা হত্যা করে ফেললেন। এক স্থানে অবতরণ করে আমরা সকলেই এর গোশত খেয়ে নেই। এরপর বললাম, আমরা তো মুহরিম, এ অবস্থায় কি আমরা শিকারকৃত জানোয়ারের গোশত খেতে পারি? এখন আমরা এর অবশিষ্ট গোশত নিয়ে এসেছি। নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের কেউ কি এর উপর আক্রমণ করতে তাঁকে আদেশ বা ইশারা করেছ? তাঁরা বললেন, না, আমরা তা করিনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তাহলে বাকি গোশত তোমরা খেয়ে নাও।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন