আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২২- ওমরার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১৩
১১৩৬. যার মতে বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপর কাযা ওয়াজিব নয়।
রাওহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, কাযা ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব, যে তার হজ্জ স্ত্রী উপভোগ করে নষ্ট করে দিয়েছে। তবে প্রকৃত ওযর কিংবা অন্য কোন বাধা থাকলে সে হালাল হয়ে যাবে এবং তাকে (কাযার জন্য) ফিরে আসতে হবে না। বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট কুরবানীর পশু থাকলে সেখানেই কুরবানী দিয়ে (হালাল হয়ে যাবে) যদি পশু কুরবানীর স্থানে পাঠাতে অক্ষম হয়। আর যদি সে তা পাঠাতে পারে তা হলে কুরবানীর জানোয়ারটি তার স্থানে না পৌছা পর্যন্ত হালাল হবে না।
ইমাম মালিক (রাহঃ) ও অন্যান্য উলামায়ে কিরাম বলেন, সে যেকোন স্থানে কুরবানীর পশুটি যবেহ করে মাথা মুড়িয়ে নিতে পারবে। তার উপর কোন কাযা নেই। কেননা, হুদায়বিয়াতে তাওয়াফের আগে এবং কুরবানীর জানোয়ার বায়তুল্লাহয় পৌছার পূর্বে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবীগণ যবেহ করেছেন, মাথা কামিয়েছেন এবং হালাল হয়ে গিয়েছেন। এর কোন উল্লেখও নেই যে, এরপর নবী করীম (ﷺ) কাউকে কাযা করার বা (পুনরায় হজ্জ আদায় করার জন্য) ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন, অথচ হুদায়বিয়া হারাম শরীফের বাইরে অবস্থিত।
১৬৯৭। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... নাফি’ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, (মক্কা মুকাররমায়) গোলযোগ চলাকালে উমরার নিয়ত করে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) যখন মক্কার দিকে রওয়ানা হলেন, তখন বললেন, বায়তুল্লাহ থেকে যদি আমি বাধাপ্রাপ্ত হই তাহলে তাই করব যা করেছিলাম আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে। তাই তিনি উমরার ইহরাম বাঁধলেন। কারণ, নবী (ﷺ)ও হুদায়বিয়ার বছর উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন। তারপর আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) নিজের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে বললেন, উভয়টিই (হজ্জ ও উমরা) এক রকম। এরপর তিনি তাঁর সাথীদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, উভয়টি তো একই রকম। আমি তোমাদের সাক্ষী করে বলছি, আমি আমার উপর উমরার সাথে হজ্জকে ওয়াজিব করে নিলাম। তিনি উভয়টির জন্য একই তাওয়াফ করলেন এবং এটাই তাঁর পক্ষ থেকে যথেষ্ট মনে করেন, আর তিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে নিয়েছিলেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন