আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২২- ওমরার অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৭
১১৩৩. উমরা আদায়কারী ব্যক্তি যদি অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
১৬৯১। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আসমা (রাহঃ) ......... নাফি’ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ও সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) উভয়ই তাঁকে সংবাদ দিয়েছেন, যে বছর হাজ্জাজ (ইবনে ইউসুফ) বাহিনী ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, সে সময়ে তাঁরা উভয়ে কয়েকদিন পর্যন্ত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বুঝালেন। তাঁরা বললেন, এ বছর হজ্জ না করলে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। আমরা আশষ্কা করছি, আপনার ও বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হয়েছিলাম। কিন্তু বায়তুল্লাহর পথে কাফির কুরাইশরা আমাদের বাঁধা হয়ে দাঁড়াল। তাই নবী (ﷺ) কুরবানীর পশু যবেহ করে মাথা মুড়িয়ে নিয়েছিলেন। এখন আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আমার নিজের জন্য উমরা ওয়াজিব করে নিয়েছি। আল্লাহ চাহেন তো আমি এখন রওয়ানা হয়ে যাব।
যদি আমার এবং বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা না আসে তাহলে আমি তাওয়াফ করে নিব। কিন্তু যদি আমার ও বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে আমি তখনই সেরূপ করব যেরূপ নবী (ﷺ) করেছিলেন আর আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তারপর তিনি যুল হুলাইফা থেকে উমরার ইহরাম বেধে কিছুক্ষণ চললেন, এরপরে বললেন, হজ্জ এবং উমরার ব্যাপার তো একই। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয়ই আমি আমার উমরার সাথে হজ্জও নিজের জন্য ওয়াজিব করে নিলাম। তাই তিনি হজ্জ ও উমরা কোনটি থেকেই হালাল হননি। অবশেষে কুরবানীর দিন কুরবানী করলেন এবং হালাল হলেন। তিনি বলতেন, আমরা হালাল হব না যতক্ষণ পর্যন্ত না মক্কায় প্রবেশ করে একটি তাওয়াফ করে নিই।
যদি আমার এবং বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা না আসে তাহলে আমি তাওয়াফ করে নিব। কিন্তু যদি আমার ও বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে আমি তখনই সেরূপ করব যেরূপ নবী (ﷺ) করেছিলেন আর আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তারপর তিনি যুল হুলাইফা থেকে উমরার ইহরাম বেধে কিছুক্ষণ চললেন, এরপরে বললেন, হজ্জ এবং উমরার ব্যাপার তো একই। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয়ই আমি আমার উমরার সাথে হজ্জও নিজের জন্য ওয়াজিব করে নিলাম। তাই তিনি হজ্জ ও উমরা কোনটি থেকেই হালাল হননি। অবশেষে কুরবানীর দিন কুরবানী করলেন এবং হালাল হলেন। তিনি বলতেন, আমরা হালাল হব না যতক্ষণ পর্যন্ত না মক্কায় প্রবেশ করে একটি তাওয়াফ করে নিই।
