কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

৮. রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৪০৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৪১৬
রোযার অধ্যায়
২৩৯. দু’ঈদের দিনে রোযা রাখা।
২৪০৮. কুতায়বা ইবনে সাঈদ ..... আবু উবাইদ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) এর সাথে ঈদের নামায আদায় করি। এরপর তিনি খুতবার পূর্বে নামায আদায় করেন। পরে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ দু‘দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। আর ঈদুল আযহার দিন, তোমরা যে কুরবানী করে থাকো তার গোশত তোমরা ভক্ষণ করে থাকো। আর ঈদুল ফিতরের দিন, তা তোমাদের রোযার ইফতারের দিন।
كتاب الصوم
باب فِي صَوْمِ الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَهَذَا حَدِيثُهُ - قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ، قَالَ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ صِيَامِ هَذَيْنِ الْيَوْمَيْنِ أَمَّا يَوْمُ الأَضْحَى فَتَأْكُلُونَ مِنْ لَحْمِ نُسُكِكُمْ وَأَمَّا يَوْمُ الْفِطْرِ فَفِطْرُكُمْ مِنْ صِيَامِكُمْ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আইয়ামে তাশরীক ও দুই ঈদের দিনকে পানাহারের দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সুতরাং এই ৫দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ। হারাম।

যিলহজ্ব মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে পরিভাষায় আইয়ামে তাশরীক বলে। আইয়ামে তাশরীক-এর অন্যতম প্রধান আমল হল, আল্লাহর যিকির-তাকবীর উচ্চারণ করা।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

أَيّامُ التّشْرِيقِ أَيّامُ أَكْلٍ، وَشُرْبٍ، وَذِكْرِ اللهِ.

আইয়ামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০৭২২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৪১
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান