আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২২- ওমরার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৫
১১১৭. তানঈম থেকে উমরা করা।
১৬৭০। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন, নবী (ﷺ) ও তালহা (রাযিঃ) ছাড়া কারো সাথে কুরবানীর পশু ছিল না। আর আলী (রাযিঃ) ইয়ামান থেকে এলেন এবং তাঁর সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল। তিনি বলেছিলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে বিষয়ের ইহরাম বেঁধেছেন, আমিও তার ইহরাম বাঁধলাম। নবী (ﷺ) এ ইহরামকে উমরায় পরিণত করতে এবং তাওয়াফ করে এরপর মাথার চুল ছোট করে হালাল হয়ে যেতে নির্দেশ দিলেন। তবে যাদের সঙ্গে কুরবানীর জানোয়ার রয়েছে (তারা হালাল হবে না) তাঁরা বললেন, আমরা মিনার দিকে রওয়ানা হবো এমতাবস্থায় আমাদের কেউ স্ত্রীর সাথে সহবাস করে এসেছে।
এ সংবাদ নবী (ﷺ) এর নিকট পৌছলে তিনি বললেনঃ যদি আমি এ ব্যাপার পূর্বে জানতাম, যা পরে জানতে পারলাম, তাহলে কুরবানীর জানোয়ার সঙ্গে আনতাম না। আর যদি কুরবানীর পশু আমার সঙ্গে না থাকত অবশ্যই আমি হালাল হয়ে যেতাম। আর (একবার) আয়িশা (রাযিঃ) এর ঋতু দেখা দিল। তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ছাড়া হজ্জের সব কাজই সম্পন্ন করে নিলেন। রাবী বলেন, এরপর যখন তিনি পাক হলেন এবং তাওয়াফ করলেন, তখন বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনারা তো হজ্জ এবং উমরা উভয়টি পালন করে ফিরছেন, আমি কি শুধু হজ্জ করেই ফিরব?
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিলেন যেন তাকে সঙ্গে নিয়ে তানঈমে যায়। তারপর যিলহজ্জ মাসেই হজ্জ আদায়ের পর আয়িশা (রাযিঃ) উমরা আদায় করলেন। নবী (ﷺ) যখন জামরাতুল আকাবায় কংকর মারছিলেন তখন সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জু’শুম (রাযিঃ) এর নবী (ﷺ) এর সঙ্গে সাক্ষাত হয়। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ হজ্জের মাসে উমরা আদায় করা কি আপনাদের জন্য খাস? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ না, এতো চিরদিনের (সকলের) জন্য।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন