কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

৮. রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৩৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৬
২১৪. যা দিয়ে ইফ্তার করতে হবে।
২৩৪৮. আহমদ ইবনে হাম্বল ..... সাবিত আল্ বানানী (রাহঃ) আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মাগরিবের নামায আদায়ের পূর্বে পাকা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। আর যদি পাকা খেজুর না পেতেন, তখন তিনি শুকনা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। আর যদি তাও না হতো, তখন তিনি কয়েক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন।
باب مَا يُفْطَرُ عَلَيْهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُفْطِرُ عَلَى رُطَبَاتٍ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَعَلَى تَمَرَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোযাদার ইফতার করবে এবং মুয়াজ্জিন আযান দিবে। ইফতারের ওয়াক্ত আযান শুরু হওয়ার পর হয় বিষয়টি এমন নয়।

আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।
সুনানে আবু দাউদ - হাদীস নং ২৩৪৮ | মুসলিম বাংলা