কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

৮. রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৩৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫২
২১২. রোযাদারের ইফ্তারের সময়।
২৩৪৪. মুসাদ্দাদ ...... সুলাইমান আল-শায়বানী (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে গমন করি, তখন তিনি রোযাদার ছিলেন। এরপর সূর্য অস্তমিত হলে, তিনি বলেন, হে বিলাল! তুমি অবতরণ কর, এবং আমাদের (ইফতারের) জন্য ছাতু তৈরী করে আনো। তিনি (বিলাল) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হতাম, (তবে ভাল হতো) তিনি বলেন, তুমি অবতরণ করো এবং আমাদের জন্য ছাতু তৈরী করে আনো। তখন তিনি অবতরণ করে ছাতু তৈরী করে আনলেন। এরপর রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) তা পান করে বলেন, যখন তোমরা রাতকে এদিক হতে আসতে দেখবে, তখন যেন রোযাদার ইফতার করে। এরপর তিনি স্বীয় অঙ্গুলি দ্বারা পূর্বাকাশের প্রতি ইশারা করেন।
باب وَقْتِ فِطْرِ الصَّائِمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، يَقُولُ سِرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ صَائِمٌ فَلَمَّا غَرَبَتِ الشَّمْسُ قَالَ " يَا بِلاَلُ انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ أَمْسَيْتَ . قَالَ " انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عَلَيْكَ نَهَارًا . قَالَ " انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا " . فَنَزَلَ فَجَدَحَ فَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " إِذَا رَأَيْتُمُ اللَّيْلَ قَدْ أَقْبَلَ مِنْ هَا هُنَا فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ " . وَأَشَارَ بِأُصْبُعِهِ قِبَلَ الْمَشْرِقِ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোযাদার ইফতার করবে এবং মুয়াজ্জিন আযান দিবে। ইফতারের ওয়াক্ত আযান শুরু হওয়ার পর হয় বিষয়টি এমন নয়।

আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।