কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
হাদীস নং: ২২৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ২২৯৯
১৮৬. মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীর শোক প্রকাশ।
২২৯৩. আল্ কা‘নবী .... যায়নাব বিনতে আবু সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তাকে (হামিদ ইবনে রাফি‘) এ তিনটি হাদীস সম্পর্কে খবর দিয়েছেন। যায়নাব (রাযিঃ) বলেন, একদা আমি উম্মে হাবীবার নিকট গমন করি। আর এ সময় তার পিতা আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এ সময় তিনি হলুদ রং বিশিষ্ট সুগন্ধি তেল অথবা অন্য কিছুর জন্য আহবান করেন। তদ্দরা একজন দাসী তাঁর কেশে তেল মেখে দেয়। এরপর তিনি চেহারায় তেল মর্দন করেন। অবশেষে তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহারের আমার কোন প্রয়োজন নেই; তবে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে ইরশাদ করতে শুনেছিঃ যে সমস্ত মহিলা আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, তাদের জন্য মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে তিন রাতের অধিক শোক প্রকাশ করা হালাল নয়। তবে স্বামীদের জন্য চারমাস দশদিন শোক প্রকাশ করবে।
যায়নাব বিনতে আবু সালামা (রাযিঃ) আরো বলেন, একদা আমি যায়নাব বিনতে জাহশের নিকট উপস্থিত হই এবং এ সময় তার ভাই মৃত্যুবরণ করে। তিনি সুগন্ধি দ্রব্য চান এবং তা ব্যবহার করেন। এরপর বলেন, আমার সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই, তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে মিম্বরের উপর ইরশাদ করতে শুনেছি, যে সমস্ত মহিলা আল্লাহ্ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, তাদের জন্য কোন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে তিন রাতের অধিক শোক প্রকাশ করা বৈধ নয়। অবশ্য তারা স্বামীদের জন্য চার মাস দশ দিন শোক প্রকাশ করবে।
যায়নাব বিনতে আবু সালামা (রাযিঃ) আরো বর্ণনা করেন, আমি আমার মাতা উম্মে সালামাকে বলতে শুনেছি, একদা জনৈকা রমণী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট এসে বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মৃত্যুবরণ করেছে এবং তার চক্ষু অভিযোগ করছে। কাজেই আমি কি তাকে পুনরায় বিবাহ দিব? রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) দু‘বার বা তিনবার বলেন, না। আর তিনি এ ‘না’ শব্দটি নিষেধাজ্ঞার জন্য ব্যবহার করেন। এরপর রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, বরং তার জন্য ইদ্দতের সময়সীমা হল চার মাস দশ দিন। আর জাহিলীয়াতের যুগে তোমাদের স্ত্রীকে (যাদের স্বামী মারা যেত) বু‘রাতে এক বছরের জন্য নিক্ষেপ করা হতো।
রাবী হামিদ বলেন, তখন আমি যায়নাবকে জিজ্ঞসা করি, বু‘রাতে এক বছরের জন্য নিক্ষেপের অর্থ কী? যায়নাব (রাযিঃ) বলেন, যখন কোন স্ত্রীলোকের স্বামী মারা যেত, তখন সে একটি কুঁড়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতো, খারাপ কাপড় পরিধান করতো এবং সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করতো না। আর এরূপে এক বছর কাটিয়ে দিত। এরপর তার নিকট কোন প্রাণী যেমন গাধা, বকরী অথবা পক্ষী আনা হতো এবং উহা তার শরীর স্পর্শ করতো, তবে খুব কমই এমন হতো যে, জন্তুটি জীবিত থাকত, বরং অধিকাংশই মরে যেত। তারপর তাকে বের করে এনে জন্তুুর একটি বিষ্ঠা দেয়া হতো, সে উহা নিক্ষেপ করতো। তারপর ইদ্দতান্তে সে সে স্থান হতে বের হয়ে আসতো। এরপর সে হালাল হতো এবং তার খুশিমতো সুগন্ধি দ্রব্য ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারত।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেন,حفش (হাফস) হল ছোট ঘর বা কুঁড়ে ঘর।
যায়নাব বিনতে আবু সালামা (রাযিঃ) আরো বলেন, একদা আমি যায়নাব বিনতে জাহশের নিকট উপস্থিত হই এবং এ সময় তার ভাই মৃত্যুবরণ করে। তিনি সুগন্ধি দ্রব্য চান এবং তা ব্যবহার করেন। এরপর বলেন, আমার সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই, তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে মিম্বরের উপর ইরশাদ করতে শুনেছি, যে সমস্ত মহিলা আল্লাহ্ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, তাদের জন্য কোন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে তিন রাতের অধিক শোক প্রকাশ করা বৈধ নয়। অবশ্য তারা স্বামীদের জন্য চার মাস দশ দিন শোক প্রকাশ করবে।
যায়নাব বিনতে আবু সালামা (রাযিঃ) আরো বর্ণনা করেন, আমি আমার মাতা উম্মে সালামাকে বলতে শুনেছি, একদা জনৈকা রমণী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট এসে বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মৃত্যুবরণ করেছে এবং তার চক্ষু অভিযোগ করছে। কাজেই আমি কি তাকে পুনরায় বিবাহ দিব? রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) দু‘বার বা তিনবার বলেন, না। আর তিনি এ ‘না’ শব্দটি নিষেধাজ্ঞার জন্য ব্যবহার করেন। এরপর রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, বরং তার জন্য ইদ্দতের সময়সীমা হল চার মাস দশ দিন। আর জাহিলীয়াতের যুগে তোমাদের স্ত্রীকে (যাদের স্বামী মারা যেত) বু‘রাতে এক বছরের জন্য নিক্ষেপ করা হতো।
রাবী হামিদ বলেন, তখন আমি যায়নাবকে জিজ্ঞসা করি, বু‘রাতে এক বছরের জন্য নিক্ষেপের অর্থ কী? যায়নাব (রাযিঃ) বলেন, যখন কোন স্ত্রীলোকের স্বামী মারা যেত, তখন সে একটি কুঁড়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতো, খারাপ কাপড় পরিধান করতো এবং সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করতো না। আর এরূপে এক বছর কাটিয়ে দিত। এরপর তার নিকট কোন প্রাণী যেমন গাধা, বকরী অথবা পক্ষী আনা হতো এবং উহা তার শরীর স্পর্শ করতো, তবে খুব কমই এমন হতো যে, জন্তুটি জীবিত থাকত, বরং অধিকাংশই মরে যেত। তারপর তাকে বের করে এনে জন্তুুর একটি বিষ্ঠা দেয়া হতো, সে উহা নিক্ষেপ করতো। তারপর ইদ্দতান্তে সে সে স্থান হতে বের হয়ে আসতো। এরপর সে হালাল হতো এবং তার খুশিমতো সুগন্ধি দ্রব্য ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারত।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেন,حفش (হাফস) হল ছোট ঘর বা কুঁড়ে ঘর।
باب إِحْدَادِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ بِهَذِهِ الأَحَادِيثِ الثَّلاَثَةِ، قَالَتْ زَيْنَبُ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أَبُو سُفْيَانَ فَدَعَتْ بِطِيبٍ فِيهِ صُفْرَةٌ خَلُوقٌ أَوْ غَيْرُهُ فَدَهَنَتْ مِنْهُ جَارِيَةً ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا " . قَالَتْ زَيْنَبُ وَدَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا فَدَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا " . قَالَتْ زَيْنَبُ وَسَمِعْتُ أُمِّي أُمَّ سَلَمَةَ تَقُولُ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَدِ اشْتَكَتْ عَيْنَهَا أَفَنَكْحُلُهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ " . مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ " لاَ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ " . قَالَ حُمَيْدٌ فَقُلْتُ لِزَيْنَبَ وَمَا تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ فَقَالَتْ زَيْنَبُ كَانَتِ الْمَرْأَةُ إِذَا تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا دَخَلَتْ حِفْشًا وَلَبِسَتْ شَرَّ ثِيَابِهَا وَلَمْ تَمَسَّ طِيبًا وَلاَ شَيْئًا حَتَّى تَمُرَّ بِهَا سَنَةٌ ثُمَّ تُؤْتَى بِدَابَّةٍ حِمَارٍ أَوْ شَاةٍ أَوْ طَائِرٍ فَتَفْتَضُّ بِهِ فَقَلَّمَا تَفْتَضُّ بِشَىْءٍ إِلاَّ مَاتَ ثُمَّ تَخْرُجُ فَتُعْطَى بَعْرَةً فَتَرْمِي بِهَا ثُمَّ تُرَاجِعُ بَعْدُ مَا شَاءَتْ مِنْ طِيبٍ أَوْ غَيْرِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْحِفْشُ بَيْتٌ صَغِيرٌ .
