কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়

হাদীস নং: ২২৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ২২৯০
১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।
২২৮৪. মুখাল্লাদ ইবনে খালিদ ..... ইমাম যুহরী (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আব্দুল্লাহ্ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মারওয়ান ফাতিমার নিকট কিছু জিজ্ঞাসা করার জন্য প্রেরিত হন। তিনি তাকে অবহিত করেন যে, তিনি আবু হাফসের স্ত্রী ছিলেন। নবী করীম (ﷺ) আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)-কে ইয়ামানের কোন এক অঞ্চলের আমীর হিসাবে প্রেরণ করেন। আর এ সময় তার (ফাতিমার) স্বামী (আবু হাফস)ও তাঁর সাথে সেখানে গমন করে। এরপর সে তাকে (তৃতীয়) তালাক প্রদান করে, যা (তিন তালাকের মধ্যে) অবশিষ্ট ছিল। এরপর সে আয়্যাশ ইবনে আবু রাবীআ এবং হারিস ইবনে হিশামকে তার খোরপোষ প্রদানের জন্য অনুরোধ করে। তারা বলে, আল্লাহর শপথ! সে গর্ভবতী না হলে, তার জন্য কোন খোরপোষ নেই। সে তাঁর নিকট হতে তার স্বামীর ঘর হতে বের হওয়ার জন্য অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করেন।

এরপর সে জিজ্ঞাসা করে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কোথায় যাব? রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তুমি ইবনে উম্মে মাকতুমের ঘরে গমন করো, কেননা সে অন্ধ। কাজেই তুমি যদি তার নিকট তোমার কাপড় খুলেও রাখ, তবুও সে খেদতে পাবে না (অর্থাৎ সে তোমার ব্যাপারে কিছুই জানতে পারবে না)। এরপর সে তার নিকট অবস্থানকালে তার ইদ্দত অতিক্রান্ত হয়। অবশেষে নবী করীম (ﷺ) তাকে উসামার সাথে বিবাহ দেন। কাবীসা মারওয়ানের নিকট প্রত্যাবর্তন করে এ সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।

মারওয়ান বলেন, আমি এ হাদীসটি মাত্র একজন মহিলা ব্যতীত আর কারো হতে শ্রবণ করিনি। কাজেই তার পবিত্রতা সম্পর্কে যারা জানে তাদের নিকট হতে খোঁজ-খবর সংগ্রহ করবো। ফাতিমা তার (মারওয়ানের) এ বক্তব্য শ্রবণের পর বলেন, আমার ও তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব আছে। ‘‘তোমরা তাদেরকে, তাদের ইদ্দতের (অতিক্রান্ত হওয়ার) জন্য তালাক প্রদান করো। এমনকি তোমরা অবহিত নও যে, এরপর আল্লাহ্ কোনো কিছুর সৃষ্টি করবেন। ফাতিমা বলেন, তিনি হায়য অতিক্রান্ত হওয়ার পর আর কী সৃষ্টি হতে পারে? (অর্থাৎ সন্তান-সম্ভবা হওয়ার কোন কারণই থাকে না।)।
باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَرْسَلَ مَرْوَانُ إِلَى فَاطِمَةَ فَسَأَلَهَا فَأَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ عِنْدَ أَبِي حَفْصٍ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَمَّرَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ - يَعْنِي عَلَى بَعْضِ الْيَمَنِ - فَخَرَجَ مَعَهُ زَوْجُهَا فَبَعَثَ إِلَيْهَا بِتَطْلِيقَةٍ كَانَتْ بَقِيَتْ لَهَا وَأَمَرَ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ وَالْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ أَنْ يُنْفِقَا عَلَيْهَا فَقَالاَ وَاللَّهِ مَا لَهَا نَفَقَةٌ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ حَامِلاً . فَأَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لاَ نَفَقَةَ لَكِ إِلاَّ أَنْ تَكُونِي حَامِلاً " . وَاسْتَأْذَنَتْهُ فِي الاِنْتِقَالِ فَأَذِنَ لَهَا فَقَالَتْ أَيْنَ أَنْتَقِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " عِنْدَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ " . وَكَانَ أَعْمَى تَضَعُ ثِيَابَهَا عِنْدَهُ وَلاَ يُبْصِرُهَا فَلَمْ تَزَلْ هُنَاكَ حَتَّى مَضَتْ عِدَّتُهَا فَأَنْكَحَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أُسَامَةَ فَرَجَعَ قَبِيصَةُ إِلَى مَرْوَانَ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ فَقَالَ مَرْوَانُ لَمْ نَسْمَعْ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ مِنَ امْرَأَةٍ فَسَنَأْخُذُ بِالْعِصْمَةِ الَّتِي وَجَدْنَا النَّاسَ عَلَيْهَا فَقَالَتْ فَاطِمَةُ حِينَ بَلَغَهَا ذَلِكَ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ( فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ ) حَتَّى ( لاَ تَدْرِي لَعَلَّ اللَّهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَلِكَ أَمْرًا ) قَالَتْ فَأَىُّ أَمْرٍ يَحْدُثُ بَعْدَ الثَّلاَثِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ يُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَأَمَّا الزُّبَيْدِيُّ فَرَوَى الْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا حَدِيثَ عُبَيْدِ اللَّهِ بِمَعْنَى مَعْمَرٍ وَحَدِيثَ أَبِي سَلَمَةَ بِمَعْنَى عُقَيْلٍ وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ قَبِيصَةَ بْنَ ذُؤَيْبٍ حَدَّثَهُ بِمَعْنًى دَلَّ عَلَى خَبَرِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ حِينَ قَالَ فَرَجَعَ قَبِيصَةُ إِلَى مَرْوَانَ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ .
সুনানে আবু দাউদ - হাদীস নং ২২৮৪ | মুসলিম বাংলা