কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়

হাদীস নং: ২২৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ২২৫৪
১৭১. লিআন।
২২৪৮. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হিলাল বিন উমাইয়া, তার স্ত্রীর সাথে শুরায়ক ইবনে সাহমর অবৈধ প্রণয় সম্পর্কে নবী করীম (ﷺ) এর নিকট অভিযোগ করে। নবী করীম (ﷺ) তাকে বলেন, তুমি এ সম্পর্কে প্রমাণ পেশ করো, নতুবা তোমার উপর হদ্ কায়েম করা হবে। সে বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যখন আমাদের কেউ স্বচক্ষে তার স্ত্রীকে এরূপ কাজে লিপ্ত দেখে, সেখানেও কী সাক্ষীর প্রয়োজন? নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ তুমি সাক্ষী পেশ করো, নতুবা মিথ্যা দোপষারোপের অভিযোগে তোমার উপর হদ্ (শাস্তি) কায়েম করা হবে।

হিলাল (রাযিঃ) বলেন, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর শপথ করে বলছি, নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা আমার ব্যাপারে এমন আয়াত নাযিল করবেন, যা আমার পৃষ্ঠকে শাস্তি হতে রক্ষা করবে। তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ (অর্থ) ‘‘যারা তাদের স্ত্রীদের উপরে যিনার দোষারোপ করে, এ ব্যাপারে তারা নিজেরা ব্যতীত আর কোন সাক্ষী না থাকে ......... হতেمِنَ الصَّادِقِينَ (বা তারাই সত্যবাদী) পর্যন্ত তিলাওয়াত করেন।

নবী করীম (ﷺ) প্রত্যাবর্তন করেন এবং জনৈক ব্যক্তিকে তাদের ডাকার জন্য নির্দেশ দেন। তারা উভয়ে সেখানে উপস্থিত হলে, হিলাল ইবনে উমাইয়া দণ্ডায়মান হন এবং সাক্ষ্য প্রদান করেন। নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ্ই অবগত, নিশ্চয় তোমাদের দু‘জনের মধ্যে একজন মিথ্যাবাদী। কাজেই তোমাদের মধ্যে কেউ তাওবাকারী আছ কি? সে যখন পঞ্চমবার সাক্ষ্য প্রদান করে, তখন বলে, তার (নিজের) উপর আল্লাহর গযব (অভিসম্পাত), যদি সে ( তার স্বামী) সত্যবাদীদের অর্ন্তভুক্ত হয়।

আর তখন তারা তাকে (মহিলাকে) পঞ্চমবার সাক্ষ্য প্রদানের পরিণতি হিসাবে সতর্ক করে বলেন, অবশ্যই এটা আল্লাহর গযবকে নির্দিষ্ট করবে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এটা শুনে সে থমকে দাঁড়ায় এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়, যাতে আমরা ধারণা করি যে, নিশ্চয়ই সে এহেন অভিশাপের সাক্ষ্য প্রদান হতে বিরত থাকবে। কিন্তু পরক্ষণেই সে বলে, না আমি আমার বংশের কলঙ্ক হব না। সে মহিলা শপথ করে সাক্ষ্য প্রদান করে। নবী করীম (ﷺ) বলেন, তোমরা এর দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবে। যদি সে সুরমারঞ্জিত ভ্রু এবং স্থুলগোছা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তবে তা হবে শুরায়ক ইবনে সাহমের ঔরসজাত সন্তান। সে মহিলা তদ্রূপ সন্তান প্রসব করলে নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ যদি এ ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে কুরআনের নির্দেশ না আসত, তবে আমার ও তার (মহিলার) মধ্যকার ফায়সালার ব্যাপারটি সংকটজনক হতো।
باب فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ هِلاَلَ بْنَ أُمَيَّةَ، قَذَفَ امْرَأَتَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَرِيكِ بْنِ سَحْمَاءَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْبَيِّنَةَ أَوْ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا رَأَى أَحَدُنَا رَجُلاً عَلَى امْرَأَتِهِ يَلْتَمِسُ الْبَيِّنَةَ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْبَيِّنَةَ وَإِلاَّ فَحَدٌّ فِي ظَهْرِكَ " . فَقَالَ هِلاَلٌ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ نَبِيًّا إِنِّي لَصَادِقٌ وَلَيُنْزِلَنَّ اللَّهُ فِي أَمْرِي مَا يُبَرِّئُ ظَهْرِي مِنَ الْحَدِّ فَنَزَلَتْ ( وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ ) فَقَرَأَ حَتَّى بَلَغَ ( مِنَ الصَّادِقِينَ ) فَانْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمَا فَجَاءَا فَقَامَ هِلاَلُ بْنُ أُمَيَّةَ فَشَهِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " اللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْكُمَا مِنْ تَائِبٍ " . ثُمَّ قَامَتْ فَشَهِدَتْ فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الْخَامِسَةِ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ وَقَالُوا لَهَا إِنَّهَا مُوجِبَةٌ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَتَلَكَّأَتْ وَنَكَصَتْ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهَا سَتَرْجِعُ فَقَالَتْ لاَ أَفْضَحُ قَوْمِي سَائِرَ الْيَوْمِ . فَمَضَتْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَبْصِرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ الْعَيْنَيْنِ سَابِغَ الأَلْيَتَيْنِ خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ فَهُوَ لِشَرِيكِ بْنِ سَحْمَاءَ " . فَجَاءَتْ بِهِ كَذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْلاَ مَا مَضَى مِنْ كِتَابِ اللَّهِ لَكَانَ لِي وَلَهَا شَأْنٌ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْمَدِينَةِ حَدِيثُ ابْنِ بَشَّارٍ حَدِيثُ هِلاَلٍ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সুনানে আবু দাউদ - হাদীস নং ২২৪৮ | মুসলিম বাংলা