কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়

হাদীস নং: ২২১০
আন্তর্জাতিক নং: ২২১৩
১৬১. যিহার।
২২১০. উসমান ইবনে আবি শাঈবা .... সালামা ইবনে সাখার হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনুল আলা আল্-বায়াদবী বলেছেন, স্ত্রীদের সাথে সহবাসে আমি খু্বই সক্ষম ছিলাম। আর আমার মতো সহবাসে সামর্থ ব্যক্তি আর কেউ ছিল না। এরপর মাহে রমযান সমাগত হওয়াতে আমার আশঙ্কা হয় যে, হয়ত আমি সকাল বেলাতেও আমার স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হতে পারি। তখন আমি তার সাথে যিহার করি এবং এমতাবস্থায় মাহে রমযান প্রায় শেষ পর্যায়ে পোঁছে। কিন্তু একদা রাতে সে আমার খিদমতের সময়, তার সৌন্দর্য আমার সম্মুখে উন্মোচিত হওয়ায় আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে অসমর্থ হই এবং তার সাথে সহবাস করি। এরপর সকালবেলা আমার কওমের লোকদের নিকট গমন করি এবং তাদের এ ঘটনা ব্যক্ত করি তাদেরকে বলিঃ তোমরা আমার সাথে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট চলো এবং তাঁকে সব খুলে বলি।

তিনি জিজ্ঞাসা করেন, হে সালামা! তুমি কি এরূপ কাণ্ড করেছ? আমি বলি, হে আল্লাহর রাসুল! আমি এরূপই করেছি এবং তা দু‘বার বলি। আর এমতাবস্থায় আমি আল্লাহ্ তাআলা নির্দেশের প্রতি ধৈয্য ধারণ করি। এখন আল্লাহ্ যা বলেছেন, এখন সে হিসাবে আমার উপর হুকুম জারী করুন। তিনি বলেন, তুমি একজন দাসী মুক্ত করো। আমি বলি, ঐ আল্লাহর শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, এ ব্যতীত আমার আর কোন দাসী নেই এবং এই বলে আমি তার শরীর স্পর্শ করি। তিনি বলেন, তবে তুমি দু’ মাস একাধারে রোযা রাখো। সে বলে, রোযার মধ্যে আমি যে মুসীবতে পড়েছি, হয়ত সেরূপ মুসীবতে আবার পড়তে পারি। তিনি বলেন,এমতাবস্থায় তুমি ষাটজন মিসকীনকে তৃপ্তি সহকারে খুরমা খাওয়াও। সে বলে, ঐ আল্লাহ শপথ! যিনি আপনাকে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেছেন, আমরা (স্ত্রী, পরিবার) তো রাতে খালি পেটে উপোস করি, আর আমাদের কোনো খাবরই নেই।

তিনি বলেন, তুমি বনী যারীক গোত্রের সাদ্‌কা আদায়কারী ব্যক্তির নিকট গমন করো, সে তোমাকে খুরমা প্রদান করবে। আর তার দ্বারা তুমি ষাটজন মিসকীনকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়াবে এবং তুমি ও তোমার পরিজনবর্গও বাকি অংশ খাবে। তখন আমি আমার কওমের নিকট ফিরে এসে বলি, আমি তোমাদের নিকট সংকীর্ণতা ও খারাপ ব্যবহার পেয়েছি এবং আমি নবী করীম (ﷺ) এর নিকট উদারতা, ভাল ব্যবহার পেয়েছি। তিনি আমাকে তোমাদের সাদ্‌কার মাল গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। রাবী ইবনুল আলা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, ইবনে ইদরীস বলেছেন, বায়দা বনী যুরাইক গোত্রের একটি শাখা।
باب فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، - قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ ابْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ عَيَّاشٍ - عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ، - قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ الْبَيَاضِيِّ - قَالَ كُنْتُ امْرَأً أُصِيبُ مِنَ النِّسَاءِ مَا لاَ يُصِيبُ غَيْرِي فَلَمَّا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ خِفْتُ أَنْ أُصِيبَ مِنَ امْرَأَتِي شَيْئًا يُتَابَعُ بِي حَتَّى أُصْبِحَ فَظَاهَرْتُ مِنْهَا حَتَّى يَنْسَلِخَ شَهْرُ رَمَضَانَ فَبَيْنَمَا هِيَ تَخْدُمُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَىْءٌ فَلَمْ أَلْبَثْ أَنْ نَزَوْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ خَرَجْتُ إِلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمُ الْخَبَرَ وَقُلْتُ امْشُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالُوا لاَ وَاللَّهِ . فَانْطَلَقْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ " أَنْتَ بِذَاكَ يَا سَلَمَةُ " . قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَرَّتَيْنِ وَأَنَا صَابِرٌ لأَمْرِ اللَّهِ فَاحْكُمْ فِيَّ مَا أَرَاكَ اللَّهُ قَالَ " حَرِّرْ رَقَبَةً " . قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَمْلِكُ رَقَبَةً غَيْرَهَا وَضَرَبْتُ صَفْحَةَ رَقَبَتِي قَالَ " فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ " . قَالَ وَهَلْ أُصِبْتُ الَّذِي أُصِبْتُ إِلاَّ مِنَ الصِّيَامِ قَالَ " فَأَطْعِمْ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ بَيْنَ سِتِّينَ مِسْكِينًا " . قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا وَحْشَيْنِ مَا لَنَا طَعَامٌ قَالَ " فَانْطَلِقْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَكُلْ أَنْتَ وَعِيَالُكَ بَقِيَّتَهَا " . فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْىِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم السَّعَةَ وَحُسْنَ الرَّأْىِ وَقَدْ أَمَرَنِي - أَوْ أَمَرَ لِي - بِصَدَقَتِكُمْ زَادَ ابْنُ الْعَلاَءِ قَالَ ابْنُ إِدْرِيسَ بَيَاضَةُ بَطْنٌ مِنْ بَنِي زُرَيْقٍ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান