আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২১- হজ্জ্বের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬২
১১০৫. তাওয়াফে যিয়ারতের পর যদি কোন মহিলার হায়েয আসে
১৬৪৯। আবু নু’মান (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে বের হলাম। হজ্জই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। নবী (ﷺ) মক্কায় পৌছে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা ও মারওয়ার সা’য়ী করলেন। তবে ইহরাম ফেলেননি। তাঁর সঙ্গে কুরবানীর জানোয়ার ছিল। তাঁর সহধর্মিণী ও সাহাবীগণের মধ্যে যারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁরাও তাওয়াফ করলেন। তবে যাদের সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল না, তাঁরা হালাল হয়ে গেলেন। এরপর আয়িশা (রাযিঃ) ঋতুবতী হয়ে পড়লেও (বর্ণনাকারী বলেন) আমরা হজ্জের সমুদয় হুমুম-আহকাম আদায় করলাম। এরপর যখন লায়লাতুল-হাসবা অর্থাৎ রওয়ানা হওয়ার রাত হল, তখন তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি ব্যতীত আপনার সকল সাহাবী তো হজ্জ ও উমরা করে ফিরছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমরা যে রাতে এসেছি সে রাতে তুমি কি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করনি? আমি বললাম, না। তারপর তিনি বললেনঃ তুমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে তানঈম (নামক স্থানে) চলে যাও এবং সেখান থেকে উমরার ইহরাম বেঁধে নাও। আর অমুক অমুক স্থানে তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের ওয়াদা থাকল। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি আব্দুর রহমান (রাযিঃ) এর সঙ্গে তানঈমের দিকে গেলাম এবং উমরার ইহরাম বাঁধলাম। আর সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ)-এর ঋতু দেখা দিল। নবী (ﷺ) তা শুনে বিরক্ত হয়ে বলেনঃ তুমি তো আমাদেরকে আটকিয়ে ফেললে। তুমি কি কুরবানীর দিন তাওয়াফ করেছিলে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। নবী (ﷺ) বললেনঃ তাহলে কোন বাধা নেই, রওয়ানা হও।
[আয়িশা (রাযিঃ) বলেন] আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে মিলিত হলাম। এমতাবস্থায় যে, তিনি মক্কার উপরের দিকে উঠছিলেন, আর আমি নীচের দিকে নামছিলাম। অথবা আমি উঠছিলাম আর তিনি নামছিলেন। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) এর বর্ণনায় এ হাদীসে (হ্যাঁ) এর পরিবর্তে ‘লা’ (না) রয়েছে। রাবী জারীর (রাহঃ) মনসূর (রাহঃ) থেকে এ হাদীস বর্ণনায় মুসাদ্দাদ (রাহঃ) এর অনুরূপ ‘লা’ (না) বর্ণনা করেছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমরা যে রাতে এসেছি সে রাতে তুমি কি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করনি? আমি বললাম, না। তারপর তিনি বললেনঃ তুমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে তানঈম (নামক স্থানে) চলে যাও এবং সেখান থেকে উমরার ইহরাম বেঁধে নাও। আর অমুক অমুক স্থানে তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের ওয়াদা থাকল। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি আব্দুর রহমান (রাযিঃ) এর সঙ্গে তানঈমের দিকে গেলাম এবং উমরার ইহরাম বাঁধলাম। আর সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ)-এর ঋতু দেখা দিল। নবী (ﷺ) তা শুনে বিরক্ত হয়ে বলেনঃ তুমি তো আমাদেরকে আটকিয়ে ফেললে। তুমি কি কুরবানীর দিন তাওয়াফ করেছিলে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। নবী (ﷺ) বললেনঃ তাহলে কোন বাধা নেই, রওয়ানা হও।
[আয়িশা (রাযিঃ) বলেন] আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে মিলিত হলাম। এমতাবস্থায় যে, তিনি মক্কার উপরের দিকে উঠছিলেন, আর আমি নীচের দিকে নামছিলাম। অথবা আমি উঠছিলাম আর তিনি নামছিলেন। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) এর বর্ণনায় এ হাদীসে (হ্যাঁ) এর পরিবর্তে ‘লা’ (না) রয়েছে। রাবী জারীর (রাহঃ) মনসূর (রাহঃ) থেকে এ হাদীস বর্ণনায় মুসাদ্দাদ (রাহঃ) এর অনুরূপ ‘লা’ (না) বর্ণনা করেছেন।
