মা'আরিফুল হাদীস
কিতাবুল আযকার ওয়াদ-দাওয়াত অধ্যায়
হাদীস নং: ৯
কিতাবুল আযকার ওয়াদ-দাওয়াত অধ্যায়
রসনার যিকিরের ফযীলত
৯. হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন বুসর (রা) থেকে বর্ণিত। জনৈক বেদুইন সাহাবী রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম কে? (অর্থাৎ কোন্ ধরনের লোকের পরিণাম সর্বোত্তম হবে?) জবাবে তিনি বললেন: যার আয়ু দীর্ঘ ও আমল উত্তম। তারপর প্রশ্নকারী জিজ্ঞেস করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! সর্বোত্তম আমল কোনটি? জবাবে তিনি বললেন: তুমি এমন অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় হবে যে, তোমার রসনা আল্লাহর যিকিরে সিক্ত থাকবে। (মুসনাদে আহমদ ও জামে তিরমিযী)
کتاب الاذکار والدعوات
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَيُّ النَّاسِ خَيْرٌ، فَقَالَ: طوبى لمن مَنْ طَالَ عُمُرُهُ، وَحَسُنَ عَمَلُهُ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «أَنْ تُفَارِقَ الدُّنْيَا وَلِسَانُكَ رَطْبٌ مِنْ ذِكْرِ اللهِ. (رواه احمد والترمذى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
প্রথম প্রশ্নের জবাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ যা বলেছেন, তার হেতু স্পষ্ট। নেক আমলের সাথে আয়ু যতই দীর্ঘ হবে, বান্দা ততই তরক্কী করবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রহমতের ততই যোগ্য হবে।
দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বোত্তম আমল হচ্ছে বান্দা তার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বিশেষত তার অন্তিম সময়ে আল্লাহর যিকির তার রসনাকে সিক্ত রাখবে। অর্থাৎ তার রসনা অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে সানন্দে আল্লাহর নাম জপে রত থাকবে। নিঃসন্দেহে এ আমল ও এ অবস্থা অত্যন্ত প্রিয় ও মূল্যবান আর যে বান্দা এর মূল্য ও মান সম্পর্কে অবগত থাকবে সে সবকিছুর বিনিময়ে হলেও তা পেতে সচেষ্ট হবে।
বলাবাহুল্য, এ মর্যাদা কেবল সে ব্যক্তিই পেতে পারে, যে জীবনে আল্লাহর যিকিরের সাথে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনে সমর্থ হয়েছে এবং যিকরুল্লাহ তার আত্মার সুস্বাদু খাদ্যে পরিণত হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বোত্তম আমল হচ্ছে বান্দা তার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বিশেষত তার অন্তিম সময়ে আল্লাহর যিকির তার রসনাকে সিক্ত রাখবে। অর্থাৎ তার রসনা অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে সানন্দে আল্লাহর নাম জপে রত থাকবে। নিঃসন্দেহে এ আমল ও এ অবস্থা অত্যন্ত প্রিয় ও মূল্যবান আর যে বান্দা এর মূল্য ও মান সম্পর্কে অবগত থাকবে সে সবকিছুর বিনিময়ে হলেও তা পেতে সচেষ্ট হবে।
বলাবাহুল্য, এ মর্যাদা কেবল সে ব্যক্তিই পেতে পারে, যে জীবনে আল্লাহর যিকিরের সাথে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনে সমর্থ হয়েছে এবং যিকরুল্লাহ তার আত্মার সুস্বাদু খাদ্যে পরিণত হয়েছে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)