মা'আরিফুল হাদীস
সলাত অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৩৫
সলাত অধ্যায়
জানাযার সালাত এবং মৃতের জন্য দু'আ
৩৩৫. হযরত ওয়াসিলা ইবনে আসকা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের নিয়ে এক মুসলিম ব্যক্তির জানাযার সালাত আদায় করেন। আমি তখন তাঁকে এই দু'আ পাঠ করতে শুনলাম:
«اللَّهُمَّ إِنَّ فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ فِي ذِمَّتِكَ وَحَبْلِ جِوَارِكَ فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ النَّارِ وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ»
"হে আল্লাহ্! আমুকের পুত্র অমুক তোমার দায়িত্বে এবং তোমার প্রতিবেশিত্বের আশ্রয়ে রইল। অতএব তুমি তাকে কবরের বিপদ ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে পানাহ দিও। তুমি তো প্রতিশ্রুতি পূরণকারী ও সত্যের উৎস। হে আল্লাহ্! তুমি তাকে ক্ষমা কর এবং তার প্রতি দয়া কর। কেননা নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।" (আবু দাউদ ও ইবনে মাজা)
«اللَّهُمَّ إِنَّ فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ فِي ذِمَّتِكَ وَحَبْلِ جِوَارِكَ فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ النَّارِ وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ»
"হে আল্লাহ্! আমুকের পুত্র অমুক তোমার দায়িত্বে এবং তোমার প্রতিবেশিত্বের আশ্রয়ে রইল। অতএব তুমি তাকে কবরের বিপদ ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে পানাহ দিও। তুমি তো প্রতিশ্রুতি পূরণকারী ও সত্যের উৎস। হে আল্লাহ্! তুমি তাকে ক্ষমা কর এবং তার প্রতি দয়া কর। কেননা নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।" (আবু দাউদ ও ইবনে মাজা)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ ، قَالَ : صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ : " اللَّهُمَّ إِنَّ فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ فِي ذِمَّتِكَ وَحَبْلِ جِوَارِكَ ، فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ النَّارِ ، وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ اللَّهُمَّ فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ " (رواه ابوداؤد وابن ماجه)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
জানাযার সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ বিভিন্ন দু'আ পাঠ করতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে তিনটি প্রসিদ্ধ দু'আর কথা হাদীসসমূহ থেকে জানা যায়। পাঠক যে কোন একটি বা একাধিক পাঠ করে নিতে পারেন।
উপরে বর্ণিত হাদীস এবং অন্য হাদীস থেকেও জানা যায় যে, নবী ﷺ এমন আওয়াযে দু'আ পাঠ করেছিলেন যে, তা শুনে সাহাবা কিরাম মুখস্থ করে নিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ কখনো কখনো সালাতে সশব্দে দু'আ পাঠ করতেন যাতে অন্যান্যরা সহজেই শুনে মুখস্থ করে নিতে পারে। জানায়ার সালাতেও সম্ভবতঃ তাঁর উচুস্বরে দু'আ পাঠ করার এটাই উদ্দেশ্য ছিল। নতুবা স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী নিঃশব্দে দু'আ করাই উত্তম। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
اُدۡعُوۡا رَبَّکُمۡ تَضَرُّعًا وَّخُفۡیَۃً
"তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতি পালককে ডাক।" (৯, সুরা আরাফ: ৫৫)
উপরে বর্ণিত হাদীস এবং অন্য হাদীস থেকেও জানা যায় যে, নবী ﷺ এমন আওয়াযে দু'আ পাঠ করেছিলেন যে, তা শুনে সাহাবা কিরাম মুখস্থ করে নিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ কখনো কখনো সালাতে সশব্দে দু'আ পাঠ করতেন যাতে অন্যান্যরা সহজেই শুনে মুখস্থ করে নিতে পারে। জানায়ার সালাতেও সম্ভবতঃ তাঁর উচুস্বরে দু'আ পাঠ করার এটাই উদ্দেশ্য ছিল। নতুবা স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী নিঃশব্দে দু'আ করাই উত্তম। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
اُدۡعُوۡا رَبَّکُمۡ تَضَرُّعًا وَّخُفۡیَۃً
"তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতি পালককে ডাক।" (৯, সুরা আরাফ: ৫৫)
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)