মা'আরিফুল হাদীস

সলাত অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৩৩
সলাত অধ্যায়
জানাযার সালাত এবং মৃতের জন্য দু'আ
৩৩৩. হযরত আওফ ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ জানাযার সালাত আদায় কালে যে দু'আ পাঠ করতেন আমি তা মুখস্থ করে নিয়েছি। তিনি বলেছেন:

«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ، وَأكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَس، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلًا خَيرًا مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ»

"হে আল্লাহ্! তাকে ক্ষমা কর, তাকে দয়া কর, তাকে শান্তিতে রাখ, তাকে সম্মানজনকভাবে আপ্যায়ন কর, তার কবরকে প্রশস্ত করে দাও, তাকে ধুয়ে মুছে নাও পানি দ্বারা, বরফ দ্বারা ও শিলা বৃষ্টির পানি দ্বারা। তাকে এমনভাবে পাপমুক্ত করে দাও, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। তাকে তার (দুনিয়ার) ঘর থেকে উত্তম ঘর দান কর, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার ও তার স্ত্রী হতে উত্তম স্ত্রী দান কর। তাকে কবরের ও জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা কর।" বর্ণনাকারী বলেন, (নবী কারীম ﷺ এই দু'আ করায়) আমি আকাঙক্ষা করেছিলাম আমি যদি এই মৃত ব্যক্তি হতাম। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى جَنَازَةٍ ، فَحَفِظْتُ مِنْ دُعَائِهِ وَهُوَ يَقُولُ : « اللهُمَّ ، اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ ، وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ قَالَ : « حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنْ أَكُونَ أَنَا ذَلِكَ الْمَيِّتَ » (رواه مسلم)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

জানাযার সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ বিভিন্ন দু'আ পাঠ করতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে তিনটি প্রসিদ্ধ দু'আর কথা হাদীসসমূহ থেকে জানা যায়। পাঠক যে কোন একটি বা একাধিক পাঠ করে নিতে পারেন।

উপরে বর্ণিত হাদীস এবং অন্য হাদীস থেকেও জানা যায় যে, নবী ﷺ এমন আওয়াযে দু'আ পাঠ করেছিলেন যে, তা শুনে সাহাবা কিরাম মুখস্থ করে নিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ কখনো কখনো সালাতে সশব্দে দু'আ পাঠ করতেন যাতে অন্যান্যরা সহজেই শুনে মুখস্থ করে নিতে পারে। জানায়ার সালাতেও সম্ভবতঃ তাঁর উচুস্বরে দু'আ পাঠ করার এটাই উদ্দেশ্য ছিল। নতুবা স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী নিঃশব্দে দু'আ করাই উত্তম। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-

اُدۡعُوۡا رَبَّکُمۡ تَضَرُّعًا وَّخُفۡیَۃً

"তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতি পালককে ডাক।" (৯, সুরা আরাফ: ৫৫)
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান