মা'আরিফুল হাদীস
সালাত অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৮
সালাত অধ্যায়
ইমাম কর্তৃক মুক্তাদীর প্রতি লক্ষ্য রাখা
৯৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন লোকদের সালাতের ইমামতি করে, তখন যেন সে সংক্ষেপ (বেশি দীর্ঘ না) করে। কেননা তাদের মাঝে অসুস্থ, দর্বল ও বয়োবৃদ্ধ লোক রয়েছে (যাদের জন্য দীর্ঘ সালাত কষ্টদায়ক হতে পারে)। তবে যদি কেউ একাকী সালাত আদায় করে, তখন ইচ্ছামত দীর্ঘ করতে পারে। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ لِلنَّاسِ فَلْيُخَفِّفْ ، فَإِنَّ فِيهِمُ السَّقِيمَ وَالضَّعِيفَ ، وَالْكَبِيرَ ، وَإِذَا صَلَّى اَحَدُكُمْ فَلْيُطَوِّلْ مَا شَاءَ. (رواه البخارى ومسلم)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
কোন কোন সাহাবী তাদের মহল্লার মসজিদে সালাতের ইমামতি করতেন। ইবাদতের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থাকায় তারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন। ফলে অসুস্থ, দুর্বল ও বৃদ্ধ মুত্তাকীদের ভীষণ কষ্ট হত, এই ভুল সংশোধনের লক্ষ্যে রাসূলুল্লাহ ﷺ বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়ের উপর ভাষণ দেন। এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য ছিল ইমাম যেন তার অসুস্থ, দুর্বল ও বৃদ্ধ মুক্তাদীদের প্রতি লক্ষ্য রাখে এবং সালাতে দীর্ঘ কিরা'আত পাঠ না করেন। তবে এর দ্বারা একথা বুঝানো উদ্দেশ্য নয় যে, ইমাম সর্বদা প্রত্যেক সালাতে ছোট ছোট সূরা পাঠ করবে এবং রুকু সিজদায় তিনবারের বেশি তাসবীহ পাঠ করবে না। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ যেরূপ ভারসাম্য রক্ষা করে সালাত আদায় করতেন উম্মাতের জন্য তাই হচ্ছে প্রকৃত মাপকাঠি ও শ্রেষ্ঠ নমূনা। এ আলোকেই তাঁর দিকনির্দেশের মূল্যায়ন করতে হবে। সালাত আদায়ের সবিস্তার বিবরণও কিরা'আতের পরিমাণ সংক্রান্ত রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদীসসমূহ ইনশাআল্লাহ পরে বর্ণিত হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)