মা'আরিফুল হাদীস
সালাত অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৬
সালাত অধ্যায়
নিজেদের মধ্যকার উত্তম ব্যক্তিকে ইমাম নিয়োগ করবে
৯৬. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা তোমাদের মধ্যকার উত্তম ব্যক্তিকে তোমাদের ইমাম নিয়োগ করবে। কারণ তিনি হবেন তোমাদের পক্ষে তোমাদের প্রতিপালকের কাছে প্রতিনিধি। (দারু কুতনী ও বায়হাকী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِاللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : اِجْعَلُوْا أَئِمَّتَكُمْ خِيَارَكُمْ فَإِنَّهُمْ وَفْدُكُمْ فِيْمَا بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ رَبِّكُمْ. (رواه الدار قطنى والبيهقى (كنز العمال)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ কথা পরিষ্কার যে ইমাম তার অধীনস্থ লোকদের পক্ষ থেকে আল্লাহর দারবারে প্রতিনিধিত্ব করেন। জামা'আত যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, তাই এ পবিত্র উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে একজন উত্তম ব্যক্তি নির্বাচন করা উচিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যত দিন দুনিয়ায় জীবিত ছিলেন, ততদিন ইমামতি করেছেন এবং মৃত্যু শয্যায় শায়িত অবস্থায় উম্মাতের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) কে ইমামতি করার জন্য নাম ধরে নির্দেশ দেন।
হযরত আবূ মাসউদ আনসারী (রা) বর্ণিত হাদীসে ইমামতির হকদার হবার ব্যাপারে যে বিস্তারিত পর্যায়ক্রমা বাতলান হয়েছে তার উদ্দেশ্যে হচ্ছে, জামা'আতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে মানোনীত করা। কেননা উদ্ধৃত হয়েছে: اقر أهم الكتاب الله ، أعلمهم بالسنة (তোমাদের মধ্যে যে কুরআন তারপর সুন্নাহর ব্যাপারে পারদর্শী সে ব্যক্তি ইমামতির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে)
এটি আসলে ধর্মীয় দিক থেকে মর্যাদার মাপকাঠির ব্যাখ্যা মাত্র। আফসোস! বর্তমান সময়ে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে যথেষ্ট ঔদাসীন্য প্রদর্শন করা হয়। ফলে উম্মাতের পুরো কাঠামো তছনছ হয়ে গেছে।
হযরত আবূ মাসউদ আনসারী (রা) বর্ণিত হাদীসে ইমামতির হকদার হবার ব্যাপারে যে বিস্তারিত পর্যায়ক্রমা বাতলান হয়েছে তার উদ্দেশ্যে হচ্ছে, জামা'আতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে মানোনীত করা। কেননা উদ্ধৃত হয়েছে: اقر أهم الكتاب الله ، أعلمهم بالسنة (তোমাদের মধ্যে যে কুরআন তারপর সুন্নাহর ব্যাপারে পারদর্শী সে ব্যক্তি ইমামতির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে)
এটি আসলে ধর্মীয় দিক থেকে মর্যাদার মাপকাঠির ব্যাখ্যা মাত্র। আফসোস! বর্তমান সময়ে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে যথেষ্ট ঔদাসীন্য প্রদর্শন করা হয়। ফলে উম্মাতের পুরো কাঠামো তছনছ হয়ে গেছে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)