মা'আরিফুল হাদীস
সালাত অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৪
সালাত অধ্যায়
জামা'আতে সালাত আদায়কালে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান
সালাতের যেহেতু সামষ্টিক দিক রয়েছে তাই এতে রয়েছে জামা'আতের ব্যবস্থা। এ পর্যায়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর পথ নির্দেশ হচ্ছে এই যে, লোকেরা সালাত আদায়কালে যেন কাতার বেঁধে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। সালাতের মত সামষ্টিক ইবাদতে সারিবদ্ধভাবে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ সারিগুলো পুরোপুরি সোজা করার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন, যাতে কেউ আগে-পিছে না দাঁড়ায়। প্রথমত প্রথম সারি পূরো করার পর পেছনের সারিসমূহ সোজা করে নিতে হবে।
বয়োজ্যেষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও প্রবীণদের সামনের সারিতে ইমামের কাছাকাছি স্থানে জায়গা দিতে হবে। ছোট শিশুদের পেছনে এবং নারীদেরকে পেছনে সর্বশেষ সারিতে দাঁড় করিয়ে দিতে হবে। ইমাম সাহেব সবার সামনে মাঝামাঝি স্থানে দাঁড়াবেন। উল্লেখ্য, এসব কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো, জামা'আতে মহান উদ্দেশ্য সফলতা ও পূর্ণতা বয়ে আনা এবং একে অধিক উপকারী ও প্রভাবময়ী করে তোলা। রাসূলুল্লাহ ﷺ স্বয়ং অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এগুলো বাস্তবে করে দেখিয়েছেন, উম্মাতকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এর সাওয়াব বাতলে দিয়ে তা কার্যে পরিণত করতে অনুপ্রাণিত করেছেন। এসব ব্যাপারে যারা বেপরোয়া ও উদাসীন তাদের তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন এবং আল্লাহর শাস্তির ভীতি প্রদর্শন করেছেন। এ ভূমিকার পর নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ পাঠ করা যাক।
কাতার সোজা করার গুরুত্ব এবং তাকিদ
সালাতের যেহেতু সামষ্টিক দিক রয়েছে তাই এতে রয়েছে জামা'আতের ব্যবস্থা। এ পর্যায়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর পথ নির্দেশ হচ্ছে এই যে, লোকেরা সালাত আদায়কালে যেন কাতার বেঁধে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। সালাতের মত সামষ্টিক ইবাদতে সারিবদ্ধভাবে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ সারিগুলো পুরোপুরি সোজা করার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন, যাতে কেউ আগে-পিছে না দাঁড়ায়। প্রথমত প্রথম সারি পূরো করার পর পেছনের সারিসমূহ সোজা করে নিতে হবে।
বয়োজ্যেষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও প্রবীণদের সামনের সারিতে ইমামের কাছাকাছি স্থানে জায়গা দিতে হবে। ছোট শিশুদের পেছনে এবং নারীদেরকে পেছনে সর্বশেষ সারিতে দাঁড় করিয়ে দিতে হবে। ইমাম সাহেব সবার সামনে মাঝামাঝি স্থানে দাঁড়াবেন। উল্লেখ্য, এসব কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো, জামা'আতে মহান উদ্দেশ্য সফলতা ও পূর্ণতা বয়ে আনা এবং একে অধিক উপকারী ও প্রভাবময়ী করে তোলা। রাসূলুল্লাহ ﷺ স্বয়ং অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এগুলো বাস্তবে করে দেখিয়েছেন, উম্মাতকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এর সাওয়াব বাতলে দিয়ে তা কার্যে পরিণত করতে অনুপ্রাণিত করেছেন। এসব ব্যাপারে যারা বেপরোয়া ও উদাসীন তাদের তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন এবং আল্লাহর শাস্তির ভীতি প্রদর্শন করেছেন। এ ভূমিকার পর নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ পাঠ করা যাক।
কাতার সোজা করার গুরুত্ব এবং তাকিদ
৮৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের কাতারগুলো সোজা কর। কারণ কাতার সোজা ও সমান করা সালাতকে সুষ্ঠুভাবে আদায় করার অর্ন্তভূক্ত। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : سَوُّوا صُفُوفَكُمْ ، فَإِنَّ تَسْوِيَةَ الصُّفُوفِ مِنْ إِقَامَةِ الصَّلاَةِ. (رواه البخارى ومسلم)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইকামাতে সালাত, যে বিষয়ে কুরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং যা মুসলমানদের উপর অন্যতম ফরয, এর পূর্ণতা বিধানের জন্য যে সকল শর্তারোপ করা হয়েছে তন্মধ্যে জামা'আতে দাঁড়ানোর সময় কাতার সোজা ও সমান করার বিষয়টি অন্যতম। সুনানে আবূ দাউদ ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে হযরত আনাস (রা) সূত্রেই বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সালাতের ইমামতি করার জন্য দাঁড়াতেন তখন প্রথমে ডানদিকে ফিরে বলতেন: তোমরা কাতার সোজা ও সমান করে দাঁড়াও। অনুরূপ বামদিকে ফিরে বলতেন: তোমরা কাতার সোজা ও সমান করে নাও। এই হাদীস এবং অন্যান্য হাদীস থেকে জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বিশেষ করে সালাতে দাঁড়ানোর সময় প্রায়ই এ বিষয়ে তাকিদ দিতেন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)