মা'আরিফুল হাদীস

সালাত অধ্যায়

হাদীস নং: ২০
সালাত অধ্যায়
মাগরিবের সময় প্রসঙ্গে
২০. হযরত আবু আইউব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমার উম্মাত সর্বদা কল্যাণের উপর থাকবে, অথবা তিনি বলেছেন, সৃষ্ট প্রকৃতির উপর থাকবে, যতক্ষণ তারা নক্ষত্ররাজি ঘনভাবে দৃষ্টিগোচর হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব না করে মাগরিবের সালাত আদায় করবে। (আবু দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِىْ أَيُّوب قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَا يَزَالُ أُمَّتِي بِخَيْرٍ » - أَوْ قَالَ : عَلَى الْفِطْرَةِ - مَا لَمْ يُؤَخِّرُوا الْمَغْرِبَ إِلَى أَنْ تَشْتَبِكَ النُّجُومُ ". (رواه ابوداؤد)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

রাসূলুল্লাহ ﷺ মাগরিবের সালাত সাধারণত প্রথম ওয়াক্তে আদায় করতেন। এ হাদীস দ্বারা একথাই জানা যায়। উযর ব্যতীত তারকারাজি সমগ্র আকাশে দৃষ্টিগোচর হওয়া অবদি বিলম্বে মাগরিবের সালাত আদায় করা অপসন্দনীয় কাজ ও মাকরূহ। তবে 'শাফাক' অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত এই সালাতের সময় অবশিষ্ট থাকে যেমন ইতোপূর্বে এক হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে। কখনো যদি কোন দীনি কাজের চাপে মাগরিবের সালাত আদায় বিলম্ব হয় তখনই কেবল এহেন বিলম্বের অবকাশ থাকতে পারে। সহীহ বুখারীতে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে শাফীক (রা) থেকে বর্ণিত যে, একবার হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা) আসরের সালাতের পর ওয়ায নসীহত শুরু করেন এমনকি সূর্য ডুবে সারা আকাশ জুড়ে তারকারাজি দীপ্তিমান হয়ে ওঠে আর তিনি তার ওয়ায অব্যাহত রাখেন। উপস্থিত জনতার কেউ কেউ আস্সালাত আস্সালাত বলতে থাকেন। এতদশ্রবণে তিনি ভীষণভাবে ধমক দেন এবং বলেন, এহেন পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ ﷺ ও মাগরিবের সালাত বিলম্বে আদায় করতেন। তাই এমন অবস্থায় দেরী করা যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান