মা'আরিফুল হাদীস

পবিত্রতা অধ্যায়

হাদীস নং: ৩২
পবিত্রতা অধ্যায়
সালাতের জন্য উযূর নির্দেশ
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাহারাত সম্পর্কে স্বীয় উম্মাতকে যেদিক নির্দেশনা দিয়েছেন তার মধ্যে এমনও কতিপয় বিষয় রয়েছে যা নির্দিষ্ট আহকামের মর্যাদা রাখে। যেমন, ইস্তিঞ্জার আহ্কাম, দেহ ও পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র রাখার আহ্কাম, পানি পবিত্র কিংবা অপবিত্র হওয়ার বিস্তারিত আহকাম ইত্যাদি কতিপয় বিষয় এমনও রয়েছে যা সালাতের শর্তের মর্যাদা রাখে। সালাতের জন্য উযূর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছেঃ

إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ

"যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নেবে এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করবে এবং পা গ্রন্থি পর্যন্ত ধুয়ে নেবে।" (৫, সূরা মায়িদা: ৬)
এ আয়াতে বলা হয়েছে যে, সালাত যেহেতু মহান আল্লাহর দরবারে উপস্থিতি, সম্বোধন ও মুনাজাতের একটি বিশেষ পদ্ধতি তাই এর শর্ত হচ্ছে উযূ অবস্থায় সম্পাদন করা। পক্ষান্তরে কেউ উযূবিহীন হলে এবং সালাত আদায়ের ইচ্ছা করলে সে যেন সালাত শুরুর পূর্বেই উযূ করে নেয়। কারণ মহান আল্লাহর দরবারে এ বিশেষ উপস্থিতির জন্য উযূর বিকল্প নেই। উযূবিহীন সালাত কোন অবস্থায়ই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পর্যায়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কতিপয় হাদীস পাঠ করা যাক।
৩২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: পবিত্রতা ব্যতীত কারো সালাত কবুল হয় না, যতক্ষণে সে উযূ না করে। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الطہارت
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَا تُقْبَلُ صَلَاةُ مَنْ أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ » (رواه البخارى ومسلم)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান